শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সরকারি প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা কাটছে, পরীক্ষা অক্টোবরে

ছবি সংগৃহিত

অর্থ ছাড় নিয়ে দেখা দেওয়া জটিলতা কেটে যাওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনে প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অক্টোবর মাসের শেষ দিকে প্রথম ধাপে আবেদন করা রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা নিতে চান তারা। একই সঙ্গে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগেই বাকি দুই ধাপের লিখিত পরীক্ষাও শেষ করার লক্ষ্যে কাজ করছে অধিদপ্তর।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপে আবেদন শেষ হয় গত ২৪ মার্চ। ছয় মাস পার হলেও নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে কোনো সুখবর দিতে পারছিল না কর্তৃপক্ষ। মূলত অর্থ ছাড় নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা।

তিন ধাপে মোট সাড়ে ১১ লাখ চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র বলেছে, এই নিয়োগের জন্য দেশের আট বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত শূন্য পদ ৭ হাজার ৪৬৩টি।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদও দ্রুত নিয়োগ পরীক্ষা হবে বলে জানান।

ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ১১-১২ লাখ প্রার্থী। এত সংখ্যক প্রার্থীর পরীক্ষা নিতে হলে তো অনেক খরচ হবে। সেটি অর্থ মন্ত্রণালয় ছাড় না করলে আমাদের বা অধিদপ্তরের কিছু করার থাকে না। ইচ্ছা থাকলেও সেজন্য এতদিন নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছি। বলা চলে—ওটা হয়ে যাবে বা গেছেই। এখন নিয়োগ সংশ্লিষ্টরা বাকি প্রস্তুতি নেবেন। যত দূর জেনেছি, তারা অক্টোবরের ভেতরে একটা (প্রথম ধাপ) পরীক্ষা হয়তো নিয়ে নেবেন। পরীক্ষা কবে হবে, সেই সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা ভালো বলতে পারবেন।

এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে এই পরীক্ষা হতে পারে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, সাড়ে ১১ লাখ প্রার্থীর নিয়োগ পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন ও ফল ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা অধিদপ্তরের নেই। এ কারণে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন ও ফল ব্যবস্থাপনায় গ্রহণযোগ্যতা থাকা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) এই কাজে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ জন্য বুয়েটকে অর্থ দিতে হবে। এই ব্যয়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। এই অনুমোদন না দেওয়ায় নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজনও আটকে ছিল। বুয়েট গত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায়ও এভাবে যুক্ত ছিল।

এবারই প্রথম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বিভাগভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ ধাপে আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৪ মার্চ। প্রথম ধাপে আবেদন জমা পড়ে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০টি।

দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ১৪ এপ্রিল। দ্বিতীয় ধাপে আবেদন জমা পড়ে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮টি।

১৮ জুন তৃতীয় ও শেষ ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ ধাপে আবেদন শেষ হয় গত ৮ জুলাই। তৃতীয় ধাপে আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজারের কিছু বেশি।

এই নিয়োগের অনুমোদিত শূন্য পদের মধ্যে বেশি ঢাকা বিভাগে, ১ হাজার ৩৬৫ এবং সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে, ৪১১টি। বরিশালে ৮৭১, রংপুরে ৯৮৮, খুলনায় ৯৪০, ময়মনসিংহে ৫৯৯, রাজশাহীতে ১ হাজার ৫৮ এবং চট্টগ্রামে ১ হাজার ২৩১টি। তবে শূন্য পদ আরও বাড়তে পারে। কারণ, নিয়োগ কার্যক্রম চলাকালে অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের পদ শূন্য হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, নির্বাচনের আগে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনে নীতিগত সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা করবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), এটিও আগেই ঠিক করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থ ছাড়ের সম্মতির চিঠি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরে পৌঁছালে পরীক্ষার তারিখ ঠিক করতে শিগগির সভা ডাকা হবে। সেখানে তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।

সর্বশেষ ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। দুই বছরের বেশি সময় পর সেই নিয়োগ শেষ হয় গত জানুয়ারিতে। এতে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন প্রার্থী নির্বাচিত হন। তবে এর মধ্যে ২ হাজার ৫৫৭ জন চাকরিতে যোগ দেননি। ফলে এই পদগুলো শূন্য থেকে যায়।

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক