শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রতিবন্ধী শেখ ফয়সাল মানবতার আড়ালে একজন ভয়ঙ্কর প্রতারক

প্রতারক শেখ ফয়সাল। ছবি: সংগৃহীত

পরনে দামি কাপড়, চলেন দামি গাড়ির বহর নিয়ে। হাতে পরেন আড়াই কোটি টাকা দামের ঘড়ি। মিটিং করেন পাঁচতারকা হোটেলে। শুধু তাই নয় সঙ্গে থাকে সশস্ত্র দেহরক্ষী। চলাফেরা দেখলে যে কারও মনে হবে সে কোনো ধনী ব্যবসায়ী। না কোনো ধনী ব্যবসায়ী না এ হচ্ছে শেখ ফয়সাল নামের প্রতিবন্ধী এক প্রতারকের জীবনযাপনের কিছু বর্ণনা।

স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। সেই টাকা ব্যয় করেন নিজের ভোগ-বিলাসে। কথিত মানবতার ফেরিওয়ালা শেখ ফয়সাল গত কয়েক বছর ধরে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন এমন প্রচারণা চালান নানাভাবে। স্বাস্থ্য সেবা কার্ডের প্রচারণা চালান ফেসবুকে বাংলাদেশে প্রথম ৯৯৯ টাকায় হেলিকপ্টার সেবা দেয়ার কথা বলে দেশের মানুষের সামনে আলোচনায় আসেন তিনি।

আর এসব ভিডিও নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করেন। দীর্ঘদিন এসব প্রচার চালিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও এখন ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেস নামের প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়ার অবস্থা! এরই মধ্যে নামিয়ে ফেলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড।

রাজধানীর মিপুর-৬ নম্বরের বাজারের পাশে ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেসের কার্যালয়। কিন্তু যে ফ্লোরে অফিস ছিল সেখানেই এখন ভাড়া হবে সাইনবোর্ড ঝুলছে। মিরপুর-১ নম্বর ঈদগাহ মাঠ এলাকায় ২০২২ সালের ১২ই ডিসেম্বর বিভিন্ন তারকাদের এনে বিশাল কনসার্টের মাধ্যমে সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবার প্রচারণার আয়োজন করেছিল ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেস।

প্রতারক শেখ ফয়সাল। ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় এক দোকানদার গণমাধ্যমকে বলেন, তার প্রতিবন্ধী মেয়ের জন্য একটি কার্ড করেছিলেন। কথা ছিল ফয়সালের অ্যাম্বুলেন্স সেবাসহ সকল চিকিৎসা পাওয়া যাবে। তখন দেশসেরা তারকাদের দিয়ে কনসার্টের আয়োজন করে সেই সময় তাদের কাছ থেকে ৩শ’ টাকার বিনিময়ে একটি স্বাস্থ্যকার্ড বিক্রি করেন ফয়সাল। কিন্তু কখনোই এই কার্ডের সেবা পাননি এই ভুক্তভোগী নারী। শুধু এই নারীই নন, যারাই কার্ড নিয়েছেন এবং যোগাযোগ করেছেন কেউ স্বাস্থ্যসেবা পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এদিকে ফরিদপুরে যোগাযোগ করে জানা গেছে, ১৮৬ জনতা রোড গোপালগঞ্জের নিজ এলাকায় হাতেগোনা কিছুসংখ্যক মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে শেখ ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেস। সেখানেও বহু মানুষ ৩০০ টাকা দিয়ে হেল্থ কার্ড নিয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে- মিরপুরে ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেসের অফিসে আরবি গান ছেড়ে অমানুষিক নির্যাতন করেন তারই ব্যবসায়িক পার্টনার থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী চাকরিজীবীদের। কিন্তু নিজে প্রতিবন্ধী হয়ে কীভাবে তিনি এ কাজ করেন? এ বিষয়ে জালাল হোসেন নামে পুরান ঢাকার একজন ভুক্তভোগী গণমাধ্যমকে বলেন, অনলাইনে ফ্ল্যাট বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করেন নাফকো রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের সঙ্গে। ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেস সার্ভিস লিমিটেডের অফিসের ৬ষ্ঠতলায় তারই বাবার প্রতিষ্ঠান নাফকো অবস্থিত। প্রতারক ফয়সাল এর হেল্থ এক্সপ্রেসে বিনিয়োগ করলে সেই লাভের টাকা দিয়েই ফ্ল্যাট কেনা সম্ভব এমন আশ্বাসে জালাল ৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। পাশাপাশি তার ফ্ল্যাট বাবদ ২৫ লাখ টাকা আগেই তুলে দিয়েছিলেন শেখ ফয়সালের হাতে। কিছুদিন পর ব্যবসার লভ্যাংশ তো দূরের কথা- ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দিতে তালবাহানা শুরু করেন।

