প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন শূন্য পদে লোকবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। ১৯ অক্টোবর থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হবে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পদের সংখ্যা: ৫টি লোকবল নিয়োগ: ১২ জন
পদের নাম: কম্পিউটার অপারেটর পদসংখ্যা: ২টি বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ (গ্রেড-১৩) শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক বা সমমান ডিগ্রি।
পদের নাম: সাট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদসংখ্যা: ২টি বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ (গ্রেড-১৩) শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান ডিগ্রি।
পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদসংখ্যা: ২টি বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ (গ্রেড-১৬) শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে একটা পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া দরকার। কারণ, বায়তুল মোকাররমের খতিবের যদি পালিয়ে যাওয়া লাগে, তাহলে বুঝতে হবে কী পরিমাণ ধ্বংস করা হয়েছে সব খাত। হেন কোনো প্রতিষ্ঠান ছিল না, যা ধ্বংস করা হয়নি। সব অপরাধীর মধ্যে একটা জোট তৈরি হয়েছিল।’
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গতকাল রোববার আয়োজিত খাদ্যপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণবিষয়ক এক নীতিসংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সারা দেশে এক কোটি মানুষের জন্য পরিবার কার্ড চালু করে টিসিবি। পরিবার কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে বলে মন্তব্য করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সাধারণ কিছু তথ্য–উপাত্ত চেক করার পর পরিবার কার্ডের সংখ্যা ৫৭ লাখে নেমে আসে। আরেকবার চেক করলে সেটি আরও ২৫ লাখ কমে যাবে। একই বাড়িতে একাধিক কার্ড গেছে। যাঁরা দালানবাড়িতে থাকেন, তাঁদের হাতেও কার্ড আছে। এগুলো সংশোধন করা হবে।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘এক মাস ধরে আমার পরিবার বাজার থেকে খোলা সয়াবিন তেল কিনে খাচ্ছে। কারণ, খোলা ও বোতলজাত সয়াবিনের কোয়ালিটি (মান) একই। শুধু দামেই তফাত।’
তিনি জানান, সুপারশপ স্বপ্নকে খোলা তেল বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সয়াবিন তেলে ভিটামিন এ মিশ্রণ বাধ্যতামূলক। তবে সেটিকে ঐচ্ছিক করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘ভোগ্যপণ্য আমদানিতে বড় প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছিল এস আলম গ্রুপ। তাদের অনুপস্থিতিতে অংশীজনদের নিয়ে ব্যবস্থাপনা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে বড় কোনো বিপত্তি এখনো হয়নি। আশাকরি রমজানে কোনো সমস্যা হবে না। আমি নিশ্চিত করতে চাই, বাজারে কোনো পণ্যের সংকট নেই।’
কিশোরীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় এই দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হাতিরঝিল থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মেয়েটি রাজধানীর দক্ষিণখানের একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। মা–বাবার কাছে কেনাকাটার কথা বলে বাইরে বেরিয়েছিল সে। পরে আর বাসায় ফেরেনি। গতকাল রোববার হাতিরঝিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, হাত–পা বেঁধে পাঁচজন মিলে ধর্ষণের পর ওই কিশোরীকে হত্যা করেন তাঁরা।
ওই কিশোরী নিখোঁজ হয় গত ১৬ জানুয়ারি। পরে ১৯ জানুয়ারি দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ তারিখে একটি মামলা করেন তিনি। এরপর কিশোরীটির মুঠোফোন নম্বরের সূত্র ধরে ৩০ জানুয়ারি রবিন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাব্বি মৃধা নামের আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুজনকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত। এরপর রবিন ও রাব্বিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাঁরা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, পাঁচজন মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এতে তাঁর মৃত্যু হলে মরদেহ হাতিরঝিলে ফেলে দেওয়া হয়।
রাব্বি ও রবিনের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে আজ হাতিরঝিল থেকে ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মেয়েটিকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন রবিন ও রাব্বি মৃধা।পরে সন্ধ্যায় তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
হত্যাকাণ্ডের শিকার কিশোরীর বাবা ও মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ওই কিশোরীর বাবা একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। পরিবার নিয়ে থাকেন রাজধানীর দক্ষিণখানে। ১৬ জানুয়ারি বেলা দুইটার দিকে সে মা–বাবাকে বলেছিল, জরুরি কেনাকাটা করে দ্রুত বাসায় ফিরবে। কিন্তু সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও ফেরেনি।
