জাল টাকা কারবারি চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার
ফেসবুকে ভুয়া আইডির মাধ্যমে গ্রুপ খুলে জাল টাকা বিক্রির জন্য ক্রেতার খোঁজে প্রচার-প্রচারণা চালাতেন এই চক্রের সদস্যরা। গ্রুপে যোগ দেন জাল টাকার ব্যবসা করতে ইচ্ছুক কিছু যুবক। তারা মেসেঞ্জার, হোয়াটস্অ্যাপ ও টেলিগ্রাম ব্যবহার করতেন। এরপর শুরু হতো তাদের দরদাম ও কেনাবেচা। জাল টাকাকে তারা বিভিন্ন নামে ডাকতো যেমন- প্রোডাক্ট, মাল বা প্যাকেট।
রাজধানীর খিলগাঁও থানা এলাকা থেকে জাল টাকা তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এই চক্রের দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও থানা পুলিশ।
সোমবার (২৪ এপ্রি) বিকাল ৪টার দিকে খিলগাঁও থানার দক্ষিণ গোড়ান এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মো. আল আমিন ও মো. কাশেম আলী। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে এক লক্ষ ৮২ হাজার জাল টাকা এবং জাল টাকা তৈরির কাজে ব্যবহৃত ১টি ল্যাপটপ, ২টি মোবাইল ফোন ও ১টি প্রিন্টার জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম এ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শান্তিপুর এলাকার একটি বাসার ছাদে কয়েকজন লোক জাল টাকা ক্রয়-বিক্রয় করছে এমন একটি তথ্য পায় পুলিশ। এই তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় থানার একটি টিম। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় আল আমিন ও কাশেমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জাল টাকা বিক্রির কৌশল সম্পর্কে হায়াতুল ইসলাম বলেন, তাদের এ সাপ্লাই চেইন কয়েকটি ধাপে কাজ করত। প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে পাইকারি বা মধ্যসত্ত্বার মাধ্যমে খুচরা বিক্রেতার কাছে পৌঁছায়। প্রথম দিকে পাইকারি ক্রেতারা সরাসরি ‘প্রোডাক্ট’ গ্রহণ করলেও বিশ্বস্ততা বাড়লে বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের সহায়তায় বিলি করত।
উপ-পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, পুলিশের নজর এড়াতে ছোট নোটকেই টার্গেট করতো গ্রেপ্তারকৃতরা। কারণ ছোট নোটের বিষয়ে অভিযোগ দেওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। হাতেনাতে ধরা পড়া এড়াতে তারা অপেক্ষাকৃত কম আয়ের মানুষকে টার্গেট করত। ঈদুল ফিতরের পর ভারত থেকে উন্নতমানের সিকিউরিটি পেপার এনে জাল টাকা প্রিন্ট দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
কেএম/এমএমএ/