রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সীমান্ত এলাকা থেকে অস্ত্র ঢুকছে ঢাকায়, বহন করছেন নারীরাও

সরকারি বাহিনীর চোখ এড়াতে নানা কৌশলে অবৈধ অস্ত্রের কারবার করছে অস্ত্র ব্যবসায়ীরা। কয়েক দফায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর এ সব অপরাধীরা নতুন নতুন কৌশলে কাজ করছেন। গোয়েন্দা সংস্থার একটি তথ্য বলছে, দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে অস্ত্র প্রবেশ করে রাজধানী ঢাকায়। বিশেষ করে বাস ও ট্রেনে করেই অস্ত্রগুলো আনা হয়।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, অস্ত্র বহনের কাজে পুরুষরা থাকলেও বর্তমানে এ সব বহনে ব্যবহার করা হচ্ছে নারীদের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীরা এ কাজ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে আটকের পর রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে।

জানা যায়, প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রাজধানীতে ঢুকছে অবৈধ অস্ত্র। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন অস্ত্রের চোরাকারবারিরা। সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অস্ত্র আনার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নারীদের। সাধারণত গণপরিবহনে যাত্রীবেশে এ সব অবৈধ অস্ত্র নিয়ে আসেন চক্রের সদস্যরা। এরপর রাজধানীর বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবসায়ীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।

রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে সম্প্রতি বিদেশি পিস্তলসহ মোহাম্মদ রুহুল আমিন ওরফে রিপন নামে একজনকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে ও মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এ সব তথ্য জানতে পেরেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

পুলিশ বলছে, সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজধানীতে অবৈধ অস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য সক্রিয় রয়েছে বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে রাজধানীতে আনা হচ্ছে এ সব অবৈধ অস্ত্র। তবে গোয়েন্দা তথ্য এবং নজরদারির ভিত্তিতে অস্ত্র উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। যখনই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তখনই অভিযানে নামছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত রুহুল আমিন ওরফে রিপন জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, এক বছরের বেশি সময় ধরে তিনি অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এ সব অস্ত্র দাম ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা করে বিক্রি করেছেন তিনি। কাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করেছেন এ বিষয়ে বিস্তারিত না জানালেও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন রিপন। এই চক্রের আরও দুই সদস্যের নাম জানিয়েছেন তিনি। পরিচয় শনাক্তের পাশাপাশি তাদের ধরতে তৎপর রয়েছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারকৃত রিপনের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা রয়েছে। অস্ত্র সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য তিনি। সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজধানীতে তার কাছে পৌঁছে দেওয়া হতো অবৈধ অস্ত্র। পরে তিনি এগুলো বিক্রি করতেন। এ সব অবৈধ অস্ত্র দিয়েই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাস, ছিনতাই, রাহাজানি চালিয়ে আসছে একটি চক্র। এ সব অস্ত্র কাদের হাতে গেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অস্ত্র আনা-নেওয়ার জন্য ক্যারিয়ার হিসেবে মেয়েদের ব্যবহার করা হচ্ছে। তাদের কী ধরনের প্রলোভনে ফেলা হতো, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রিপন রাজধানীর মিরপুর-পল্লবী এলাকায় অস্ত্র বিক্রির জন্য নিয়োজিত ছিলেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির পল্লবী থানার এসআই সজিব খান বলেন, ‘বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অস্ত্র ব্যবসায়ী রুহুল আমিন ওরফে রিপনকে গ্রেপ্তার করেছি। বিদেশি পিস্তলসহ তার কাছ থেকে ১২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সে অনুযায়ী যাদের নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে অভিযান চালানো হচ্ছে।’

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, ‘বিদেশি অস্ত্র কিংবা গুলি ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক তারা সরবরাহ করতেন। রাজধানীতে এই চক্রের আরও যারা রয়েছেন, তাদের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া যেসব রুট ব্যবহার করা হয়, সে সম্পর্কেও আমরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।

একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য মতে, স্থল ও জলপথের ৩০ রুটে দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র আনা হচ্ছে। অস্ত্রের সবচেয়ে বড় চালান ঢুকছে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্ত দিয়ে। চট্টগ্রামের ৯টি রুট দিয়ে অস্ত্রের চালান আসছে। সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে অস্ত্র নিয়ে আসার জন্য সন্ত্রাসীরা একাধিক রুট ব্যবহার করছে। যশোরের চৌগাছা, ঝিকরগাছা, শার্শা উপজেলার ২৪০ কিলোমিটারজুড়ে ভারতীয় সীমান্ত।

