৪৩তম বিসিএস: নন-ক্যাডারের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবি
বিসিএস নন-ক্যাডার তালিকা বাতিলের দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন। ছবি: সংগৃহীত
সদ্য ঘোষিত ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার বিজ্ঞপ্তিকে প্রহসনমূলক অ্যাখ্যা দিয়ে এটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ফলাফল প্রত্যাশীরা। সেই সঙ্গে বর্তমান পছন্দ তালিকা বাতিল করে অধিকসংখ্যক প্রার্থীর চাকরির সুপারিশের ব্যবস্থা করতে এবং আগের বিসিএসগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বৈষম্য হ্রাস করতেও দাবি জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে চাকরিপ্রার্থী নাসির উদ্দিন বলেন, সর্বশেষ ৩-৪টি বিসিএসে নন-ক্যাডারে চার থেকে পাঁচ হাজার প্রার্থী নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছেন। অথচ ৪৩তম বিসিএসে পদ মাত্র এক হাজার ৩৪২টি। আমরা এ প্রহসনমূলক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল চাই।
রাইসুল ইসলাম নামে আরেক চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডারের ফলাফল ঘোষণার আগে একটি বিধি প্রণয়ন করা হয়েছিল। ৪৫তম বিসিএস থেকে সেটি কার্যকর করার কথা। হঠাৎ করেই ৪৩তম বিসিএসে সেই বিধি কার্যকর করা হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, ১৫০০ নম্বরের পরীক্ষা দেওয়া প্রার্থীরা ক্যাডার হতে না পারলেও নন-ক্যাডারে একটি চাকরির আশায় দীর্ঘসময় অপেক্ষা করেছেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে পিএসসি যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, সেটি প্রহসন। পিএসসি আমাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। পিএসসির প্রতি আমাদের যে আস্থা ছিল, সেটি নষ্ট হচ্ছে। আমরা বেকার সমাজ, আমাদের প্রতি মানবিক দৃষ্টি দিন। আরও বেশি সংখ্যক পদে নিয়োগের সুপারিশ করুন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে ৪৩তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে এক হাজার ৩৪২ শূন্যপদে নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পদগুলোর মধ্যে নবম গ্রেডের ১৯৬টি, দশম গ্রেডের ৮৬১টি, ১১তম গ্রেডের ৬টি এবং ১২তম গ্রেডের ২৭৯টি। এসব পদে প্রার্থীদের কাছ থেকে পছন্দক্রম চেয়েছে পিএসসি।
আগামী ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রার্থীরা অনলাইনে পছন্দক্রম দিতে পারবেন। এ প্রক্রিয়া চলবে ১৯ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। পছন্দক্রম ফরম পূরণের নির্দেশাবলী পিএসসির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২২ সালের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করে পিএসসি। গত ২০ আগস্ট লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৪১ জন।
৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমসে ১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।