জেনিথ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৫
জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি নামে নতুন ভুয়া ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি খুলে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তাররা হলেন- এরশাদ শেখ (৩১), নাঈম শেখ (২৬), শহিদুল্লাহ (২৩), ইলিয়াস আহম্মেদ (২৫), জামাল উদ্দিন (৫২), জিয়াউর রহমান (২৫), মহসিন কবির (৪২), কামরুল শেখ (১৯), আজিজুল ইসলাম (২০), হুমায়ূন শেখ (২১), রাহাত ওরফে অনিক (১৯), মাওলানা মাইনুদ্দিন (২৩), বারহাম মিয়া (২০), হিজবুল্লাহ (১৯) ও চাঁন মিয়া (১৯)।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) র্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান এ তথ্য জানান।
এএসপি আ ন ম ইমরান খান বলেন, চাকরিপ্রত্যাশী শত শত তরুণ-তরুণী ও ছাত্র-ছাত্রী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বিজ্ঞাপন সরলমনে বিশ্বাস করে চক্রটির অফিসে যায়। সেখানে প্রথমে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ৫২০ টাকা করে নেয়। পরে চাকরির নিশ্চয়তা ও মোটা অঙ্কের বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে বিমা পলিসি খুলতে বাধ্য করে। ইউনিট ম্যানেজার, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার প্রভৃতি পদে সাড়ে ১৮ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ইন্স্যুরেন্স করাতে প্রলুব্ধ করত চক্রটি।
এমনই তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সাভার মডেল থানার শিমুলতলা সুপার মার্কেটে অবস্থিত জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দল।
অভিযানে একটি ডেস্কটপ, একটি মনিটর, দুইটি প্রিন্টার, ১৫টি রেজিস্টার, ১৪টি মোবাইল, ১৪টি সিম কার্ড, ৯টি সিল, ৩০টি ভিজিটিং কার্ড, চারটি আইডি কার্ড, দুইটি ব্যানার, ২৫০টি বায়োডাটা ফরম, ২০০টি লিফলেট, একটি ক্যাশ ভাউচার এবং ৮টি আবেদন ফরম জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে এএসপি আ ন ম ইমরান খান বলেন, গ্রেপ্তাররা প্রতারণার কথা এবং চাকরিপ্রত্যাশী, বেকার, অসহায় লোকজনদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ আত্মসাৎ করার কথা স্বীকার করেছে।
তিনি আরও বলেন, চাকরি পাওয়ার পর মাসের পর মাস অফিসে আসা-যাওয়া করে বেতন না পেয়ে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে অনেকে তাদের টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি, মারধর এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হতো।
এ প্রতারক চক্র এর আগেও প্রতারণার দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার দায়ে ঢাকা জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
কেএম/এএস