কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক গ্রেপ্তার
ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুরের শ্রীপুরে কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের পর সেই ভিডিও দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনায় ফরহাদ উজ্জামান নামে এক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। এরই মধ্যে আপত্তিকর ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক।
রোববার (৩০ জুন) সকালের দিকে অভিযুক্ত চিকিৎসককে আদালতে পাঠানো হয়। এরআগে,ভুক্তভোগীর মায়ের দায়ের করা মামলায় শনিবার রাতে শ্রীপুর পৌরসভার শ্রীপুর বাজারের নিজস্ব চেম্বার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে শ্রীপুর থানা-পুলিশ।
গ্রেপ্তার ডা: ফরহাদ উজ্জান (৩৭) শ্রীপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের আবুল হাসেমের ছেলে। তিনি একজন ফিজিওথেরাপিদ চিকিৎসক। তার বাবা একজন আইনজীবী।
ভুক্তভোগী গৃহকর্মীর (১৪) বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়। দীর্ঘদিন ধরে তার বাবা-মা শ্রীপুরে ভাড়ায় থেকে মা মানুষের বাড়িতে কাজ করে এবং বাবা রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।
ভুক্তভোগী কিশোরী মা বলেন,' আনুমানিক দুই মাস আগে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। এরপর সে আমার ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে তাদের বাসার কাজ করার জন্য প্রস্তাব দেয়। তখন আমি বেতন ঠিক করে মেয়েকে তাঁর বাড়িতে কাজ করতে পাঠাই। এর কিছুদিন যাওয়ার পর অভিযুক্ত সুকৌশলে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে তার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অভিযুক্ত তার বাসায় ও চেম্বারে নিয়ে আমার মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি মেয়ে আমাকে জানালে আমি ও আমার স্বামী গিয়ে চিকিৎসকের বাড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে আসি। নিয়ে আসার পরপরই আমার মোবাইল নম্বরে অপরিচিত একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে মেয়েকে আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এর একদিন পর আজ সকালে আমার এক আত্মীয় ফোন করে জানায় মেয়ের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। এরপর আমি থানায় এসে পুলিশকে লিখিত আকারে জানালে পুলিশকে জানাই।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান গণমাধ্যমকে বলেন,' ভুক্তভোগীর মায়ের লিখিত অভিযোগটি আমলে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়। সেই মামলায় ফরহাদ উজ্জামানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। '