বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্রতিবন্ধী শেখ ফয়সাল মানবতার আড়ালে একজন ভয়ঙ্কর প্রতারক

প্রতারক শেখ ফয়সাল। ছবি: সংগৃহীত

পরনে দামি কাপড়, চলেন দামি গাড়ির বহর নিয়ে। হাতে পরেন আড়াই কোটি টাকা দামের ঘড়ি। মিটিং করেন পাঁচতারকা হোটেলে। শুধু তাই নয় সঙ্গে থাকে সশস্ত্র দেহরক্ষী। চলাফেরা দেখলে যে কারও মনে হবে সে কোনো ধনী ব্যবসায়ী। না কোনো ধনী ব্যবসায়ী না এ হচ্ছে শেখ ফয়সাল নামের প্রতিবন্ধী এক প্রতারকের জীবনযাপনের কিছু বর্ণনা।

স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। সেই টাকা ব্যয় করেন নিজের ভোগ-বিলাসে। কথিত মানবতার ফেরিওয়ালা শেখ ফয়সাল গত কয়েক বছর ধরে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন এমন প্রচারণা চালান নানাভাবে। স্বাস্থ্য সেবা কার্ডের প্রচারণা চালান ফেসবুকে বাংলাদেশে প্রথম ৯৯৯ টাকায় হেলিকপ্টার সেবা দেয়ার কথা বলে দেশের মানুষের সামনে আলোচনায় আসেন তিনি।

আর এসব ভিডিও নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করেন। দীর্ঘদিন এসব প্রচার চালিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও এখন ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেস নামের প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়ার অবস্থা! এরই মধ্যে নামিয়ে ফেলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড।

রাজধানীর মিপুর-৬ নম্বরের বাজারের পাশে ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেসের কার্যালয়। কিন্তু যে ফ্লোরে অফিস ছিল সেখানেই এখন ভাড়া হবে সাইনবোর্ড ঝুলছে। মিরপুর-১ নম্বর ঈদগাহ মাঠ এলাকায় ২০২২ সালের ১২ই ডিসেম্বর বিভিন্ন তারকাদের এনে বিশাল কনসার্টের মাধ্যমে সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবার প্রচারণার আয়োজন করেছিল ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেস।

প্রতারক শেখ ফয়সাল। ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় এক দোকানদার গণমাধ্যমকে বলেন, তার প্রতিবন্ধী মেয়ের জন্য একটি কার্ড করেছিলেন। কথা ছিল ফয়সালের অ্যাম্বুলেন্স সেবাসহ সকল চিকিৎসা পাওয়া যাবে। তখন দেশসেরা তারকাদের দিয়ে কনসার্টের আয়োজন করে সেই সময় তাদের কাছ থেকে ৩শ’ টাকার বিনিময়ে একটি স্বাস্থ্যকার্ড বিক্রি করেন ফয়সাল। কিন্তু কখনোই এই কার্ডের সেবা পাননি এই ভুক্তভোগী নারী। শুধু এই নারীই নন, যারাই কার্ড নিয়েছেন এবং যোগাযোগ করেছেন কেউ স্বাস্থ্যসেবা পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এদিকে ফরিদপুরে যোগাযোগ করে জানা গেছে, ১৮৬ জনতা রোড গোপালগঞ্জের নিজ এলাকায় হাতেগোনা কিছুসংখ্যক মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে শেখ ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেস। সেখানেও বহু মানুষ ৩০০ টাকা দিয়ে হেল্থ কার্ড নিয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে- মিরপুরে ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেসের অফিসে আরবি গান ছেড়ে অমানুষিক নির্যাতন করেন তারই ব্যবসায়িক পার্টনার থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী চাকরিজীবীদের। কিন্তু নিজে প্রতিবন্ধী হয়ে কীভাবে তিনি এ কাজ করেন? এ বিষয়ে জালাল হোসেন নামে পুরান ঢাকার একজন ভুক্তভোগী গণমাধ্যমকে বলেন, অনলাইনে ফ্ল্যাট বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করেন নাফকো রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের সঙ্গে। ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেস সার্ভিস লিমিটেডের অফিসের ৬ষ্ঠতলায় তারই বাবার প্রতিষ্ঠান নাফকো অবস্থিত। প্রতারক ফয়সাল এর হেল্থ এক্সপ্রেসে বিনিয়োগ করলে সেই লাভের টাকা দিয়েই ফ্ল্যাট কেনা সম্ভব এমন আশ্বাসে জালাল ৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। পাশাপাশি তার ফ্ল্যাট বাবদ ২৫ লাখ টাকা আগেই তুলে দিয়েছিলেন শেখ ফয়সালের হাতে। কিছুদিন পর ব্যবসার লভ্যাংশ তো দূরের কথা- ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দিতে তালবাহানা শুরু করেন।

