কৃষিঋণ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার বলছেন এক ইঞ্চি জমি যেন পতিত না থাকে। তা আমলে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষি খাতে ঋণের প্রবাহ বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে এক সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন।
চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে বেসরকারি ব্যাংকসমূহের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে এ সভা বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ডেপুটি গভর্নর এ, কে, এম সাজেদুর রহমান খান এবং কৃষি ঋণ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও সেলিম আর এফ হোসেনসহ বিভিন্ন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীগণ স্ব স্ব ব্যাংকের কৃষি খাতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সুদৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভা শেষে এবিবি চেয়ারম্যান বলেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আইএমএফসহ সকলেই কৃষিঋণের ওপর গুরুত্ব আরোপের পরামর্শ দিয়েছে। কারণ, প্রান্তিক পর্যায়ের ঋণে ক্ষতির পরিমাণও অনেক কম।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, অদূর ভবিষ্যতে খাদ্য সংকট কাটাতে ফসল উৎপাদনের বিকল্প নেই। তাই খাদ্যের ঘাটতি পূরণে কৃষকদের লক্ষ্যের চেয়ে বেশি বেশি ঋণ দেওয়া জরুরি।
এদিকে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে। এই তহবিল থেকে কৃষকদের জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদে দু্ই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে একটি সার্কুলার জারি করেছে।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ৩১ হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ঘোষণা করেছে। এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ হাজার ৭৫৮ কোটি এবং বেসরকারি ব্যাংক ১৯ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা বিতরণ করবে।
যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণ করা হয় ২৮ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা। যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকার চেয়ে বেশি।
জেডএ/এমএমএ/