জাল সার্টিফিকেট তৈরি চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার
রাজধানীর নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের লালবাগ বিভাগ। বৃহস্পতিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর রামপুরা ও লালবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বেশকিছু জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (৫ মে) দুপুরে এ তথ্য জানিয়ে লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, অনেকদিন ধরেই টাকার বিনিময়ে চলমান ও বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েশন এবং পোস্ট গ্রাজুয়েশনসহ বিভিন্ন বোর্ডের সেকেন্ডারি, হায়ার সেকেন্ডারি সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বিক্রয় করে আসছিল একটি চক্র। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রামপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী নুরুন্নাহার মিতুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গ্রেপ্তাররা বোর্ড-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরবরাহ করা মূলকাগজ দিয়েই মার্কশিট ও সার্টিফিকেট তৈরি করে বিক্রি করতে। এরপর সেগুলো কর্মকর্তাদের মাধ্যমে অনলাইনে অন্তর্ভুক্ত করতো, যাতে করে অনলাইন ভেরিফিকেশনে সত্যতা পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী শুক্রবার সকালে লালবাগ থানার অন্তর্গত বড়ঘাট মসজিদ এলাকার কাশ্মীরি গলির একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইয়াসিন আলী ও দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটির পরিচালক বুলবুল আহমেদ বিপুকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ওই বাসা থেকে দামি ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, প্রিন্টারসহ বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকে সংগ্রহ করা ব্ল্যাংক মার্কশিট সার্টিফিকেট জব্দ করা হয়। এছাড়া ভুঁইফোড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট, মার্কশিট, টেস্টিমোনিয়াল তৈরি করা হতো। এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা আরও জানান, অনলাইন ভেরিফিকেশন করে সার্টিফিকেট বিক্রির সঙ্গে সরাসরি জড়িত এমন বিশ্ববিদ্যালয় ও বোর্ডের বেশ কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তির নাম পরিচয় পাওয়া গেছে।
কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া এসব প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গ্রেপ্তার নুরুন্নাহার মিতু ছাড়া অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলার রেকর্ড পাওয়া গেছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
/এএস