এর কিছুদিন পর জালাল ব্যবসায়িক কাজে বিদেশ গেলে তাকে বিদেশ থেকে গোল্ড বার নিয়ে আসতে বলেন ফয়সাল। গোল্ড বারের টাকার সঙ্গে আগের সকল পাওনা টাকা বুঝিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু ঘটে উল্টোটা। এ সময় ব্যবসায়ী জালালকে ফয়সালের অফিসে ডেকে রাতভর উচ্চ ভলিউমে আরবি গান ছেড়ে বন্দুক ও লাঠি-লোহার রড দিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতন শেষে জালালের সামনে ইয়াবা রেখে ভিডিও চিত্র ধারণ করেন। মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে স্বীকারোক্তি নেয়া হয় ফয়সালের কাছে তার কোনো টাকা পাওনা নেই। এরপর ফয়সালের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে ব্যবসায়ী জালালকে তার বাসায় নামিয়ে দেন। এসব ঘটনার পর ফয়সালের বাবা নতুন করে দলিল করে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়ার চুক্তি করেন। কিন্তু এটা ছিল তার নতুন ফাঁদ। গা শিউরে ওঠা ফয়সালের এই নির্যাতনের সাক্ষী বহু মানুষ।

মিরপুর-১০ নম্বরে এক ট্রাভেল এজেন্সির মালিকও তার নির্যাতনের শিকার। শেখ ফয়সাল বরাবরই আয়েশি জীবনে অভ্যস্ত। মাঝে-মধ্যে দলবল নিয়ে চলে যান দুবাই। সেখানে থাকেন তারকা হোটেলে। ফয়সালের ভিসাসহ এসব কাজ করে দিতেন মিরপুর-১০ নম্বরের ব্যবসায়ী ইমন। ফয়সালের বিমানের টিকিট, হোটেল ভাড়া সবকিছু তিনিই ঠিক করে দিতেন। সেই টিকিট কাটতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। ৬ লাখ টাকার টিকিট করে দেয়ার পর সেই টাকা নিয়ে তালবাহানা শুরু করেন ফয়সাল।

পরে দুবাইয়ে থাকাকালীন ১ লাখ দিরহামের ব্যবস্থা করে দিতে ইমনকে অনুরোধ করেন। সেই দিরহামের ব্যবস্থা করে দিয়ে ফয়সালের মিরপুর অফিসে টাকা আনতে গেলে পাওনা ৪০ হাজার টাকা হাতে দিয়ে সিনেমা স্টাইলে ফয়সালের লোকজন সেই টাকা কেড়ে নেয়। পরে তাকেও আটকে নির্যাতন করা হয়। এরপর তার থেকে ভিডিও বক্তব্য নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। পাওনা টাকা ফেরত চাইলে দেশে ফিরে ফয়সাল উল্টো ৪৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ভুয়া মামলা দেয় ইমনের বিরুদ্ধে। তার সঙ্গে মিরপুর-৬ নম্বরের এক স্থানীয় নেতা এবং তারই সহকারী রাসেলও আসামি হন এই মামলায়। তুরাগ থানায় করা ভুয়া মামলাটি পরে খারিজ হয় আদালতে। এ ঘটনায় জড়িত মশিউর ঢাকা ছেড়ে তার গ্রামের বাড়ি নড়াইলে চলে যান। মিরপুর থানায় ৬ লাখ টাকার জিডি করলেও বাকি ৩৪ লাখ টাকার কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেননি তারা।

