শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঠেকানো যাচ্ছে না ঋণের নামে অর্থপাচার

লাগামহীন হয়ে পড়েছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। শীর্ষ ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সুযোগ নিলেও ব্যাংকের অর্থ পরিশোধ করছে না। এমনকি কেউ কেউ ভুয়া কাগজে নামে-বেনামে ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে পাচার করছেন। খেলাপি ঋণ আদায়ে গত ৫০ বছরে প্রায় সোয়া দুই লাখের মতো মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অর্থের পরিমাণ প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা। এরমধ্যে এখন পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়েছে সোয়া দুই লাখ মামলা। আর অর্থ আদায় হয়েছে মাত্র ২০ হাজার কোটি টাকা।

অথচ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দায়িত্ব নিয়েই বলেছিলেন, ‘আর এক টাকাও খেলাপি ঋণ বাড়বে না। প্রায় চার বছর চলে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই কমছে না খেলাপির সংখ্যা।‘

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাংকিংখাতে দুর্বল নিয়ন্ত্রক সংস্থার সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা টাকা তুলে পাচার করছে। এতে অর্থনীতিকে ঝুঁকিতে ফেলছে। রক্তক্ষরণ আরও হবে। কমে যাবে বিনিয়োগ।

নামে বেনামে ভুয়া কাগজে ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে বিদেশে পাচার করা হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক ধরতে পারছে না। সম্প্রতি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট প্রধান মাসুদ বিশ্বাসও বলেছেন, ইনভয়েসিং ও আন্ডার ভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার হচ্ছে। তবে কী পরিমাণ তা বলা যাবে না। গোয়েন্দা সংস্থা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

সূত্র জানায়, ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা তুলে বিদেশে পাচার করলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনে তাদের বিরুদ্ধে কিছু করা যাচ্ছে না। ফলে আইনের ফাঁকে তারা টাকা পাচার করার পর ধরা পড়ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মামলা করার পর তা আদালতে চলে যাচ্ছে। সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক কেলেংকারির পর বিসমিল্লাহ গ্রুপ, পিকে হালদারের অর্থ লুটের পর জানাজানি হচ্ছে। কিন্তু তাদের ‍বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি না হওয়ায় ব্যাংকের টাকা লুট করার প্রবণতা ঠেকানো যাচ্ছে না। সম্প্রতি নাবিল গ্রুপ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ইসলামী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়েছে। এ নিয়ে দেশে হইচই পড়লে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার (২৬ নভেম্বর) মন্ত্রিসভা বৈঠকে খেলাপি ঋণের বিষয়ে বাস্তব চিত্র জানাতে সংশ্লিদের নির্দেশ দেন। এর পরই বাংলাদেশ ব্যাংক নড়েচড়ে বসেছে।

গত ২৭ নভেম্বর দুদকের উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘ঋণখেলাপিরা আইনের চেয়ে শক্তিশালী নয়। তাহলে ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হচ্ছে। আপনারা ধরছেন না কেন? এক টাকাও খেলাপি বাড়বে না। অর্থমন্ত্রীর সেই বক্তব্য জানার জন্য মঙ্গলবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

খেলাপি ঋণের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক জিএম আবুল কালাম আজাদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ ক্লাসিফাইড (খেলাপি) ঋণ বেড়েছে, এটা সত্য। তবে খেলাপি ঋণ কমানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে। কারণ জনগণের আমানত থেকেই ঋণ দেওয়া হয়। খেলাপি ঋণ কমানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক সর্তক আছে, কঠোর পথে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তার গাইড লাইন মোতাবেক কাজ করে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শন ও সুপারভিশনে আরও বেশি জোর দিয়েছে।’

হুহু করে বাড়ছে খেলাপি, মামলা করেও আদায় হচ্ছে না। এর কারণ কী জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘বড় বড় খেলাপিরা কয়েক হাজার কোটি টাকা করে তুলে নিচ্ছে। মামলা হলেও তারা ফেরত দিচ্ছে না। কারণ ১ লাখ ৪৫ হাজার মামলায় মাত্র ২০ হাজার কোটি টাকা আদায় হয়েছে অর্থাৎ প্রতি মামলায় ১৪ হাজার ১১৯ টাকা। এটা ছোট ছোট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে। কিন্তু রাঘববোয়ালদের হাজার হাজার কোটি টাকার কিছুই হচ্ছে না। মানে যারা বড় খেলাপি তাদের ধরা হচ্ছে না। এটা খুবই ভয়াবহ চিত্র।

তিনি বলেন, তাদের মনে ঢুকে গেছে ব্যাংকের ঋণ নিলে ফেরত না দিলেও চলে। এই সংস্কৃতি খেলাপিদের মধ্যে ঢুকে গেছে। তাই ব্যাংক বাঁচাতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংককে কঠোরভাবে আইনের প্রয়োগ করতে হবে। তাহলেই খেলাপি ঋণ কমবে। জনগণের আমানত হেফাজতে থাকবে।

এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, খেলাপি ঋণ এমনিতেই ব্যাংক খাতের জন্য সমস্যা। তাই যারা ঋণ পরিশোধ করছে না তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি অ্যাকশনে যেতে হবে। এর সঙ্গে কোনো ব্যাংকার, পরিচালক জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে অর্থনীতির ক্ষতি তো হচ্ছে, রক্তক্ষরণ আরও হবে। বিনিয়োগে ব্যাপকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যেহেতু রাজনৈতিকভাবে অনেকে ব্যাংকের টাকা তুলে নিচ্ছে, তাই খেলাপিদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে রাজনৈতিকভাবে। কারণ ব্যাংকের টাকা মানে জনগণের আমানত লুণ্ঠন করছে তারা।’

ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, করোনার সময় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সরকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে তৈরি পোশাকশিল্পসহ অন্যান্য খাতের বড় বড় শীর্ষ ব্যবসায়ীদের বড় ধরনের সুযোগ দিয়েছে। তারপরও খেলাপি ঋণ কমছে না। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলো ১৩ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। কিন্তু ব্যাংক মালিক থেকে শুরু করে এক শ্রেণির সুবিধাবাদি ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অনেকে ঋণ ফেরত দিচ্ছে না। ফলে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা বা ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ। এরমধ্যে আদায় অযোগ্য (ব্যাড লোন) ঋণ হচ্ছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা বা প্রায় আট শতাংশ। গত তিন মাসে খেলাপি বেড়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।

প্রতি মামলায় আদায় ১৪ হাজার টাকা!

বিভিন্নভাবে তাগিত দিয়েও অনেকে ঋণ ফেরত দিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে অর্থঋণ আদালতে মামলাও করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকের অশ্রেণিকৃত বা নিয়মিত ঋণের বিপরীতে দশমিক ২৫ থেকে পাঁচ শতাংশ হারে প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) রাখতে হয়। নিম্নমান বা সাব-স্ট্যান্ডার্ড ঋণের বিপরীতে রাখতে হয় ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ বা কু-ঋণের বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় অনেক ব্যাংক প্রভিশনও রাখতে পারছে না। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রভিশন ঘাটতি হয়েছে ১৩ হাজার ৫২৯ কোটি টাকা। সাধারণত ঋণের মেয়াদ অতিবাহিত হওয়ার পর মামলা মোকদ্দমা করলেও ৫ বছরে কোনো ঋণ আদায় করতে না পারলে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে এগুলো ব্যাড ঋণ হিসেবে চিহ্নিত হয়। এই ঋণের বেশির ভাগই আদায় অযোগ্য হয়ে যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে (৩০ জুন) দেখা গেছে, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক খেলাপি ‍আদায়ে মামলা করেছে ২ লাখ ১৪ হাজারের বেশি। এসব মামলায় দাবিকৃত অর্থের পরিমান হচ্ছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। ৬ মাস আগে অর্থাৎ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মামলা ছিলো প্রায় ২ লাখ ৮ হাজার। এর বিপরীতে দাবিকৃত অর্থের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকার মতো। ছয় মাস পর পর খেলাপি মামলার প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা এখনো প্রকাশ করেনি।

তবে বিভিন্ন সূত্রে মতে, আগামী ডিসেম্বরে মামলা সোয়া ২ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। আর দাবি করা অর্থের পরিমাণ আড়াই লাখ কোটি টাকা হবে। কারণ মামলা করলেও ঋণ আদায় হচ্ছে না। গত জুন পর্যন্ত নিষ্পত্তি করা ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬২৫টি মামলায় অর্থ আদায়ের দাবির পরিমাণ ছিল প্রায় ৭৭ হাজার কোটি টাকা। তাতে আদায় হয়েছে মাত্র ২০ হাজার ৪২১ কোটি টাকা। অর্থাৎ মামলাপ্রতি ১৪ হাজার ১১৯ টাকা। আর বিচারাধীন মামলা রয়েছে ৬৯ হাজার ৩৬৯টি। তাতে দাবির পরিমাণ ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। এতে অর্থ আদায় হয়েছে ৪ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অপর প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে অর্থঋণ আদালতে মামলা ছিল প্রায় ২ লাখ ৮ হাজার। দাবি করা অর্থের পরিমাণ ছিল প্রায় ২ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এ সময় পর্যন্ত নিষ্পত্তি করা মামলা ছিল প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার। দাবি করা অর্থের পরিমাণ ৭০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে আদায় হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। আর বিচারাধীন ৬৮ হাজার মামলার মধ্যে দাবি করা অর্থের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা। তাতে অর্থ আদায় হয়েছে ৪ হাজার ৬১০ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকে আমানত জমা হয়েছে ১৬ লাখ ২৮ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা। এই আমানত থেকে ঋণ দেওয়া হয়েছে ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা বা মোট আমানতের ৮৩ শতাংশ। এখানে নিয়ম মানা হলেও আদায়ে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।

সর্বশেষ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণের তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে ঋণস্থিতি হচ্ছে ১৪ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। এরমধ্যে খেলাপি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা বা মোট ঋণের ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। গ্রাহকরা ঠিকভাবে ঋণ পরিশোধ করছে না। ফলে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। ঋণ পরিশোধ না করায় শুধু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কৃষকদের জেল খাটানো হলেও রাঘববোয়ালরা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। বিতরণ করা ঋণের মধ্যে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি বা ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। এই খেলাপি ঋণের ১ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যাড বা আদায় অযোগ্য হয়ে গেছে।

এনএইচবি/এসএন 

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত