দেশে নতুন মাদক ‘ব্ল্যাক কোকেন’ উদ্ধার
ছবি: সংগৃহীত
কারবারিরা বিভিন্ন সময় নতুন নতুন মাদক নিয়ে আসছে দেশে। মাদক বহনে অভিনব কৌশলও অবলম্বন করছে তারা। এবার প্রথমবারের মতো মিলল ব্ল্যাক কোকেন নামের নতুন মাদক। এটি ভাবিয়ে তুলেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ (ডিএনসি) সংশ্লিষ্টদের।
সম্প্রতি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে এক ব্যক্তির বাসায় উদ্ধারকৃত কিছু কলমের সিসের মতো কালো জিনিস উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলো পরীক্ষাগারে পরীক্ষার পর চোখ ছানাবড়া কর্মকর্তাদের। সেগুলো অন্য কিছু নয়, নতুন মাদক ব্লাক কোকেন। তবে এই মাদক কিভাবে দেশে আসলো তা জানা যায়নি। কোকেন সাধারণত সাদা রঙের দানাদার বা পাউডার আকারে হয়। তবে এবার ব্ল্যাক কোকেন উদ্ধার হওয়ায় ভাবিয়ে তুলেছে ডিএনসিকে।
ডিএনসির ফরিদপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত মে মাসে রাজধানীর মতিঝিলে একটি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে ফরিদপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। ওই ঘটনায় করা মামলার তদন্তে মাদক কারবারি হিসেবে রুবেলের নাম আসে। ওই চালানে জড়িতদের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।
এরপরই তার বাসায় অভিযান চালানো হয়। রুবেল এলাকায় এক সময় ইলেকট্রনিক্সের ব্যবসা করতেন। সম্প্রতি নির্দিষ্ট কোনো ব্যবসা নেই। জড়িয়ে পড়েন মাদক ব্যবসায়। বছরখানেক আগে ইয়াবাসহ ধরা পড়েছিল পুলিশের হাতে। বর্তমানে রুবেল পলাতক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে ডিএনসি।
এ বিষয়ে ডিএনসির ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক শামীম হোসেন বলেন, রুবেলকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মজিবুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, ব্ল্যাক কোকেন কখনও বাংলাদেশে পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশে নতুন মাদক হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। এ বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
ডিএনসি জানায়, ফরিদপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা গত ১১ ডিসেম্বর ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার ভুলবাড়িয়া গ্রামে আবুজার ওরফে রুবেলের বাড়িতে অভিযান চালান। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় ওই যুবক। তার শয়নকক্ষে তল্লাশি চালিয়ে ১৫ গ্রাম আইস, গুঁড়া ইয়াবা ১২ গ্রাম ও এক গ্রাম কোকেন জব্দ করা হয়।
এসব মাদকের পাশাপাশি স্বচ্ছ একটি পলি প্যাকেট পায় আভিযানিক দলটি। অতি সুরক্ষিতভাবে সেটি সংরক্ষণ করা দেখে তাদের সন্দেহ হয়। সেটির ভেতরে পেন্সিলের শীষের মতো কালো ৪৪টি টুকরো পাওয়া যায়। প্রতিটি পৌনে এক ইঞ্চি লম্বা ও চিকন, যার ওজন সাত গ্রাম। পরে সেগুলো জব্দ করা হয়। নিশ্চিত হওয়ার জন্য পাঠানো হয় ঢাকার গেণ্ডারিয়ায় ডিএনসির কেন্দ্রীয় রাসায়নিক পরীক্ষাগারে। পরীক্ষার পর জানা যায়, সেটি ব্ল্যাক কোকেন।