চালকদের গলা কেটে অটোরিকশা ছিনতাই করতেন তারা!
রাজধানী বিভিন্ন এলাকা ও মৌলভীবাজারে অভিযান চালিয়ে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকদের টার্গেট করে গলা কেটে ছিনতাই চক্রের ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এ তথ্য জানান ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।
গ্রেপ্তাররা হলেন— মো. খালেদ খান শুভ (২০), মো. টিপু (৩১), মো. হাসানুল ইসলাম ওরফে সান (২০), মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০), আব্দুল মজিদ (২৯) ও মো. সুমন (৩৫)।
গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, আপরাধীরা রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় চলাচল করা ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকদের টার্গেট করত। এরপর নিরিবিলি গন্তব্যের উদ্দেশে যাওয়ার জন্য অটোরিকশা ভাড়া করে নিয়ে যাওয়া হতো। পূর্বপরিকল্পিত স্থানে নিয়ে গলা কেটে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনিয়ে নেওয়া হতো। এরপর চালকের মরদেহ নিরিবিলি এলাকায় ফেলে পালিয়ে যেত চক্রটি।
পুলিশ জানায়, গত ডিসেম্বরে পরপর একই ভাবে দক্ষিণখান এলাকার দুই অটোরিকশা চালককে হত্যার পরে গাড়ি ছিনতাই করে চক্রটি। ভুক্তভোগী পরিবারের দায়ের করা মামলার তদন্তে নেমে ভয়ংকর এই চক্রের সন্ধান পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তরা বিভাগ।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, এ চক্রের ছয় জন সদস্য। তাদের মধ্যে তিন জন চালকদের হত্যা করে রিকশা এনে দিত। এরপর চক্রের অপর সদস্যরা অটোরিকশা বিক্রি করত।
হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তারের সময় আসামিদের থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাকু ও পাথর উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া নিহত মোস্তফার (৩৫) ছিনতাই হওয়া মোবাইলে ও অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বলছে, গত ডিসেম্বর মাসের ৮ ও ২৫ তারিখ একই কায়দায় অটোরিকশা চালক মো. মোস্তফা (৩৫) ও জিহাদ (১৫) নামের দুই চালকের অটোরিকশা ভাড়া করেন মো. টিপু, হাসান ও শুভ। পরবর্তীতে মোস্তফাকে আশিয়ান সিটি ও জিহাদকে পূর্বাচল এলাকায় নিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যা শেষে একইভাবে দুজনের মরদেহ নির্জন এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়।
হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের আদালতের নেওয়ার পর রিমান্ড চাওয়া হবে। রিমান্ড শেষে আরও তথ্য জানানো যাবে।
কেএম/আরএ/