ফয়সাল যে শুধুই এসব ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা বা নির্যাতন করেছেন তেমনটি নয়। তার প্রতিষ্ঠানে যারা বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করেছেন তাদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছেন। অলিফিন বিডি- রাজধানীর মোহাম্মদপুরের হুমায়ুন রোডে সাউন্ড সিস্টেমের কাজ করে এই প্রতিষ্ঠানটি। আব্দুল্লাহ আল সাব্বির প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। তিনি ফয়সালের জিমে সাউন্ড সিস্টেমের কাজ করতেন। কিন্তু কাজ শেষে সেই টাকা নিয়ে শুরু হয় তালবাহানা। দফায় দফায় যোগাযোগ করা হয় শেখ ফয়সালের সঙ্গে। পরে সেই টাকা আনতে প্রতিষ্ঠানের এক কর্মী ফয়সালের অফিসে গেলে তাকেও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অফিস থেকে বের করে দেয় ফয়সালের লোকজন।

শেখ ফয়সালের এমন প্রতারণা নতুন নয়। ২০২১ সালে নিজ জেলা গোপালগঞ্জে নিজেকে ডিবি পরিচয় দিয়ে দুই যুবককে নির্যাতন করেন। পরে ভুয়া ডিবি সাজার অপরাধে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা হয় শেখ ফয়সালের নামে। এ মামলায় আসামি ছিল আর দুইজন।

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে শেখ ফয়সাল গণমাধ্যমকে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। যারা অভিযোগ করেছেন তারা প্রত্যেকেই প্রতারক বলেও দাবি করেন ফয়সাল। তিনি বলেন, আমার ফেসবুক পেজে প্রায় ১০ মিলিয়ন ফলোয়ার। এটা এমনি এমনি হয়নি। আমি কীভাবে মানুষকে নির্যাতন করবো। আমি নিজেই তো একজন পঙ্গু মানুষ।

Header Ad
Header Ad

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে

অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হক ও মাউশির লোগো। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক নেতাদের আন্দোলন ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) পদ থেকে অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি শিক্ষা ক্যাডারের ১৪তম বিসিএসের কর্মকর্তা এবং পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি তার বিতর্কিত কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে মাউশিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে, নতুন মহাপরিচালক হিসেবে অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানের এই দায়িত্ব কেবল সাময়িক, যা পদোন্নতি হিসেবে গণ্য হবে না। পরবর্তীতে নিয়মিত নিয়োগের মাধ্যমে মহাপরিচালক নিয়োগ হলে এই চলতি দায়িত্ব বাতিল হয়ে যাবে।

অধ্যাপক এহতেসাম উল হকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এর আগে তিনি বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন চালানোর অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তথ্য তিনি পুলিশের কাছে সরবরাহ করেছিলেন।

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট তার অপসারণের দাবিতে কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০২১ সালের জুন মাসে বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যোগদানের পর থেকে তিনি নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যান। তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, অধ্যক্ষ থাকাকালীন তিনি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন এবং আন্দোলনে অসহযোগিতা করতেন। এমনকি কলেজের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন, যা তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও ব্যবহার করতেন। তিনি কলেজের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে নিজের বাসায় গ্রিল নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ করিয়েছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিতেন এবং বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) খারাপ করে দেওয়ার ভয় দেখাতেন। এছাড়া, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন না দিয়ে বিদায় করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ডিজি পদ থেকে এহতেসাম উল হককে অপসারণের খবরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, একজন বিতর্কিত ব্যক্তি শিক্ষাখাতের এত বড় দায়িত্বে থাকতে পারেন না। তার অপসারণের মাধ্যমে প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতি সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।

Header Ad
Header Ad

২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি

ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ সালের বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিতর্কিত নির্বাচনে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের কারণে এই কর্মকর্তাদের ওএসডি করা হয়েছে। এর আগে একই কারণে আরও ১২ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছিল।

ওএসডি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পরিচালক (যুগ্মসচিব) কবীর মাহমুদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. মাহমুদুল আলম, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. আবুল ফজল মীর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সদস্য-পরিচালক (যুগ্মসচিব) মঈনউল ইসলাম, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্মসচিব) মো. ওয়াহিদুজ্জামান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) এ কে এম মামুনুর রশিদ এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) সদস্য (যুগ্মসচিব) ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।

