বিকাশে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৫
বিকাশে প্রতারণার অভিযোগে ঢাকায় পাঁচ প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার (১২ ফ্রেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-খোরশেদ আলম, মো. ফয়সাল হাসান ফাহিম, আনোয়ার পারভেজ ভূঁইয়া, মো. মমিনুল ইসলাম এবং মো. নজরুল ইসলাম। খোরশেদ আলম মোবাইল অপারেটর কোম্পানি বাংলালিংকের এজেন্ট। বাকিরা বিকাশের এজেন্ট এবং দোকানদার। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ৫৪টি সিম উদ্ধার করা হয়।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মহসীন এসব তথ্য জানিয়েছেন করেছেন।
তিনি বলেন, প্রতারক এই চক্রের মূল হোতা খোরশেদ আলম। তিনি বাংলালিংকের মার্কেট অপারেশন ডিস্ট্রিবিউটরের একজন এজেন্ট। তিনি মূলত বাংলালিংকের সিম নিবন্ধক। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সিম বিক্রি করেন। এজেন্ট হওয়ার সুবাদে তিনি বিভিন্ন বস্তি এলাকায় গিয়ে কৌশলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেন।
পরে সংগৃহীত এসব ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সিম ইস্যু করেন। এসব সিম তিনি বিক্রি করেন বিকাশ এজেন্ট আনোয়ার ও ফয়সালের কাছে। সাধারণত একটি সিম ৬০ টাকা হলেও এসব সিম খোরশেদ বিক্রি করেন ২০০ টাকা করে। ২০০ টাকা দরে কেনা এসব সিম আবার ৩০০ টাকা দরে আনোয়ার ও ফয়সালের কাছ থেকে কিনে নেন বিকাশ দোকানদার মোমিনুল। পরে এসব সিম থেকেই বিকাশ এজেন্ট, কর্মকর্তা সেজে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়।
ওসি আরও বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি মাহতাফ হোসেন তার বিকাশ নাম্বারে ১২ হাজার টাকা ক্যাশ ইন করেন। বাসায় ফেরার পর তাকে ফোন করে জানানো হয় ক্যাশ ইন করার সময় ভুল নম্বরে টাকা চলে যাওয়ায় একটি নাম্বার লক করে দেওয়া হয়েছে। সেই লক খোলার জন্য ওটিপি মাহতাফের নাম্বারে পাঠানো হয়েছে।
মাহতাফ সেই নাম্বার বলার পর দেখেন তার বিকাশ থেকে ৪৭৯৪০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর ওই নাম্বারে ফোন করলে সেই ফোন বন্ধ পান। পরে থানায় অভিযোগ করলে আজ ভোর সাড়ে ৪ টায় খোরশেদ আলমকে ডেমরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
কেএম/এমএমএ/