বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দেশের ছেলে-মেয়েরা গুগল, অ্যামাজনে চাকরি করবে: আবুবকর হানিপ

প্রকৌশল বিদ্যায় লেখাপড়া করে পাড়ি জমান সুদুর আমেরিকায়। ভেবেছিলেন সেখানে গিয়ে প্রথম সারির কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করবেন। কিন্তু চিন্তাও করেননি আমেরিকায় টিকে থাকতে হলে নতুন করে পড়তে হবে শিখতে হবে। যখন কোথাও ভাল চাকরি মেলেনি তখন কম্পিউটার বিদ্যার ওপর অধিক দক্ষতা অর্জন করতে স্কিল ডেভলপমেন্ট প্রগ্রোমে ভর্তি হন। সেখানে সংগ্রামী জীবন শেষ করে পেয়ে যান স্বপ্নের চাকরি। তার এই সংগ্রামী জীবনের পেছনে সারথি হিসেবে পান আই গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটি। সেখান থেকে উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে নিজের জীবনের চাকা যেমন ঘুরিয়ে ফেলেন। তেমনি হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন বুননের অগ্রনায়ক হিসেবে দেখা দেন আবুবকর হানিপ। তিনি এখন আই গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটির মালিক। স্বপ্ন দেখেন তার ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থীরা একদিন গুগল, টুইটার, অ্যামাজনে চাকরি করবে। নিজের সেই সংগ্রামী জীবনের কথা ও দেশের তরুন যুব সমাজের স্বপ্ন বুনন নিয়ে ঢাকাপ্রকাশ-এর মুখোমুখি হয়েছিলেন আবুবকর হানিপ।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার আই গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটির গল্পটা যদি একটু বলেন।
আবুবকর হানিপ: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করে আমেরিকাতে যাই। ওখানে গিয়ে আমি অড জব (রেস্টুরেন্ট বা নিম্ন শ্রেণির চাকরি) করতাম। তখন আমি ভাবলাম উচ্চ শিক্ষার বিকল্প নাই। সেজন্য আমি সেখানে কম্পিউটারে মাস্টার্স করলাম। সেখানে ৪ এর উপরে জিপিএ পেয়েও যখন চাকরি পাচ্ছিলাম না। তখন আমাকে এক্সর্টা স্কিল ডেভলেপমেন্টর উপরে সময় দিতে হয়েছিল। আমি অনেকগুলো কোর্স করলাম। এক সময় আমার একটা চাকরি হলো। সেই চাকরিটা মধ্য স্তর থেকে উচ্চ স্তরের চাকরি ছিল। আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখলাম মাস্টার্স করার পরেও স্কিল ডেভলপ করেই চাকরি হলো। যখন আমি চাকরিতে ঢুকলাম তখন আমার মাথায় ঢুকল কিভাবে বাংলাদেশীদেরকে আমেরিকার মূল ধারায় আনা যায়। ততক্ষণে আমি দেখেছি অনেকে বিবিএ-মাস্টার্স করেছে কিন্তু চাকরি পায়নি, তাদের আমন্ত্রণ করলাম। এরপর তাদেরকে প্রথমে আমার অ্যাপার্টমেন্টে রেখে পড়ালাম, তারপর আমার বাসার বেইজমেনন্টে রেখে পড়ালাম। প্রায় ৩০০ মানুষকে স্কিল ডেভলপ করে আমেরিকার মেইন স্ট্রিমের জব দিতে পেরেছিলাম। যেখানে তারা বছরে ৪০,০০০ হাজার ডলার আয় করত সেখানে তাদের ৮০,০০০-২০০,০০০ ডলারের উপরে চাকরি দিতে পেরেছি। তারপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন রাজ্যে আমাদের ইনস্টিটিউট চালু করলাম। এখন প্রায় ৭ হাজার এর অধিক মানুষ আমেরিকার মূল ধারায় চাকরি করছে। আমেরিকা সরকার প্রতিবছর ৬০ হাজার দক্ষ মানুষকে এইচ১বি (H1B) ক্যাটাগরির চাকরির ভিসা প্রদানের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে লোক নিয়ে যায়। তাদের ওখানে কিন্তু দক্ষ লোকের চাহিদা আছে। আমার কাছে তখন মনে হয়েছে এরকম একটা পদ্ধতি যদি থাকত, সেখানে যদি দক্ষতা উন্নয়নের পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে প্রত্যেকটা লোক যারা আমাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাকরি পাবে। এজন্য খুঁজে পেলাম ‘ইনোভেটিভ গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটি’ বা আই গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটি।

ঢাকাপ্রকাশ: আই গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটিতে ডিগ্রি নেওয়ার পর বাংলাদেশে বা অন্য কোন দেশে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন সুবিধা পাওয়া যায়?
আবুবকর হানিপ: আমেরিকার ডিগ্রি পৃথিবীর যে কোন জায়গায় গ্রহণযোগ্য ওখান থেকে কিউ ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরলে তার জন্য অনেক বড় বড় চাকরি অপেক্ষা করছে।

ঢাকাপ্রকাশ: আই গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটি আমেরিকা সরকারের অনুমোদন প্রাপ্ত কি-না?
আবুবকর হানিপ: আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৮ থেকে করা। এটা অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়। এটার এসিআরসি’র অনুমোদন আছে। ডিপার্টমেন্ট অব স্টেজের অনুমোদন আছে। যেটার মাধ্যমে ফ্যাকাল্টি পরিবর্তন হতে পারে। আমাদের শিক্ষার্থীরা বেশি লাভবান হবে। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আমাদের ফলো করবে। আমরা ডিগ্রি দিচ্ছি পাশাপাশি দক্ষতা শেখাচ্ছি।

ঢাকাপ্রকাশ: আই গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটির কতজন শিক্ষার্থী আমেরিকার ভিসা পেয়েছে?
আবুবকর হানিপ: বর্তমান কোয়ার্টারে বাংলাদেশ থেকে ৪০ জন ভিসা পেয়েছে। যেটা অক্টোবর থেকে শুরু হলো। জানুয়ারি থেকে যেটা শুরু হয়েছে এরইমধ্যে ৯০ জন ভিসা পেয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করছি ১৫০ ছাড়িয়ে যাবে। এটা শুধু বাংলাদেশের এছাড়া পৃথিবীর ১০০ টা দেশ থেকে আমাদের শিক্ষার্থী আসে। প্রায় ৬০০ এর মতো শিক্ষার্থী আছে। এছাড়া স্থানীয় শিক্ষার্থীরা আছে। আমেরিকার গ্রিন কার্ড যারা পাবে তাদের সহায়তা করা হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি কি স্বপ্ন দেখেন আপনার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গুগল, টুইটারে, অ্যামাজনে চাকরি করবে?
আবুবকর হানিপ: এটা তো হবেই। সে কারণেই আমার উদ্দেশ্য এখান থেকে যদি মেধাবী শিক্ষার্থী নিতে পারি। এদের যদি পরিচর্যা করতে পারি। তাহলে এরা আমেরিকার মূল ধারায় ফরচুন-১ কোম্পানিগুলোতে চাকরি করতে পারবে। সেই স্বপ্ন তো অবশ্যই দেখি। দেশে প্রাইভেট এবং পাবলিকসহ প্রায় ১৬২ টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তারমধ্যে ৫২টি হলো পাবলিক আর ১০৮ টি হলো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আর দুইটা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস রয়েছে। এসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে দক্ষতা উন্নয়ন হয়, তারা যাতে আমার পদ্ধতি অনুসরণ করে তারাও উপকৃত হতে পারে। আমি সহযোগিতা করব। সবার সঙ্গে কাজ করব। প্রতি বছর অসংখ্য শিক্ষার্থী বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে। সবারই লক্ষ্য থাকে সরকারি চাকরি। সবাই তো পায় না। দেখা যায় ডাক্তারি পরে পুলিশ অফিসার, ইঞ্জিনিয়ারিং চলে যাচ্ছে ফরেন ক্যাডারে। এদের যদি পরিপূর্ণভাবে দক্ষ করা যায় তাহলে যে সকল সাবজেক্টের চাহিদা রয়েছে সেগুলোর উপর দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমি স্বপ্ন দেখি একদিন আমার দেশের ছেলেরা ফরচুন-১ কোম্পানিগুলোতে চাকরি করবে।

ঢাকাপ্রকাশ: দীর্ঘক্ষণ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আবুবকর হানিপ: আপনাকেও ধন্যবাদ।

/এএস

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত