স্বামীর খোঁজে ঢাকায় এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, গ্রেপ্তার ৫
স্বামীর খোঁজে গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী (২৯)। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- বিল্লাল হোসেন, আল-আমিন হোসেন, সবুজ, রাসেল ওরফে মোল্লা রাসেল ও শফিকুল ইসলাম।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তেজগাঁও ডিসি অফিসে নিজ কার্যালয় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক। এর আগে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গাবতলী, ডেমরা, বছিলা ও ভোলার তজুমুদ্দিন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিসি এইচ এম আজিমুল হক বলেন, ওই নারী চার মাস আগে শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে সন্তানদের স্বামীর কাছে রেখে তিনি গ্রামের বাড়িতে চলে যান। এর মধ্যে কিছু না জানিয়েই স্বামী তাকে তালাক দেন। তালাকের কারণসহ এ বিষয়ে আলোচনা করতে গত ২৫ জানুয়ারি বাড়ি থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি তার আগের বাসায় এসে তার স্বামী-সন্তানকে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। বাড়ির মালিক, পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়ারা কেউ তার স্বামী-সন্তানদের ঠিকানা দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, এভাবে রাত প্রায় ৯টা পর্যন্ত স্বামী সন্তানদের সন্ধান না পেয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি বছিলা চল্লিশফিট তিন রাস্তার মোড় থেকে একটি রিকশা ভাড়া নেন। কিন্তু রিকশাওয়ালা ওই নারীকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে না নিয়ে ঢাকা উদ্যান ও বছিলা এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরাতে থাকেন এবং বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন। প্রায় তিন ঘণ্টা রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে আনুমানিক রাত সাড়ে ১২টার দিকে বছিলা ফিউচার টাউনের একটি জায়গায় যায়। রিকশাচালক ও তার সঙ্গীরাসহ ওই নারীকে ঘরে নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে পাঁচজনে ধর্ষণ করেন এবং দুইজন পাহারা দিয়ে সহযোগিতা করে।
ডিসি বলেন, এক পর্যায়ে নারীর চিৎকারে এলাকায় দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ড ও লোকজন বেরিয়ে আসে। এ সময় আসামিরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওসিসিতে পাঠায়।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর থানার এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ওই নারীর মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার পাঁচজন ওই নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে ও দুজন আশপাশে অবস্থান করে সহযোগিতা করে। ধর্ষণকারী পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুততম সময়ে সহায়তাকারী বাকি দুজনকেও গ্রেপ্তার করা হবে।
কেএম/এসএন