পার্লারে সেজে মার্কেটে গিয়ে, ঝগড়া বাধিয়ে ছিনতাই করেন মুক্তা বেগম
আটককৃত মুক্তা বেগম । ছবি সংগৃহিত
রাজধানীর একাধিক থানার তালিকাভুক্ত শীর্ষ নারী ছিনতাইকারী মুক্তা বেগম (৪০) গ্রেফতার হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় মিরপুর মডেল থানার ১০ নম্বর সেকশনের ওয়াসা ভবনের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন কল পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বাংলানিউজকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মুক্তা মার্কেটে গিয়ে কোনো মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া বাধিয়ে দেন, এরপর সুযোগ বুঝে মোবাইল, টাকা হাতিয়ে পালিয়ে যান। মুক্তা তালিকাভুক্ত শীর্ষ নারী ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা রয়েছে। তিনি সাতবার গ্রেপ্তার তারও হন।
পুলিশ আরও জানায়, মুক্তা প্রথম তার মায়ের কাছ থেকে চুরি করা শেখেন। তার মা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হলে নিজেই দল গড়েন মুক্তা। সঙ্গে একজনকে নিয়ে পুরো ঢাকা শহরে ছিনতাই শুরু করেন। মানুষের সন্দেহ এড়াতে তিনি অভিনব এক কৌশল গ্রহণ করেন। প্রতিবার ছিনতাইয়ে বের হওয়ার আগে বিউটি পার্লারে গিয়ে সেজে আসেন তিনি। তার সাজ দেখে উচ্চবিত্ত নারী মনে হওয়ায় সহজেই তাকে কেউ সন্দেহ করেন না। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ছিনতাই করছিলেন মুক্তা।
রোববারও একই কায়দায় শাওন আফরোজ নামের এক তরুণীর মোবাইল ও ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মুক্তা। কিন্তু ভুক্তভোগী তরুণীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে মুক্তাকে আটক করে। পরে ৯৯৯-এ ফোন করলে মিরপুর মডেল থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।