মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

দেশের ছেলে-মেয়েরা গুগল, অ্যামাজনে চাকরি করবে: আবুবকর হানিপ

প্রকৌশল বিদ্যায় লেখাপড়া করে পাড়ি জমান সুদুর আমেরিকায়। ভেবেছিলেন সেখানে গিয়ে প্রথম সারির কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করবেন। কিন্তু চিন্তাও করেননি আমেরিকায় টিকে থাকতে হলে নতুন করে পড়তে হবে শিখতে হবে। যখন কোথাও ভাল চাকরি মেলেনি তখন কম্পিউটার বিদ্যার ওপর অধিক দক্ষতা অর্জন করতে স্কিল ডেভলপমেন্ট প্রগ্রোমে ভর্তি হন। সেখানে সংগ্রামী জীবন শেষ করে পেয়ে যান স্বপ্নের চাকরি। তার এই সংগ্রামী জীবনের পেছনে সারথি হিসেবে পান আই গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটি। সেখান থেকে উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে নিজের জীবনের চাকা যেমন ঘুরিয়ে ফেলেন। তেমনি হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন বুননের অগ্রনায়ক হিসেবে দেখা দেন আবুবকর হানিপ। তিনি এখন আই গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটির মালিক। স্বপ্ন দেখেন তার ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থীরা একদিন গুগল, টুইটার, অ্যামাজনে চাকরি করবে। নিজের সেই সংগ্রামী জীবনের কথা ও দেশের তরুন যুব সমাজের স্বপ্ন বুনন নিয়ে ঢাকাপ্রকাশ-এর মুখোমুখি হয়েছিলেন আবুবকর হানিপ।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার আই গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটির গল্পটা যদি একটু বলেন।
আবুবকর হানিপ: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করে আমেরিকাতে যাই। ওখানে গিয়ে আমি অড জব (রেস্টুরেন্ট বা নিম্ন শ্রেণির চাকরি) করতাম। তখন আমি ভাবলাম উচ্চ শিক্ষার বিকল্প নাই। সেজন্য আমি সেখানে কম্পিউটারে মাস্টার্স করলাম। সেখানে ৪ এর উপরে জিপিএ পেয়েও যখন চাকরি পাচ্ছিলাম না। তখন আমাকে এক্সর্টা স্কিল ডেভলেপমেন্টর উপরে সময় দিতে হয়েছিল। আমি অনেকগুলো কোর্স করলাম। এক সময় আমার একটা চাকরি হলো। সেই চাকরিটা মধ্য স্তর থেকে উচ্চ স্তরের চাকরি ছিল। আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখলাম মাস্টার্স করার পরেও স্কিল ডেভলপ করেই চাকরি হলো। যখন আমি চাকরিতে ঢুকলাম তখন আমার মাথায় ঢুকল কিভাবে বাংলাদেশীদেরকে আমেরিকার মূল ধারায় আনা যায়। ততক্ষণে আমি দেখেছি অনেকে বিবিএ-মাস্টার্স করেছে কিন্তু চাকরি পায়নি, তাদের আমন্ত্রণ করলাম। এরপর তাদেরকে প্রথমে আমার অ্যাপার্টমেন্টে রেখে পড়ালাম, তারপর আমার বাসার বেইজমেনন্টে রেখে পড়ালাম। প্রায় ৩০০ মানুষকে স্কিল ডেভলপ করে আমেরিকার মেইন স্ট্রিমের জব দিতে পেরেছিলাম। যেখানে তারা বছরে ৪০,০০০ হাজার ডলার আয় করত সেখানে তাদের ৮০,০০০-২০০,০০০ ডলারের উপরে চাকরি দিতে পেরেছি। তারপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন রাজ্যে আমাদের ইনস্টিটিউট চালু করলাম। এখন প্রায় ৭ হাজার এর অধিক মানুষ আমেরিকার মূল ধারায় চাকরি করছে। আমেরিকা সরকার প্রতিবছর ৬০ হাজার দক্ষ মানুষকে এইচ১বি (H1B) ক্যাটাগরির চাকরির ভিসা প্রদানের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে লোক নিয়ে যায়। তাদের ওখানে কিন্তু দক্ষ লোকের চাহিদা আছে। আমার কাছে তখন মনে হয়েছে এরকম একটা পদ্ধতি যদি থাকত, সেখানে যদি দক্ষতা উন্নয়নের পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে প্রত্যেকটা লোক যারা আমাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাকরি পাবে। এজন্য খুঁজে পেলাম ‘ইনোভেটিভ গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটি’ বা আই গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটি।

ঢাকাপ্রকাশ: আই গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটিতে ডিগ্রি নেওয়ার পর বাংলাদেশে বা অন্য কোন দেশে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন সুবিধা পাওয়া যায়?
আবুবকর হানিপ: আমেরিকার ডিগ্রি পৃথিবীর যে কোন জায়গায় গ্রহণযোগ্য ওখান থেকে কিউ ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরলে তার জন্য অনেক বড় বড় চাকরি অপেক্ষা করছে।

ঢাকাপ্রকাশ: আই গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটি আমেরিকা সরকারের অনুমোদন প্রাপ্ত কি-না?
আবুবকর হানিপ: আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৮ থেকে করা। এটা অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়। এটার এসিআরসি’র অনুমোদন আছে। ডিপার্টমেন্ট অব স্টেজের অনুমোদন আছে। যেটার মাধ্যমে ফ্যাকাল্টি পরিবর্তন হতে পারে। আমাদের শিক্ষার্থীরা বেশি লাভবান হবে। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আমাদের ফলো করবে। আমরা ডিগ্রি দিচ্ছি পাশাপাশি দক্ষতা শেখাচ্ছি।

ঢাকাপ্রকাশ: আই গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটির কতজন শিক্ষার্থী আমেরিকার ভিসা পেয়েছে?
আবুবকর হানিপ: বর্তমান কোয়ার্টারে বাংলাদেশ থেকে ৪০ জন ভিসা পেয়েছে। যেটা অক্টোবর থেকে শুরু হলো। জানুয়ারি থেকে যেটা শুরু হয়েছে এরইমধ্যে ৯০ জন ভিসা পেয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করছি ১৫০ ছাড়িয়ে যাবে। এটা শুধু বাংলাদেশের এছাড়া পৃথিবীর ১০০ টা দেশ থেকে আমাদের শিক্ষার্থী আসে। প্রায় ৬০০ এর মতো শিক্ষার্থী আছে। এছাড়া স্থানীয় শিক্ষার্থীরা আছে। আমেরিকার গ্রিন কার্ড যারা পাবে তাদের সহায়তা করা হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি কি স্বপ্ন দেখেন আপনার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গুগল, টুইটারে, অ্যামাজনে চাকরি করবে?
আবুবকর হানিপ: এটা তো হবেই। সে কারণেই আমার উদ্দেশ্য এখান থেকে যদি মেধাবী শিক্ষার্থী নিতে পারি। এদের যদি পরিচর্যা করতে পারি। তাহলে এরা আমেরিকার মূল ধারায় ফরচুন-১ কোম্পানিগুলোতে চাকরি করতে পারবে। সেই স্বপ্ন তো অবশ্যই দেখি। দেশে প্রাইভেট এবং পাবলিকসহ প্রায় ১৬২ টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তারমধ্যে ৫২টি হলো পাবলিক আর ১০৮ টি হলো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আর দুইটা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস রয়েছে। এসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে দক্ষতা উন্নয়ন হয়, তারা যাতে আমার পদ্ধতি অনুসরণ করে তারাও উপকৃত হতে পারে। আমি সহযোগিতা করব। সবার সঙ্গে কাজ করব। প্রতি বছর অসংখ্য শিক্ষার্থী বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে। সবারই লক্ষ্য থাকে সরকারি চাকরি। সবাই তো পায় না। দেখা যায় ডাক্তারি পরে পুলিশ অফিসার, ইঞ্জিনিয়ারিং চলে যাচ্ছে ফরেন ক্যাডারে। এদের যদি পরিপূর্ণভাবে দক্ষ করা যায় তাহলে যে সকল সাবজেক্টের চাহিদা রয়েছে সেগুলোর উপর দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমি স্বপ্ন দেখি একদিন আমার দেশের ছেলেরা ফরচুন-১ কোম্পানিগুলোতে চাকরি করবে।

ঢাকাপ্রকাশ: দীর্ঘক্ষণ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আবুবকর হানিপ: আপনাকেও ধন্যবাদ।

