পাকিস্তানি বলে গুলিস্তানের ড্রেস বিক্রি করতো গুলশানের ‘সানভীস বাই তনি’
ছবি: সংগৃহীত
প্রতারণার অভিযোগে গুলশানের ‘সানভিস বাই তানি’ শোরুমটি সিলগালা করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা সুরক্ষা অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে শোরুমটি বন্ধ করে দেয়।
দেশে তৈরি পোশাক পাকিস্তানি বলে বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগে সোমবার গুলশান শুটিং ক্লাব এলাকার একটি মার্কেটে ভোক্তা বিষয়ক অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল শোরুমটি সিলগালা করে দেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনি। রাজধানীতে কয়েকটি শোরুম আছে তার। অনলাইনেও বিক্রি করেন পোশাক এবং কসমেটিক্স। তবে এবার আলোচনায় আসলেন প্রতারণার অভিযোগে।
ভোক্তা অধিকার অধিদফতর বলছে, তৈরি পোশাক বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে কসমেটিক্স বিক্রি করা হতো এই আউটলেটে। তৈরি পোশাকের মধ্যে রয়েছে গুলিস্তান, মিরপুর, সাভার ও টঙ্গী এলাকার মালামাল।
অভিযান পরিচালনার সময় আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, ভোক্তা অধিদফতরের অভিযোগের সফটওয়্যারে এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে। এরপর প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশি পোশাকগুলো বিদেশি বলে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল অনলাইনে এবং এই দোকানে।
তিনি বলেন, তারা অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করে। কিন্তু ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়। শত শত কাস্টমার এভাবে প্রতারিত হচ্ছে।
জালিয়াতির অভিযোগ উঠলে তাদের শুনানির জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তারা তা দেখেও সাড়া দেয়নি। যেহেতু তারা সাড়া দেয়নি, হাজিরও হয়নি, তাই আমরা মনে করি এই অভিযোগগুলো সত্য। আমি এসে তার প্রমাণ পেয়েছি। এখানে তারা পাকিস্তানি পোষাকের পক্ষে কোনো নথি, প্রমাণ দেখাতে পারেনিবে।
আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, আমরা তাদের শোরুমটি বন্ধ করে দিয়েছি। এখন তারা নথিসহ ভোক্তা সুরক্ষা বিভাগে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেবেন। কতজন গ্রাহককে এই পোশাকগুলি সরবরাহ করা হয়েছে সে সম্পর্কেও এটি তথ্য সরবরাহ করবে।