কিশোরীটির বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে সেদিন দুপুরে বেরিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাসায় ফেরেনি। তখন আমি আত্মীয়স্বজনসহ সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু মেয়ের খোঁজ না পেয়ে তিন দিন পর দক্ষিণখান থানায় একটি জিডি করি।’
মেয়েটির বাবা আরও বলেন, ‘আমার যে মেয়েটি স্কুলে যেত, বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করত, আজ সে লাশ হয়ে বাসায় ফিরেছে। যারা আমার মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
পুলিশ কর্মকর্তাদের বলছেন, কিশোরীটিকে হত্যা করার পর মরদেহ বস্তাবন্দী করা হয়। এরপর ১৬ জানুয়ারি ঘটনার দিন মধ্যরাতেই মহাখালী থেকে রিকশায় করে মরদেহ হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজার সামনের সেতুতে নিয়ে আসেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণখান জোন) মো. নাসিম এ-গুলশান বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে রবিনের পরিচয় হয়। পরে তাকে মহাখালীর একটা বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে হত্যা করেন রবিনসহ পাঁচজন। ধর্ষণের সময় কিশোরীটির হাত-পা বাঁধা এবং মুখে কাপড় গোঁজা ছিল। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর তিনজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাইফুর রহমান মির্জা বলেন, ‘মেয়েটির বাবা থানায় জিডি করার পর গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করি। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে মেয়েটির সন্ধান না পেয়ে তার মুঠোফোনের সিডিআর (ফোনকলের বিস্তারিত তথ্য) জোগাড় করি। সেখানে একটি সন্দেহজনক নম্বর পাই। সেটিই ছিল রবিনের মুঠোফোন নম্বর।’
রবিনের মুঠোফোনের সূত্র ধরে কীভাবে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটিত হলো, সে বিষয়ে তদন্ত তদারক কর্মকর্তা মো. নাসিম এ-গুলশান বলেন, রবিনের মুঠোফোন নম্বরের সিডিআর পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কিশোরীটির সঙ্গে ঘটনার দিনই (১৬ জানুয়ারি) তাঁর প্রথম কথা হয়েছিল। রবিনের মুঠোফোনের সূত্র ধরে মহাখালীর একটি বাসার সন্ধানও পাওয়া যায়। এর মধ্যে গাজীপুর থেকে রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রাব্বিকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রথমে দুজনের কেউই কিশোরীর বিষয়ে তথ্য দিচ্ছিলেন না। পরে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান।
সহকারী কমিশনার নাসিম এ-গুলশান আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রবিন স্বীকার করেন, কিশোরীটিকে ‘ফাঁদে ফেলে’ সেদিন দুপুরে মহাখালীর একটি বাসায় নিয়ে যান তাঁরা। এরপর তার হাত–পা বেঁধে ফেলেন। মুখে গুঁজে দেন কাপড়। তারপর পাঁচজন মিলে তাকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে কিশোরীটি অচেতন হয়ে পড়ে। পরে সে মারা গেলে লাশ গুম করার পরিকল্পনা করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, কিশোরীটিকে হত্যা করার পর মরদেহ বস্তাবন্দী করা হয়। এরপর ১৬ জানুয়ারি ঘটনার দিন মধ্যরাতেই মহাখালী থেকে রিকশায় করে মরদেহ হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজার সামনের সেতুতে নিয়ে আসেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। মরদেহটি সেতু থেকে হাতিরঝিলে ফেলে দেন রবিন। এরপর যে যার বাসায় চলে যান।
সহকারী কমিশনার (দক্ষিণখান জোন) মো. নাসিম এ-গুলশান জানান, আসামিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিন পেশায় একজন গাড়িচালক। রাব্বি মৃধারও নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। অভিযুক্ত অন্য তিনজনও রবিনের পূর্বপরিচিত।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মাসব্যাপীর কর্মসূচীর অংশ হিসাবে আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করার সময় সাফায়েত নামে এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করার পর তাকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার খান সাবেশ শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে আহত পুলিশ সদস্যদের নাম জানাতে পারেননি ওসি।
টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. খোরশেদ আলম জানান, আওয়ামী লীগের কর্মসূচির অংশ হিসাবে লিফলেট বিতরণ করছিল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাফায়েত নামে এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় অন্যান্য নেতাকর্মীরা সাফায়েতকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশকে ঘোরাও করে রাখে। পরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ৫ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৮ জন আহত হন।
তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষের এক পর্যায়ে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশের একটি গাড়ি ভাংচুর করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক বলেন, ঘটনার খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় এক পুলিশ সদস্যকে স্থানীয়রা ধরে রাখে। পরে তাদেরকে বুঝিয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে ওসির কাছে বুঝিয়ে দিয়ে আসি।