/এএস

Header Ad
Header Ad

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

নকশাবহির্ভূত রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এতে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের অভ্যন্তরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদিত নকশায় না থাকলেও বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ (রেস্টুরেন্ট) পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবনের ছাদে অবৈধভাবে রুফটপ রেস্তোরাঁ পরিচালিত হচ্ছে, যা জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ পরিচালনা করায় এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনৈতিক উপায়ে করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে।

ডিএসসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্পদ ও জানমালের ঝুঁকি এড়াতে নকশাবহির্ভূত সব রেস্তোরাঁ এবং ভবনের ছাদে স্থাপিত রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করা হলো। বাতিল করা লাইসেন্স দিয়ে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘যেসব রেস্তোরাঁ সঠিক তথ্য না দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। তবে ভবনের অনুমোদন কিন্তু বাতিল করা হয়নি। ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সশরীর উপস্থিত হয়ে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত দিলে সেগুলো সচল করা হবে।’

বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি। ছবি: সংগৃহীত

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি রেস্তোরাঁকে আলাদা করে চিঠি পাঠাব।’

ডিএসসিসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেন, কোনো প্রকার আলোচনা না করেই ডিএসসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম চলছে। ব্যবসাগুলো এক দিনে গড়ে ওঠেনি। রাজউকের পাস করা ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ নেই বললেই চলে। বিগত সরকারের সময় এই জটিলতা নিরসনে একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছিল। সেই টাস্কফোর্সের দুটি বৈঠক হয়েছিল। তারপর তো সরকার বদল হয়ে গেল।

ইমরান হাসান বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে এখন যদি ডিএসসিসি অভিযানে নামে, তাহলে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতি হলে আমাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর রেস্তোরাঁর অনুমোদন ও অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি সামনে আসে। ওই ভবনে আটটি রেস্তোরাঁ ছিল, তবে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চার বছর আগে দেশের রেস্তোরাঁ খাত নিয়ে একটি জরিপ করে। সেই জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে মোট হোটেল ও রেস্তোরাঁ ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি, যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশি। সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৫২টি। বাকি সব ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।

রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতে চাইলে একজন বিনিয়োগকারীকে সরকারের সাতটি সংস্থার অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিতে হয়। রেস্তোরাঁর জন্য প্রথমে নিবন্ধন ও পরে লাইসেন্স নিতে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ২০২৪ সালের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের সব সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করছে মাত্র ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে ১২৮টি রেস্তোরাঁ।

Header Ad
Header Ad

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ও জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব কমিয়ে এনে মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জনরোষের মুখে পড়েছেন।” পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো

নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। ছবি: সংগৃহীত

বারবার নিলাম ডেকেও এস আলম গ্রুপের বন্ধকী সম্পত্তির কোনো ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না দেশের ব্যাংকগুলো। ফলে ঋণ আদায়ে এখন বাধ্য হয়ে অর্থ ঋণ আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছে তারা। এতে পুরো প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত ও জটিল হয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রামভিত্তিক এই শিল্পগোষ্ঠী ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জনতা ব্যাংক ১০,৭০০ কোটি টাকার বিপরীতে ছয়বার নিলাম ডেকেও কোনো সাড়া পায়নি। একইভাবে ইসলামী ব্যাংকও সাত দফা নিলাম আয়োজন করেও ব্যর্থ হয়েছে, যার মধ্যে আইডিয়াল ফ্লাওয়ার মিলসের ১,১০০ কোটি টাকার ঋণ সংক্রান্ত নিলামও অন্তর্ভুক্ত।

সাম্প্রতিক সময়ে এস আলম গ্রুপের একাধিক স্টিল মিল, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জমি নিলামে তোলা হলেও দরপত্র জমা পড়েনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আইনি প্রক্রিয়া পূরণের জন্যই তারা এসব নিলাম ডাকছেন, যদিও আগ্রহী ক্রেতার দেখা মিলছে না। অনেকেই এই বিষয়টিকে ভয় পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তারা।

অভিযোগ রয়েছে, এস আলম গ্রুপ সরাসরি ও পরোক্ষভাবে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যার বড় একটি অংশ বিদেশে পাচার হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে গ্রুপটির নিয়ন্ত্রণ জব্দ করে।

বর্তমানে এস আলম গ্রুপের ওপর কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে ১৪ সদস্যের বিশেষ লিগ্যাল টিম। একই সঙ্গে তাদের জব্দকৃত শেয়ার বিক্রির জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য