'আমরা মাল নিতে এসেছি, কারো জান নয়'

জানালার গ্রিল কেটে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে ৫ ডাকাত। ডাকাতির এক পর্যায়ে পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ্যে ডাকাতরা বলেন 'আমরা মাল নিতে আসছি, কারো জান নিতে আসিনি'। এই ডাকাত চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে এসব তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২০ জুন) টঙ্গীর নোয়াগাঁও এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. জাকির হোসেন (৩২), মো. সবুজ (৩৪), মো. ওমর (৩০) ও মো. ওসমান গনি স্বপন (৪০)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি স্বর্ণের চেইন, নগদ ১৪ হাজার টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি লোহার চাপাতি, ২টি লোহার লিভার, ২টি সেলাই রেঞ্চ, ১টি স্ক্রু ড্রাইভার ও ১ টি চাকু জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (২১জুন) ডিএমপি মিডিয়া কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি প্রধান) এ কে এম হাফিজ আক্তার এসব তথ্য জানান।
কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, গত ৪ এপ্রিল রাতের খাওয়া শেষে মো. আহসান উদ্দিন পরিবারের সাথে ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে জানালার গ্রিল কেটে ৫ জনের ডাকাত দল বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। রুমে ঢুকে বিদ্যুৎ লাইটের সুইচ অন করলে ভিকটিমের ঘুম ভেঙ্গে যায়। এরপর ডাকাত দলের একজন ভিকটিমের স্ত্রী শান্তা আক্তারের পরিহিত ওড়না দিয়ে তার দুই হাত পিছন দিক থেকে বেঁধে ফেলে। ডাকাত দলের একজন তার বুকের ডান পাশে পিস্তল ঠেকিয়ে রাখে এবং অপর ডাকাত রাম দা দিয়ে তার ঘাড়ে ধরে রাখে এবং তার স্ত্রী শান্তাকে বলে তোর শ্বশুর কোথায় টাকা রাখছে বের করে দে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ভিকটিমের স্ত্রী শান্তা বলেন 'আমাদের যা আছে সব নিয়ে যান কিন্তু আমাদের পরিবারের কারো কোন ক্ষতি কইরেন না।' তখন ডাকাত দলের একজন বলে আমরা মাল নিতে আসছি কারো জান নিতে আসি নি।
হাফিজ আক্তার আরো বলেন, এ ডাকাতির ঘটনায় স্বর্ণের ৩টি চেইন, ২টি কানের দুল, ১ জোড়া হাতের বালা, ২ সেট গলার হার, ৩টি আংটি, ১টি ডিএসএলআর ক্যামেরা, ১টি পাওয়ার ব্যাংক, বিছানার চাদর ও মূল্যবান কাপড়-চোপড় এবং নগদ ৩ লাখ ৩১ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৮ লাখ ৩৭ হাজার ৭৫০ টাকার সম্পদ লুট হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে বলে জানান পুলিশ পুলিশের এই কর্মকর্তা।
কেএম/এএস
