প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ১ম ধাপের পরীক্ষা ১ ডিসেম্বর
ছবি সংগৃহিত
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা পিছিয়েছে। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১ ডিসেম্বর প্রথম ধাপের নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই ধাপের পরীক্ষায় অংশ নেবেন বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগের চাকরিপ্রার্থী।
এ তথ্য জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি এবং অপারেশন) মনীষ চাকমা।
মনীষ চাকমা বলেন, ‘প্রথম ধাপের নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার সময় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় প্রথম ধাপের নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’
এর আগে বলা হয়েছিল, চলতি মাসের ২৪ নভেম্বর প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য গত ১৮ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এবারই প্রথম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বিভাগ ধরে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেওয়া হবে।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর আর্থিক জটিলতার কারণে আটকে ছিল পরীক্ষা। সম্প্রতি তা সমাধান হওয়ায় এ নিয়োগ পরীক্ষার পরিবর্তিত তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০ জন; ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮ এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৮ জন। এই নিয়োগের অনুমোদিত শূন্য পদের মধ্যে বেশির ঢাকা বিভাগে— ১ হাজার ৩৬৫ এবং সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে—৪১১টি।
এ ছাড়া বরিশালে ৮৭১টি, রংপুরে ৯৮৮, খুলনায় ৯৪০, ময়মনসিংহে ৫৯৯, রাজশাহীতে ১ হাজার ৫৮টি এবং চট্টগ্রামে ১ হাজার ২৩১টি শূন্য পদ রয়েছে।
তবে শূন্য পদ আরও বাড়তে পারে। কারণ, নিয়োগ কার্যক্রম চলাকালে অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের পদ শূন্য হবে।
সর্বশেষ ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। দুই বছরের বেশি সময় পর সেই নিয়োগ শেষ হয় গত জানুয়ারিতে। এতে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন প্রার্থী নির্বাচিত হন। তবে তাঁদের মধ্যে ২ হাজার ৫৫৭ জন চাকরিতে যোগ দেননি। ফলে এই পদগুলো শূন্য থেকে যায়।