শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পিন্টু গ্রেপ্তার

বহুল আলোচিত পাবনার ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে ১৯৯৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এবং অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি জাকারিয়া পিন্টুকে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (২৫ জুন) র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদীতে ট্রেনে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। এছাড়াও, ২০১২, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে আধিপত্য বিস্তার, বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও ধ্বংসাত্বক কর্মকাণ্ডের জন্য তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা দায়ের হয়। এপর্যন্ত তার নামে ১টি মৃত্যুদণ্ড ও ১টি ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা পরোয়ানা ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধে ৬টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সর্বমোট ১৯টি মামলা রয়েছে।
রবিবার (২৬ জুন) র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমাণ্ডার খন্দকার আল মঈন।
কমাণ্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ট্রেনযোগে খুলনা হতে সৈয়দপুর যাবার পথে ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে পৌঁছালে সন্ধ্যা আনুমানিক ৬ দশমিক ২০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বগিকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটানো হয়। ওই ঘটনায় পাবনার ঈশ্বরদীর জিআরপি থানায় বিষ্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১টি মামলা রুজু হয়। আদালতের নির্দেশে মামলা তদন্তের দায়িত্ব সিআইডিকে প্রদান করা হলে সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা ৩ এপ্রিল ১৯৯৭ সালে সর্বমোট ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। এর মধ্যে ৫ জন আসামি মৃত্যুবরণ করায় তাদেরকে ঐ মামলা হতে অব্যাহতি প্রদান করে বাকী ৪৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৯ সালের ৩ জুলাই গ্রেপ্তারকৃত জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদে কারাদণ।ড প্রদান করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
কেএম/
