শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঠেকানো যাচ্ছে না ঋণের নামে অর্থপাচার

লাগামহীন হয়ে পড়েছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। শীর্ষ ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সুযোগ নিলেও ব্যাংকের অর্থ পরিশোধ করছে না। এমনকি কেউ কেউ ভুয়া কাগজে নামে-বেনামে ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে পাচার করছেন। খেলাপি ঋণ আদায়ে গত ৫০ বছরে প্রায় সোয়া দুই লাখের মতো মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অর্থের পরিমাণ প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা। এরমধ্যে এখন পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়েছে সোয়া দুই লাখ মামলা। আর অর্থ আদায় হয়েছে মাত্র ২০ হাজার কোটি টাকা।

অথচ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দায়িত্ব নিয়েই বলেছিলেন, ‘আর এক টাকাও খেলাপি ঋণ বাড়বে না। প্রায় চার বছর চলে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই কমছে না খেলাপির সংখ্যা।‘

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাংকিংখাতে দুর্বল নিয়ন্ত্রক সংস্থার সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা টাকা তুলে পাচার করছে। এতে অর্থনীতিকে ঝুঁকিতে ফেলছে। রক্তক্ষরণ আরও হবে। কমে যাবে বিনিয়োগ।

নামে বেনামে ভুয়া কাগজে ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে বিদেশে পাচার করা হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক ধরতে পারছে না। সম্প্রতি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট প্রধান মাসুদ বিশ্বাসও বলেছেন, ইনভয়েসিং ও আন্ডার ভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার হচ্ছে। তবে কী পরিমাণ তা বলা যাবে না। গোয়েন্দা সংস্থা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

সূত্র জানায়, ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা তুলে বিদেশে পাচার করলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনে তাদের বিরুদ্ধে কিছু করা যাচ্ছে না। ফলে আইনের ফাঁকে তারা টাকা পাচার করার পর ধরা পড়ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মামলা করার পর তা আদালতে চলে যাচ্ছে। সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক কেলেংকারির পর বিসমিল্লাহ গ্রুপ, পিকে হালদারের অর্থ লুটের পর জানাজানি হচ্ছে। কিন্তু তাদের ‍বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি না হওয়ায় ব্যাংকের টাকা লুট করার প্রবণতা ঠেকানো যাচ্ছে না। সম্প্রতি নাবিল গ্রুপ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ইসলামী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়েছে। এ নিয়ে দেশে হইচই পড়লে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার (২৬ নভেম্বর) মন্ত্রিসভা বৈঠকে খেলাপি ঋণের বিষয়ে বাস্তব চিত্র জানাতে সংশ্লিদের নির্দেশ দেন। এর পরই বাংলাদেশ ব্যাংক নড়েচড়ে বসেছে।

গত ২৭ নভেম্বর দুদকের উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘ঋণখেলাপিরা আইনের চেয়ে শক্তিশালী নয়। তাহলে ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হচ্ছে। আপনারা ধরছেন না কেন? এক টাকাও খেলাপি বাড়বে না। অর্থমন্ত্রীর সেই বক্তব্য জানার জন্য মঙ্গলবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

খেলাপি ঋণের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক জিএম আবুল কালাম আজাদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ ক্লাসিফাইড (খেলাপি) ঋণ বেড়েছে, এটা সত্য। তবে খেলাপি ঋণ কমানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে। কারণ জনগণের আমানত থেকেই ঋণ দেওয়া হয়। খেলাপি ঋণ কমানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক সর্তক আছে, কঠোর পথে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তার গাইড লাইন মোতাবেক কাজ করে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শন ও সুপারভিশনে আরও বেশি জোর দিয়েছে।’

হুহু করে বাড়ছে খেলাপি, মামলা করেও আদায় হচ্ছে না। এর কারণ কী জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘বড় বড় খেলাপিরা কয়েক হাজার কোটি টাকা করে তুলে নিচ্ছে। মামলা হলেও তারা ফেরত দিচ্ছে না। কারণ ১ লাখ ৪৫ হাজার মামলায় মাত্র ২০ হাজার কোটি টাকা আদায় হয়েছে অর্থাৎ প্রতি মামলায় ১৪ হাজার ১১৯ টাকা। এটা ছোট ছোট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে। কিন্তু রাঘববোয়ালদের হাজার হাজার কোটি টাকার কিছুই হচ্ছে না। মানে যারা বড় খেলাপি তাদের ধরা হচ্ছে না। এটা খুবই ভয়াবহ চিত্র।

তিনি বলেন, তাদের মনে ঢুকে গেছে ব্যাংকের ঋণ নিলে ফেরত না দিলেও চলে। এই সংস্কৃতি খেলাপিদের মধ্যে ঢুকে গেছে। তাই ব্যাংক বাঁচাতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংককে কঠোরভাবে আইনের প্রয়োগ করতে হবে। তাহলেই খেলাপি ঋণ কমবে। জনগণের আমানত হেফাজতে থাকবে।

এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, খেলাপি ঋণ এমনিতেই ব্যাংক খাতের জন্য সমস্যা। তাই যারা ঋণ পরিশোধ করছে না তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি অ্যাকশনে যেতে হবে। এর সঙ্গে কোনো ব্যাংকার, পরিচালক জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে অর্থনীতির ক্ষতি তো হচ্ছে, রক্তক্ষরণ আরও হবে। বিনিয়োগে ব্যাপকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যেহেতু রাজনৈতিকভাবে অনেকে ব্যাংকের টাকা তুলে নিচ্ছে, তাই খেলাপিদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে রাজনৈতিকভাবে। কারণ ব্যাংকের টাকা মানে জনগণের আমানত লুণ্ঠন করছে তারা।’

ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, করোনার সময় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সরকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে তৈরি পোশাকশিল্পসহ অন্যান্য খাতের বড় বড় শীর্ষ ব্যবসায়ীদের বড় ধরনের সুযোগ দিয়েছে। তারপরও খেলাপি ঋণ কমছে না। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলো ১৩ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। কিন্তু ব্যাংক মালিক থেকে শুরু করে এক শ্রেণির সুবিধাবাদি ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অনেকে ঋণ ফেরত দিচ্ছে না। ফলে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা বা ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ। এরমধ্যে আদায় অযোগ্য (ব্যাড লোন) ঋণ হচ্ছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা বা প্রায় আট শতাংশ। গত তিন মাসে খেলাপি বেড়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।

প্রতি মামলায় আদায় ১৪ হাজার টাকা!

বিভিন্নভাবে তাগিত দিয়েও অনেকে ঋণ ফেরত দিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে অর্থঋণ আদালতে মামলাও করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকের অশ্রেণিকৃত বা নিয়মিত ঋণের বিপরীতে দশমিক ২৫ থেকে পাঁচ শতাংশ হারে প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) রাখতে হয়। নিম্নমান বা সাব-স্ট্যান্ডার্ড ঋণের বিপরীতে রাখতে হয় ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ বা কু-ঋণের বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় অনেক ব্যাংক প্রভিশনও রাখতে পারছে না। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রভিশন ঘাটতি হয়েছে ১৩ হাজার ৫২৯ কোটি টাকা। সাধারণত ঋণের মেয়াদ অতিবাহিত হওয়ার পর মামলা মোকদ্দমা করলেও ৫ বছরে কোনো ঋণ আদায় করতে না পারলে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে এগুলো ব্যাড ঋণ হিসেবে চিহ্নিত হয়। এই ঋণের বেশির ভাগই আদায় অযোগ্য হয়ে যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে (৩০ জুন) দেখা গেছে, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক খেলাপি ‍আদায়ে মামলা করেছে ২ লাখ ১৪ হাজারের বেশি। এসব মামলায় দাবিকৃত অর্থের পরিমান হচ্ছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। ৬ মাস আগে অর্থাৎ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মামলা ছিলো প্রায় ২ লাখ ৮ হাজার। এর বিপরীতে দাবিকৃত অর্থের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকার মতো। ছয় মাস পর পর খেলাপি মামলার প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা এখনো প্রকাশ করেনি।

তবে বিভিন্ন সূত্রে মতে, আগামী ডিসেম্বরে মামলা সোয়া ২ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। আর দাবি করা অর্থের পরিমাণ আড়াই লাখ কোটি টাকা হবে। কারণ মামলা করলেও ঋণ আদায় হচ্ছে না। গত জুন পর্যন্ত নিষ্পত্তি করা ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬২৫টি মামলায় অর্থ আদায়ের দাবির পরিমাণ ছিল প্রায় ৭৭ হাজার কোটি টাকা। তাতে আদায় হয়েছে মাত্র ২০ হাজার ৪২১ কোটি টাকা। অর্থাৎ মামলাপ্রতি ১৪ হাজার ১১৯ টাকা। আর বিচারাধীন মামলা রয়েছে ৬৯ হাজার ৩৬৯টি। তাতে দাবির পরিমাণ ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। এতে অর্থ আদায় হয়েছে ৪ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অপর প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে অর্থঋণ আদালতে মামলা ছিল প্রায় ২ লাখ ৮ হাজার। দাবি করা অর্থের পরিমাণ ছিল প্রায় ২ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এ সময় পর্যন্ত নিষ্পত্তি করা মামলা ছিল প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার। দাবি করা অর্থের পরিমাণ ৭০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে আদায় হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। আর বিচারাধীন ৬৮ হাজার মামলার মধ্যে দাবি করা অর্থের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা। তাতে অর্থ আদায় হয়েছে ৪ হাজার ৬১০ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকে আমানত জমা হয়েছে ১৬ লাখ ২৮ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা। এই আমানত থেকে ঋণ দেওয়া হয়েছে ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা বা মোট আমানতের ৮৩ শতাংশ। এখানে নিয়ম মানা হলেও আদায়ে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।

সর্বশেষ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণের তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে ঋণস্থিতি হচ্ছে ১৪ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। এরমধ্যে খেলাপি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা বা মোট ঋণের ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। গ্রাহকরা ঠিকভাবে ঋণ পরিশোধ করছে না। ফলে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। ঋণ পরিশোধ না করায় শুধু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কৃষকদের জেল খাটানো হলেও রাঘববোয়ালরা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। বিতরণ করা ঋণের মধ্যে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি বা ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। এই খেলাপি ঋণের ১ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যাড বা আদায় অযোগ্য হয়ে গেছে।

