শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বড় কারবারিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে, ঢাকায় দেদারছে ঢুকছে ইয়াবা

ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বড় ব্যবসায়ীরা বরাবরই থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। যারা ধরা পড়েন তাদের কেউই ইয়াবার ব্যবসায়ী নয়। এরা সবাই ইয়াবার বাহক মাত্র। সামান্য অর্থের বিনিময়ে তারা ইয়াবার চালান এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিরাপদে পৌঁছে দেন। এই বাহকদের মধ্যে বেশির ভাগই হচ্ছেন গাড়ি চালক, হেলপার, ভাসমান মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণির লোক। ইয়াবা সেবনকারীরাও বাহক হিসেবে ব্যবহৃত হন। এ সব তথ্য পুলিশ ও গোয়েন্দাদের।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়েই রাজধানীতে প্রতিদিন ঢুকছে ইয়াবার চালান। মাদকসেবীদের কাছে অন্য যেকোনো মাদকের চেয়ে ইয়াবার চাহিদা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, ইয়াবা আকারে ছোট হওয়ায় এটি সহজেই নানা কৌশলে বহন করা যায়। আর এক শ্রেণির মানুষ অতিরিক্ত টাকার নেশায় মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করে।

গোয়েন্দা তথ্য মতে, বর্তমানে ঢাকাতে ইয়াবা প্রবেশ করছে সড়ক ও নৌ পথ দিয়ে। গাবতলী, যাত্রাবাড়ি, আব্দুল্লাহপুর টঙ্গি, আমিন বাজার, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালসহ বিভিন্ন পথে ইয়াবার চালান ঢাকায় ঢুকছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২১ ও ২০২২ সালে শুধু ঢাকা বিভাগেই ৪ হাজারেরও বেশি সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ীর একটি চুড়ান্ত তালিকা করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, যাদের চিহ্নিত করে এই তালিকা করা হয়েছে, তাদের নজরদারিতে রেখে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে বেশির ভাগ গডফাদাররা গ্রেপ্তার হয়নি। অনেকে এটি ছেড়ে অন্যান্য ব্যবসায় যুক্ত হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাদক ব্যবসায় জড়িত গডফাদার এবং প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। কারণ প্রভাবশালীরা অনেক সময় এর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে না। তারা দূর থেকে মাদক কারবারিদের সহযোগিতা করে। যে্ কারণে মূলত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মাদকবিরোধী অভিযানের তেমন কোনো সফলতা আসে না।

ঢাকা মেট্রাপলিটন পুলিশের একটি তথ্য অনুযায়ি, ২০১৮ সালে ডিএমপির মাদক বিরোধী অভিযানে ১৬ হাজার ৯২০ জন মাদক সেবনকারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার করা হয় ১০ হাজার ৮০০ জনকে। ২০২০ সালে ১৪ হাজার ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২১ সালে গ্রেপ্তার করা হয় ১৬ হাজার ২০০ জন ব্যক্তিকে। গত বছর গ্রেপ্তার করা হয় ১৮ হাজার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, পুলিশ সর্বদা মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। মাদকসেবী ও মাদক কারবারিদের তথ্য পুলিশকে দিয়ে সহযোগিতা করুন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। যেসব এলাকা দিয়ে ঢাকায় ইয়াবা বা অন্যান্য মাদক প্রবেশ করে সেসব এলাকায় আমাদের মেট্রোপলিটন পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ অপরাধীদের ধরতে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে থাকে।

তিনি বলেন, যদি আপনাদের কাছে মাদক কারবারীদের কোনো তথ্য থাকে তাহলে আপনারা এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেই ইয়াবা বা অন্যান্য মাদক অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা

আজিনুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ফের উত্তেজনা। সীমান্ত এলাকায় ভুট্টাক্ষেতে কাজ করার সময় ভারতের কয়েকজন নাগরিক এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গিয়ে সোপর্দ করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে। এ ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের জমগ্রাম ডাঙ্গার পার এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ৮০১-এর ১০/১১ নম্বর সাব-পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটে।

ধৃত যুবকের নাম আজিনুর রহমান (২৬)। তিনি ওই ইউনিয়নের জমগ্রাম ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুর হোসেনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো আজিনুর তার মায়ের সঙ্গে ভুট্টা জমিতে পাতা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। তখন ভারতের কোচবিহার জেলার ছোট কুচলীবাড়ি এলাকার অন্তত ১০-১২ জন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে আজিনুরকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়।

এরপর তাকে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবির ঠ্যাংঝাড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, "আমাদের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, আজিনুরকে ভারতীয় নাগরিকরা ধরে নিয়ে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের চেষ্টা করছি।"

তিনি আরও জানান, ঘটনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত আজিনুরকে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে শনিবার (১৯ এপ্রিল) বৈঠকে বসছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মুশফিক উস সালেহীন জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধি দল অংশ নেবে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সদ্য অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের বিষয়ে যৌথ অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটি হয়েছে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও গঠনমূলক পরিবেশে। আলোচনায় উঠে এসেছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত এবং কৌশলগত সহযোগিতার নানা দিক।

বৈঠকে দুই দেশ বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা এবং পারস্পরিক সংযোগ বৃদ্ধিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও।

পাকিস্তান তাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশ মৎস্য ও সামুদ্রিক খাতে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

দুই দেশ চট্টগ্রাম-করাচি রুটে সরাসরি নৌ চলাচল চালুর ব্যাপারে একমত হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা-ইসলামাবাদ সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভ্রমণ ও ভিসা সহজীকরণের ক্ষেত্রেও অগ্রগতির প্রশংসা করে উভয়পক্ষ।

বৈঠকে শিক্ষাখাতে গভীর সহযোগিতা ও পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তির প্রস্তাবের জন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। গণমাধ্যম, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াক্ষেত্রে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব বাড়াতে সম্ভাব্য সমঝোতা স্মারক নিয়েও আলোচনা হয়।

সার্ক বিষয়েও উভয়পক্ষ একমত হয় যে, আঞ্চলিক এই জোটকে পুনরুজ্জীবিত করা দরকার এবং তা যেন রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে থাকে।

বৈঠকে গাজায় ইসরায়েলের হামলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানায় দুই দেশ। কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দেয়।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে অবস্থানকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই দেশের মধ্যে পরবর্তী পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক ২০২৬ সালে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক
ভেঙে গেল পরীমনি-সাদীর প্রেম? রহস্যময় পোস্টে তোলপাড় নেটদুনিয়া
বগুড়া বিমানবন্দর চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত, জুলাই থেকেই শুরু হতে পারে ফ্লাইট চলাচল
বেনজীরকে বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার, ৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি