’আমদানি কমানো একমাত্র সমাধান না’
বিভিন্ন কারণে আমদানি অনেক কমেছে, রেমিট্যান্সও কমেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, আমদানি কমা সমাধান না। আমদানি বাড়ালে, রপ্তানিও বাড়াতে হবে। কারণ, আমদানি কতদিন থামিয়ে রাখা যাবে। এটা হতে পারে না। রিজার্ভ থেকে লাভ কী যদি না এর ইমপ্যাক্ট থাকে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩০তলা বিল্ডিংয়ের সম্মেলন কক্ষে চাকরির শেষ কর্ম দিবসে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এসব সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘রেমিট্যান্স কমেছে। কিন্তু বিভিন্ন ব্যাংকও সচেতন হয়েছে ডলারের চ্যালেঞ্চ মোকাবিলা করতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু লিমিটেশন থাকে, তাই সব তথ্য প্রকাশ করা হয় না। তবে তথ্য গোপন করারও সুযোগ নেই। তথ্য দেওয়া হবে না, এটা হতে পারে না। জাতির স্বার্থে তথ্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বাড়বে, কমবে। এটা কোনো ব্যাপার না। আমি মনে করি বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা কোনো ব্যাংকে বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা ঠিক না। সেটা উপদেষ্টা বা অন্য কোনো পদে হোক। ১০ লাখ টাকা বেতন দিলেও আমি কোনো ব্যাংকে চাকরি করব না।’
সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমদানি-রপ্তানি সব কিছুর সঙ্গে ডলার যুক্ত। বিশ্বব্যাপী ডলারের সংকট। আগে ১০০ ডলার দিয়ে যে পণ্য আনা হতো এখন তাতে ২০০ ডলার লাগছে। তাই আমাদের পণ্যের বহুমুখীকরণে যেতে হবে। পোশাকের মতো আমাদের নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করতে হবে। এক লেদার দিয়ে রপ্তানি অনেক বৃদ্ধি করা যাবে। কারণ, পুরো লেদার আমাদের। তাই নতুন নতুন রপ্তানি করতে পারলে ডলার বাড়বে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে ডলারের বাজারে রেজাল্ট আসেনি তা বলব না। আমি বলব সুফল এসেছে। কারণ, আগে বাংলাদেশ ব্যাংক দাম বেঁধে দিত। এখন বাফেদা ডলারের দাম নির্ধারণ করছে। জোর করে নামাতে বা কমাতে হয় না। ১০৮ টাকার মধ্যে আছে। ডলারের বাজার স্থির করতে ফ্রিডম দেওয়া উচিৎ। মার্কেট ওপেন থাকবে।
অপর এক প্রশ্বের জবাবে তিনি বলেন, রেমিট্যান্সও বাস্তবতা। কারণ, মার্কেটে কেউ ১১০ টাকা পেলে কি ১০৮ টাকায় বিক্রি করবে? আমরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১০ লাখ টাকা এনে রিটার্নে জমা দেখাতে পারি. পরে এক কোটি টাকার রিটার্ন আসতে পারে। কারণ, হোয়াইট মানি আনতে পারলে ভবিষতে তা কাজে লাগবে। সরকার তো ভবিষত্যে চিকিৎসার ক্ষেত্রে বা ঋণের ক্ষেত্রেও সু্বিধা দিতে পারে।
ইডিএফ ঋণের ব্যাপারে তিনি বলেন, নিয়ত ঠিক থাকলে সব ঠিক। রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য এই সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। দিন দিন কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় তাই দেখা হবে।
জেডএ/এমএমএ/