রাজধানীতে মাদকের চালান ঢুকছে পণ্যবাহী ট্রাকে
রাজধানীতে বেশির ভাগ মদ, গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদকের চালান ঢুকছে পণ্যবাহী ট্রাকের মাধ্যমে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চোরাচালানের একটি বড় সিন্ডিকেট ধরার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি প্রধান) মো. হারুন অর রশিদ বলেছেন, রাজধানীর দারুস সালাম এলাকায় মালবাহী একটি ট্রাক আসার পর সেটা চেক করা হয়, সেখানে চালকের সিটের পেছন থেকে ২ কেজি ১০০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়। এ হেরোইনের বাজারমূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকার বেশি।
তিনি বলেন, যারা এটা সরবরাহ করেন তারা একে অপরকে খুব একটা চেনেন না, যে মালামাল দেয় সে একটা নম্বর দিয়ে দেয়, ওই নম্বরে তারা ফোন দিয়ে বলেন, আপনারা মালটা নিয়ে যান। এভাবেই চলে সরবরাহ। সারাদেশে রয়েছে তাদের এজেন্ট।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, মাদক কারবারিরা রুট পরিবর্তন করে হেরোইন আনা-নেওয়ার কাজ করছে। আগে মাদক ভারত থেকে দেশে ঢুকত রাজশাহীর গোদাগাড়ী পয়েন্ট দিয়ে, আর এখন তা আসছে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে। তবে এই এই এলাকার বড় মাদক ব্যবসায়ীর নাম জানতে পেরেছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে সেটি গণমাধ্যমে বলতে চান না গোয়েন্দারা।
জানা যায়, বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হলেও এর রমরমা বাজার রয়েছে। পাশের দুটি দেশ থেকে মাদক ঢুকছে প্রতিনিয়ত। আর এসব মাদকের মধ্যে ইয়াবা ফেনসিডিলের পরই হেরোইনের অবস্থান। দাম অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি হওয়ায় এটির রয়েছে নির্দিষ্ট শ্রেণির ভোক্তা।
গোয়েন্দা পুলিশের তথ্য মতে, একটি অভিযানে প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের হেরোইন উদ্ধার এবং চোরাচালানটির সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তারের পর মিলেছে নতুন রুটের সন্ধান। তা হলো সোনামসজিদ স্থলবন্দর। এ বন্দর দিয়েই পাচার হচ্ছে মাদকদ্রব্য।
ডিবি প্রধান মো. হারুন অর রশিদ বলেন, একসময় সীমান্তবর্তী জেলা রাজশাহীর গোদাগাড়ী দিয়ে দেশে হেরোইনের চালান আসত। তবে এ রুটটিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত অভিযানের কারণে কিছুটা কৌশল পরিবর্তন করেছে মাদক কারবারিরা। এজন্য তারা নতুন পথ বেছে নিয়েছে।
তিনি বলেন, রাজধানীতে বেশির ভাগ চালান ঢুকছে পণ্যবাহী ট্রাকের মাধ্যমে। যা আমাদের তদন্তে উঠে এসেছে, আমরা এ সব বিষয় নজরদারিতে রেখেছি। তবে কারবারিদের বিভিন্ন পয়েন্টে আছে এজেন্ট ও বিক্রয় প্রতিনিধি, তারা বিভিন্নভাবে কারবারিদের সহযোগিতা করেন।
কেএম/আরএ/