‘আমদানি কমায় কমেছে অর্থ পাচার’
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ এর (এবিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মাশরুর আরেফিন বলেছেন, অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে শুরু করছে ব্যাংকিং খাত। ফলে আমানত বাড়ছে। কিন্তু সে তুলনায় ঋণ বিতরণ কমেছে। এ কারণে বর্তমানে প্রয়োজনের চেয়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। আমদানিও কমেছে। এতে অর্থ পাচারও কমেছে। কারণ অপ্রয়োজনীয়খাতে বেশি আন্ডার ভয়েসিং ওভারভয়েসিং হতো।
সোমবার (২২ মে) রাজধানীর নিকেতনে ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অফিসের সম্মেলন কক্ষে ব্যাংক খাত নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মো. শিরিনসহ অন্যরা।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আমি জেনে শুনেই বলছি আগে ব্যাংকের চেয়ে হুন্ডিতে বেশি রেট দেওয়া হলেও সেটা সমান হয়ে গেছে। কারণ প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে ১০৮ টাকা ও প্রণোদনা আড়াই টাকা দেওয়া হচ্ছে। আর হুন্ডিতেও ১১০ টাকার বেশি দিচ্ছে না। ডলারের সংকট মোকাবেলা করতে বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ জন্য আগে মাসে ৭ বিলিয়ন ডলার আমদানি হলেও তা থেকে কমে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। অপ্রয়োজনীয় আইটেমে এক বিলিয়ন ডলার কমেছে। এছাড়া দেড় বিলিয়ন ডলার আন্ডার ও ওভার ভয়েসিং এর মাধ্যমে পাচার হতো। বর্তমানে তা হচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, আগামী জুলাই থেকে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার (বিশেষ করে ডলার) একক দাম চালু হতে যাচ্ছে। একইসঙ্গে দাম নির্ধারণের বিষয়টি বাজারের ওপর ছেড়ে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তিনি বলেন, সুদের হার বাজারভিত্তিক হওয়া কতটুকু প্রয়োজন তা নিয়ে চিন্তা করা উচিত। ৬ ও ৯ শতাংশ হারে যে সুদহার বেধে দেওয়া হয়েছিল তা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে। এখন আসছে মুদ্রানীতিতে যদি সুদহারে ক্যাপ তুলে দেওয়া হয় তারপরও তা বাজারভিত্তিক হবে না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বড় বড় ব্যবসায়ীরাই ব্যবসাভিত্তিক বেশি মানি লন্ডারিং করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে বিএফআইইউ চালু হওয়ার পর তা বুঝা যাচ্ছে। আমদানির নামে ব্যবসায়ীরা কতো রকমের অনিয়ম করে তা বুঝা মুসকিল। কারণ প্রত্যেকটা আইটেমের মূল্য কতো তা অনেকে জানে না। এ জন্য আইটেম রেফরেন্স রেট দরকার। তাহলে অর্থ পাচার কমে যাবে।
এবিবির চেয়ারম্যান বলেন, এক কোটির বেশি মানুষ বিদেশে থাকে। তারা ২০ থেকে ২২ বিলিয়ন ডলার পাঠায়। কিন্তু প্রবাসীরা বিমানবন্দরে নামরে আমরা তাদের জন্য কি করি। তাদের যাওয়া আসার সময় আমরা কি আপ্যায়ন করি। তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হলে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে।
জেডএ/এএস