এর কিছুদিন পর জালাল ব্যবসায়িক কাজে বিদেশ গেলে তাকে বিদেশ থেকে গোল্ড বার নিয়ে আসতে বলেন ফয়সাল। গোল্ড বারের টাকার সঙ্গে আগের সকল পাওনা টাকা বুঝিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু ঘটে উল্টোটা। এ সময় ব্যবসায়ী জালালকে ফয়সালের অফিসে ডেকে রাতভর উচ্চ ভলিউমে আরবি গান ছেড়ে বন্দুক ও লাঠি-লোহার রড দিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতন শেষে জালালের সামনে ইয়াবা রেখে ভিডিও চিত্র ধারণ করেন। মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে স্বীকারোক্তি নেয়া হয় ফয়সালের কাছে তার কোনো টাকা পাওনা নেই। এরপর ফয়সালের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে ব্যবসায়ী জালালকে তার বাসায় নামিয়ে দেন। এসব ঘটনার পর ফয়সালের বাবা নতুন করে দলিল করে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়ার চুক্তি করেন। কিন্তু এটা ছিল তার নতুন ফাঁদ। গা শিউরে ওঠা ফয়সালের এই নির্যাতনের সাক্ষী বহু মানুষ।

মিরপুর-১০ নম্বরে এক ট্রাভেল এজেন্সির মালিকও তার নির্যাতনের শিকার। শেখ ফয়সাল বরাবরই আয়েশি জীবনে অভ্যস্ত। মাঝে-মধ্যে দলবল নিয়ে চলে যান দুবাই। সেখানে থাকেন তারকা হোটেলে। ফয়সালের ভিসাসহ এসব কাজ করে দিতেন মিরপুর-১০ নম্বরের ব্যবসায়ী ইমন। ফয়সালের বিমানের টিকিট, হোটেল ভাড়া সবকিছু তিনিই ঠিক করে দিতেন। সেই টিকিট কাটতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। ৬ লাখ টাকার টিকিট করে দেয়ার পর সেই টাকা নিয়ে তালবাহানা শুরু করেন ফয়সাল।

পরে দুবাইয়ে থাকাকালীন ১ লাখ দিরহামের ব্যবস্থা করে দিতে ইমনকে অনুরোধ করেন। সেই দিরহামের ব্যবস্থা করে দিয়ে ফয়সালের মিরপুর অফিসে টাকা আনতে গেলে পাওনা ৪০ হাজার টাকা হাতে দিয়ে সিনেমা স্টাইলে ফয়সালের লোকজন সেই টাকা কেড়ে নেয়। পরে তাকেও আটকে নির্যাতন করা হয়। এরপর তার থেকে ভিডিও বক্তব্য নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। পাওনা টাকা ফেরত চাইলে দেশে ফিরে ফয়সাল উল্টো ৪৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ভুয়া মামলা দেয় ইমনের বিরুদ্ধে। তার সঙ্গে মিরপুর-৬ নম্বরের এক স্থানীয় নেতা এবং তারই সহকারী রাসেলও আসামি হন এই মামলায়। তুরাগ থানায় করা ভুয়া মামলাটি পরে খারিজ হয় আদালতে। এ ঘটনায় জড়িত মশিউর ঢাকা ছেড়ে তার গ্রামের বাড়ি নড়াইলে চলে যান। মিরপুর থানায় ৬ লাখ টাকার জিডি করলেও বাকি ৩৪ লাখ টাকার কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেননি তারা।

ফয়সাল যে শুধুই এসব ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা বা নির্যাতন করেছেন তেমনটি নয়। তার প্রতিষ্ঠানে যারা বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করেছেন তাদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছেন। অলিফিন বিডি- রাজধানীর মোহাম্মদপুরের হুমায়ুন রোডে সাউন্ড সিস্টেমের কাজ করে এই প্রতিষ্ঠানটি। আব্দুল্লাহ আল সাব্বির প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। তিনি ফয়সালের জিমে সাউন্ড সিস্টেমের কাজ করতেন। কিন্তু কাজ শেষে সেই টাকা নিয়ে শুরু হয় তালবাহানা। দফায় দফায় যোগাযোগ করা হয় শেখ ফয়সালের সঙ্গে। পরে সেই টাকা আনতে প্রতিষ্ঠানের এক কর্মী ফয়সালের অফিসে গেলে তাকেও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অফিস থেকে বের করে দেয় ফয়সালের লোকজন।

শেখ ফয়সালের এমন প্রতারণা নতুন নয়। ২০২১ সালে নিজ জেলা গোপালগঞ্জে নিজেকে ডিবি পরিচয় দিয়ে দুই যুবককে নির্যাতন করেন। পরে ভুয়া ডিবি সাজার অপরাধে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা হয় শেখ ফয়সালের নামে। এ মামলায় আসামি ছিল আর দুইজন।

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে শেখ ফয়সাল গণমাধ্যমকে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। যারা অভিযোগ করেছেন তারা প্রত্যেকেই প্রতারক বলেও দাবি করেন ফয়সাল। তিনি বলেন, আমার ফেসবুক পেজে প্রায় ১০ মিলিয়ন ফলোয়ার। এটা এমনি এমনি হয়নি। আমি কীভাবে মানুষকে নির্যাতন করবো। আমি নিজেই তো একজন পঙ্গু মানুষ।

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

অ্যন্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক স্বল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।

টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয় তাসকিন আহমেদকে। এই পেসারই প্রথম ব্রেকথ্রু দেন দলকে। ১৪তম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্রাথওয়েট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পায়ে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রাথওয়েট। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি কেসি কার্টি। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকেই তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তাসকিনের মিডল এবং লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টায় লিডিং এজ হয়ে মিড অনে থাকা তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টি।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার।

এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন আথানজেও। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপের মতো খেলেছিলেন আথানজে। যদিও তেমন গতি না থাকায় তার ব্যাটে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। দশটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩০ বলে ৯০ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি