আধিপত্য বিস্তার নিয়েই যাত্রবাড়ীতে শাওনকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মিরহাজিরবাগ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাওনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (২১ ফ্রেব্রুয়ারি) রাতে মাদারীপুর ও যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মূল পরিকল্পনাকরী মিজানুর রহমান ওরফে মিজান বেপারী ও তার সহযোগী জুয়েল ওরফে ফুটবল জুয়েল। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর রাজধানীর কাওরান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শাওনকে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর শাওনের ভাই বাদী হয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এই হত্যাকাণ্ডে মূল পরিকল্পনাকারী মিজানুর রহমানকে ও জুয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আল মঈন আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভুক্তভোগী শাওন দীর্ঘদিন ধরে পরিবারসহ রাজধানী যাত্রাবাড়ীর মীরহাজিরবাগ এলাকায় বসবাস করে আসছিল এবং টিকাটুলীতে একটি ট্রাভেলস কোম্পানিতে চাকরি করতেন। শাওন ও আসামিরা সবাই যাত্রাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। গত বছরের মাঝামাঝি সময় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগীর সঙ্গে রজবের বাকবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে পুনরায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত মাসে ভুক্তভোগী শাওন এবং রজবের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি রজব তার বড় ভাই মিজানকে জানান। এরই জের ধরে ঘটনার দিন রাতে শাওন তার স্ত্রীর জন্য ওষুধ আনতে বাসা থেকে বাইরে বের হন। এসময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে রজব অতর্কিতভাবে শাওনকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করেন। এ সময় জুয়েল রাস্তার মোড়ে পাহারার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। শাওন পালানোর চেষ্টা করলেও আসামিরাতাকে ধরে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। ঘটনার পরপরই মিজান ও জুয়েল মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, মিজান যাত্রাবাড়ী এলাকার একজন চিহ্নিত অপরাধী। তার নামে যাত্রাবাড়ী ও মীরহাজিরবাগ এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সময় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি ও মারামারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। রজবের সঙ্গে শাওনের মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী ‘উচিত শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য তার নেতৃত্বেই শাওনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। তার নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৫টি মামলা রয়েছে।
কেএম/এসএন