এছাড়া তালিকায় রয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কাজী আবু তাহের, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদস্য (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) আনার কলি মাহবুব, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য (যুগ্মসচিব) সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সাবিনা ইয়াসমিন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আতাউল গনি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (সংযুক্ত) আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।

এছাড়া, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এ জেড এম নুরুল হক, বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) এস এম আজিয়র রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সচিব (যুগ্ম-সচিব) মো. মাসুদ আলম সিদ্দিক এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব গোপাল চন্দ্র দাশসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই ওই সময়ের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এবার সেই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে ওএসডি করা হচ্ছে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক বিশ্লেষকরা।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকেই দায়ী করে নতুন বিতর্ক উসকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন রাজনীতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প এবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল।

মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনে একটি নতুন নির্বাচন হওয়া উচিত। বিশ্লেষকদের মতে, এটি জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনারই ইঙ্গিত।

ট্রাম্প আরও বলেন, ইউক্রেনে দীর্ঘদিন ধরে কোনো নির্বাচন হয়নি এবং সেখানে সামরিক আইন চলছে। তার দাবি, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা মাত্র চার শতাংশে নেমে গেছে, আর দেশটি ধ্বংসের পথে। যদিও যুদ্ধকালীন সময়ে নির্ভরযোগ্য জনমত জরিপ পাওয়া কঠিন, তবে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা ট্রাম্পের দাবির মতো এতটা কমেনি।

এছাড়া, ইউক্রেনের নির্বাচন প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, "তারা কি জনগণের মতামত নিয়েছে? তারা আলোচনার টেবিলে বসতে চায়, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেখানে কোনো নির্বাচন হয়নি।"

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে ২০২৪ সালের এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, যুদ্ধকালীন সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য কৌতুকপূর্ণ, কারণ তিনি নিজেই ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ইউক্রেন চাইলে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারতো এবং তাদের উচিত ছিল রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর অর্থ হলো—ইউক্রেনকে হয় রাশিয়ার মিত্র সরকার গঠনের প্রস্তাবে রাজি হতে হতো, নয়তো প্রতিরোধ ছেড়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হতো।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক অবস্থান ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইউক্রেনকে সমর্থন না দিয়ে বরং রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি বিতর্কিত শান্তিচুক্তির দিকে এগোতে পারেন, যা পুতিনের জন্য বড় ধরনের কূটনৈতিক জয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

সূত্র: সিএনএন

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে
২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি
ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল
ডিবির সাবেক প্রধান হারুনের ১০০ বিঘা জমি, ৫ ভবন ও ২ ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেখা গুপ্তা, বিজেপির সিদ্ধান্তে চমক
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতির শহীদ মিনারে না যাওয়ার আহ্বান
নামাজি জীবনসঙ্গী খুঁজছেন আইশা খান
গাইবান্ধায় গাঁজাসহ আটক এএসআইকে কারাগারে প্রেরণ
উপদেষ্টাদের মিটিংয়ে কোন প্রটোকলে গিয়েছিলেন হাসনাত-পাটোয়ারী: ছাত্রদল সেক্রেটারি
সরকারে থেকে ‘নতুন দল’ গঠন করলে মেনে নেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল
হোস্টিং সামিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানকে ৩২১ রানের বড় লক্ষ্য দিলো নিউজিল্যান্ড
বৈষম্যবিরোধী নামধারী শীর্ষ নেতার নির্দেশে কুয়েটে ছাত্রদলের ওপর হামলা: রাকিব
যান্ত্রিক ত্রুটিতে আবারও বন্ধ বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
কুবিতে ছাত্র সংসদের দাবিতে মানববন্ধন ও সন্ত্রাসবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল
২২০ জনকে নিয়োগ দেবে সমরাস্ত্র কারখানা, এসএসসি পাসেও আবেদন
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ২ দিনব্যাপি খামারি প্রশিক্ষণ
সবার সাত দিন কারাগারে থাকা উচিত: আদালতে পলক
বিপ্লবী সরকারের ডাক থেকে সরে এলেন কাফি  
নাঈম ভাই হেনা কোথায়?: ‘তুই অনেক দেরি করে ফেলেছিস বাপ্পা’