তথ্য বলছে, শার্শার বেনাপোল স্থলবন্দর, চৌগাছা উপজেলার শাহজাদপুর, হিজলা, আন্দুলিয়া, মান্দারতলা, বেনাপোলের সীমান্তের গোগা, কায়বা, শিকারপুর ও দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অস্ত্রসহ বিভিন্ন চোরাচালান পণ্য দেশে ঢুকছে।

এদিকে আরেকটি তথ্য নিশ্চিত করে বলছে, সাতক্ষীরা সদরের কুশখালী ও গাজীপুর ঘাট দিয়ে সাধারণত চোরাচালান হয়ে অস্ত্র আসছে। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ভোলা নদী হয়ে এবং মোরেলগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলা দিয়ে বলেশ্বরী নদীপথে অবৈধ অস্ত্র হাত বদল হয়। চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, দিনাজপুরের হিলি, কুড়িগ্রামের দুর্গাপুর ও নাগেশ্বরী, খাগড়াছরির দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গার বরকল ও বাঘাইছড়ি, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও নেত্রকোনার দুর্গাপুর দিয়ে অবৈধ অস্ত্র আসছে। সিলেটের তামাবিল ও কুমিল্লা সীমান্ত দিয়েও আসছে অবৈধ অস্ত্র।

অবৈধ ছোট আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রয়েছে, ইতালির তৈরি ‘পেট্রো বেরেটা’, আমেরিকার ‘স্মিথ অ্যান্ড ওয়েসন’ স্পেনের ‘অ্যাস্ট্রা আনকেটা’র এবং ভারতের তৈরি পিস্তল ও রিভলবার। আছে অস্ট্রিয়ার গ্লোক পিস্তল-১৭, ভোলকেনিক ভলিশনাল রিপিটার, ওয়ালথার পিপি, পিপিকে/এস পিস্তল ও ফ্রান্সের বাউনিং হাইপাওয়ার সন্ত্রাসীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে।

এ ছাড়া আমেরিকার স্মিথ অ্যান্ড ওয়েসন ব্র্যান্ডের কয়েকটি মডেলের রিভলবার-পিস্তল এদেশের সন্ত্রাসীরা বর্তমানে বেশি ব্যবহার করছেন। এর বাইরে রয়েছে ভারতীয় পিস্তল ও রিভলবার।

সূত্র জানায়, পেট্রো বেরেটাসহ বিদেশি ওইসব অত্যাধুনিক অস্ত্রের মূল্য বৈধভাবে ৭০০ থেকে ১ হাজার মার্কিন ডলার। এ সব অস্ত্র বর্তমানে অবৈধভাবে কেনাবেচা হচ্ছে সাড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকায়। ছয় মাস আগেও বিক্রি হতো ৩ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকায়। ভারতীয় পিস্তল বেচাকেনা হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায়। মাস ছয়েক আগে ভারতীয় পিস্তলের দাম ছিল ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সন্দেহ এড়াতে অস্ত্র চোরাকাচালানীরা মহিলাদের স্পর্শকাতর স্থানে বিশেষভাবে রেখে ক্রেতা-বিক্রেতার কাছে সরবরাহ করছে। এছাড়া পেঁপে ও তরমুজের মধ্যে অস্ত্র রেখে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেওয়া হচ্ছে। এমনকি কাঁচা তরকারির গাড়ি, শিশুদের স্কুলব্যাগ, বাসের সিটের নিচসহ নানা কৌশলে অস্ত্র বহন করা হচ্ছে। অস্ত্র বহনের জন্য রয়েছে নারী ও পুরুষের বিশেষ সিন্ডিকেট।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, আমরাও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের করতে তৎপর রয়েছে। তারা কৌশলে অস্ত্র ব্যবসা করে আর আমরা তাদের কৌশলে ধরার চেষ্টা করে থাকি।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় নানা তথ্য ও গোয়েন্দা নজরদারির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছি। যারাই অবৈধ অস্ত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিংবা অস্ত্র সরবরাহের সঙ্গে জড়িত, তারা বিষয়ে নজরদারিতে রয়েছে। এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অবৈধ অস্ত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে।

কেএম/আরএ/

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি