পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা আত্মসাৎ
বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের কল্যাণ ট্রাস্ট শাখার পক্ষ থেকে একটি মামলাও করা হয়েছে। কিন্তু এখনো আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট নিজস্ব আয় দ্বারা পরিচালিত হয়। এ ট্রাস্ট থেকে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা চিকিৎসার সাহায্য পেয়ে থাকেন। এই ট্রাস্টের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম পুলিশ প্লাজা কনকর্ড। অভিযোগ উঠেছে গুলশানে অবস্থিত এই বিপনী বিতানের একটি দোকান থেকে গত চার বছর ধরে ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল বাবদ ২৯ লাখ ৩ হাজার ৮৪১ টাকা পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে।
অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) গুলশান থানায় মামলা একটি মামলা নথিভুক্ত হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের কল্যাণ ট্রাস্টের আইন কর্মকর্তা মো. সুজন আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলা নম্বর-২১। মামলা আসামি করা হয়েছে রাজধানীর মালিবাগের মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে তারেক হায়দারকে ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের মালিকানাধীন পুলিশ প্লাজা কনকর্ডের ২৪৭ নম্বর দোকানটি নিয়ম অনুযায়ী বরাদ্দ পত্রের মাধ্যমে ২০১০ সালের ৪ নভেম্বর নির্ধারিত ভাড়া প্রদানের শর্তে বরাদ্দ নেন তারেক হায়দার। দোকানটির মাসিক ভাড়া ৩৮ হাজার ৬০০ টাকা। কিন্তু ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর থেকে গত ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার দোকান ভাড়া ও ইউটিলিটি বিলের টাকা হিসেবে জমা হয়নি। গত ৪ ডিসেম্বর তারেক হায়দারের সঙ্গে পুলিশ প্লাজা কনকর্ডের ম্যানেজার মো. আল আমিন যোগাযোগ করলে তিনি টাকা পরিশোধ করবেন না বলে জানান। তারেক হায়দার পুলিশ প্লাজা কনকর্ডের দোকান ভাড়া নিয়ে নিয়মিত ভাড়া পরিশাধ না করে তা আত্মসাৎ করেন।
গত চার বছর ভাড়া এবং ইউটিলিটি বিল পরিশোধ না করার পরেও তারেক হায়দারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কল্যাণ ট্রাস্ট। এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের আইন কর্মকর্তা মো. সুজন আলীর সঙ্গে । কিন্তু এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক অমিত ভট্টাচর্য। ঢাকাপ্রকাশকে তিনি বলেন, মামলাটি নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে এখনো আসামি গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এনএইচ/জেডএকে