এক বছরে আইসের জব্দ বেড়েছে ৪ গুণ
ফাইল ছবি
গত বছরে নতুন মাদক ক্রিস্টাল মেথ বা আইস জব্দের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১৪ কেজি, যা ২০২১ সালের চেয়ে ৪ গুণ বেশি। শত চেষ্টায়ও রোধ করা যাচ্ছে না মাদকের বিস্তার। গত বছর প্রতিদিনে ২৭৫টি করে মাদকের মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে গড়ে সাড়ে ৩০০ জন। বর্তমানে উদ্বেগের বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই নতুন মাদক।
শুক্রবার (১০ ফ্রেব্রুয়ারি) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক তানভীর মমতাজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, ২০২০ সালে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে সরকার। শুরু হয় জোরেসোরে অভিযান। তবে কিছুতেই ইতি টানা যাচ্ছে না মাদকের ব্যবহার।
অধিদপ্তরের গত ৩ বছরের হিসাবে, ২০২০ সালে মাদক সংশ্লিষ্টতায় গ্রেপ্তার হয়েছে ১৮ হাজার। ২০২১ সালে ২২ হাজার আর ২০২২ সালে তা প্রায় ২৮ হাজার। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ২০২০ সালে গ্রেপ্তার করে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৪৩ জনকে, ২০২২ সালে এসে তা দাঁড়ায় ১ লাখ ২৫ হাজারে। প্রচলিত মাদকের বাইরে সবচেয়ে বড় বিপদের বার্তা দিচ্ছে আইস। ২০২১ সালে জব্দের পরিমাণ ছিল ৩৬ কেজি, গত বছরে চার গুণ বেড়ে হয়েছে ১১৪ কেজি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক তানভীর মমতাজ বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার জোর গোয়েন্দা কার্যক্রম ও আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াচ্ছে অধিদপ্তর। এর মাধ্যমেই শনাক্ত করা হবে পাচারের রুট ও স্পট।
জাতীয় মাদকবিরোধী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য অরুপ রতন চৌধুরী বলেন, মামলা, জব্দ ও গ্রেপ্তার বাড়ার বিপরীতে মাদকসেবীর সংখ্যা বাড়ার বার্তা পাচ্ছেন বিশ্লেষকরা। আর এজন্য ব্যর্থ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো।
মাদক মামলার সাজা দৃশ্যমান হলে চাহিদা, সরবরাহ দুটোই কমবে উল্লেখ করে মাদকসেবী দমনের চেয়ে নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব দিতে বলছে জাতীয় মাদকবিরোধী উপদেষ্টা কমিটি।
কেএম/এসজি