এনএইচবি/এসএন 

 

Header Ad
Header Ad

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী

প্রার্থনা ফারদিন দীঘি (বামে) এবং পূজা চেরী। ছবি: সংগৃহীত

নতুন বছরের শুরুতেই নির্মাতা আলোক হাসান ‘টগর’ সিনেমার মোশন পোস্টার প্রকাশ করে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে হইচই ফেলে দেন। মোশন পোস্টারে আদর আজাদ এবং প্রার্থনা ফারদিন দীঘির নাম ঘোষণা করা হলেও, এবার পরিবর্তন এসেছে।

জানা গেছে, দীঘির পরিবর্তে সিনেমায় নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করবেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরী।

চলচ্চিত্রের পরিচালক আলোক হাসান জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজারে দীঘির নাম থাকলেও, কিছু কারণবশত নায়িকা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি তিনি। আলোক হাসান বলেন, “আমরা মনে করি, পূজা চেরীকে যুক্ত করতে পারাটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। এখন দ্রুত কাজটি শেষ করতে চাই।”

‘টগর’-এর শুটিং শুরু হবে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি, এবং পুরো ইউনিট শুটিংয়ের জন্য ঢাকা ছাড়বে দুদিন আগে। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এ আর মুভি নেটওয়ার্ক, যেখানে আদর আজাদ, পূজা চেরী ছাড়াও অভিনয় করছেন আজাদ আবুল কালাম, রোজী সিদ্দিকী, সুমন আনোয়ার, জোযন, এল আর খান সীমান্ত, শরিফুল প্রমুখ।

অভিনেতা আদর আজাদ বলেন, “গত চার মাস ধরে এই প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত। তবে মাঝখানে ‘পিনিক’-এর শুটিং করেছি। এখন অবশেষে ক্যামেরা ওপেন হচ্ছে, এবং আমরা সবাই প্রোডাকশন ও কাজটি নিয়ে আশাবাদী।”

পূজা চেরী বলেন, “আলোক হাসান ও আদর আজাদের সঙ্গে এর আগে কাজ করেছি। প্রথমে এনাউন্সমেন্ট টিজারে ভিন্ন কাস্টিং দেখার কারণে আমি সিনেমাটি করতে চাচ্ছিলাম না, তবে পরবর্তীতে টিম আমাকে গল্পটি বোঝালে এবং স্ক্রিপ্টের ডক্টরিং ও রিডিং সেশনে এটি ভিন্ন মাত্রা পাওয়ার পর আমি রাজি হয়ে যাই।”

সিনেমাটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য এ আর মুভি নেটওয়ার্কের, এবং সংলাপ লিখেছেন মামুনুর রশিদ তানিম। নির্মাতারা জানিয়েছেন, সিনেমাটি আগামী ঈদুল আযহায় মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস। ছবি: সংগৃহীত

দুই ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাচার হয়েছে ঘাঁটির সংবেদনশীল এলাকার ছবি, ভিডিও, নথিসহ বিভিন্ন ভবনের নকশা।

এমন অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) বিরুদ্ধে। ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) দাবি, নারী গোয়েন্দাকে ব্যবহার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ পর্যন্ত দুই জনকে আটক করেছে দেশটির এনআইএ।

জানা যায়, ১১ হাজারেরও বেশি একর জায়গা নিয়ে ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত নৌঘাঁটি- ‛আইএনএস কদম্ব’। বর্তমানে এটিই দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটি। তবে, সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে পূর্ব গোলার্ধ্বের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটিতে পরিণত হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে আইএনএস কদম্বকে। সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে কৌশলগত ব্যাপক অবদান রয়েছে। তবে, চতুর্দিক নিরাপত্তায় মোড়া এই ঘাঁটির সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এমন অভিযোগ উঠেছে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বিরুদ্ধে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি- ঐ নৌঘাঁটিতে কর্মরত দুই সিভিলিয়ান ঠিকাদার কর্মীদের হানিট্র্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয় নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা। যার সাথে ২০২৩ সাল থেকে পরিচয় ছিল ঐ দুই কর্মীর। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামে ভিন্ন নামের তাদের সাথে শখ্যতা গড়ে তোলেন ঐ নারী।

গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ঐ দুই ঠিকাদার কর্মীর মাধ্যমে আইএনএস কদম্বের খুবই সংরক্ষিত স্থানের ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা, সিমুলেটর বিল্ডিং এরিয়ার ছবি সুকৌশলে হাতিয়ে নেন ঐ পাকিস্তানি গোয়েন্দা। এমনকি কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা রেডি টু এনগেজ মুডে থাকে এসব তথ্য রয়েছে আইএসআই’র কাছে।

তবে, আটক দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে দেয়া হত। টানা ৮মাস টাকা দিয়ে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি, তাদের মাধ্যমে পাচার হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী
নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার