শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫ | ২১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

দেশের ছেলে-মেয়েরা গুগল, অ্যামাজনে চাকরি করবে: আবুবকর হানিপ

প্রকৌশল বিদ্যায় লেখাপড়া করে পাড়ি জমান সুদুর আমেরিকায়। ভেবেছিলেন সেখানে গিয়ে প্রথম সারির কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করবেন। কিন্তু চিন্তাও করেননি আমেরিকায় টিকে থাকতে হলে নতুন করে পড়তে হবে শিখতে হবে। যখন কোথাও ভাল চাকরি মেলেনি তখন কম্পিউটার বিদ্যার ওপর অধিক দক্ষতা অর্জন করতে স্কিল ডেভলপমেন্ট প্রগ্রোমে ভর্তি হন। সেখানে সংগ্রামী জীবন শেষ করে পেয়ে যান স্বপ্নের চাকরি। তার এই সংগ্রামী জীবনের পেছনে সারথি হিসেবে পান আই গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটি। সেখান থেকে উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে নিজের জীবনের চাকা যেমন ঘুরিয়ে ফেলেন। তেমনি হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন বুননের অগ্রনায়ক হিসেবে দেখা দেন আবুবকর হানিপ। তিনি এখন আই গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটির মালিক। স্বপ্ন দেখেন তার ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থীরা একদিন গুগল, টুইটার, অ্যামাজনে চাকরি করবে। নিজের সেই সংগ্রামী জীবনের কথা ও দেশের তরুন যুব সমাজের স্বপ্ন বুনন নিয়ে ঢাকাপ্রকাশ-এর মুখোমুখি হয়েছিলেন আবুবকর হানিপ।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার আই গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটির গল্পটা যদি একটু বলেন।
আবুবকর হানিপ: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করে আমেরিকাতে যাই। ওখানে গিয়ে আমি অড জব (রেস্টুরেন্ট বা নিম্ন শ্রেণির চাকরি) করতাম। তখন আমি ভাবলাম উচ্চ শিক্ষার বিকল্প নাই। সেজন্য আমি সেখানে কম্পিউটারে মাস্টার্স করলাম। সেখানে ৪ এর উপরে জিপিএ পেয়েও যখন চাকরি পাচ্ছিলাম না। তখন আমাকে এক্সর্টা স্কিল ডেভলেপমেন্টর উপরে সময় দিতে হয়েছিল। আমি অনেকগুলো কোর্স করলাম। এক সময় আমার একটা চাকরি হলো। সেই চাকরিটা মধ্য স্তর থেকে উচ্চ স্তরের চাকরি ছিল। আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখলাম মাস্টার্স করার পরেও স্কিল ডেভলপ করেই চাকরি হলো। যখন আমি চাকরিতে ঢুকলাম তখন আমার মাথায় ঢুকল কিভাবে বাংলাদেশীদেরকে আমেরিকার মূল ধারায় আনা যায়। ততক্ষণে আমি দেখেছি অনেকে বিবিএ-মাস্টার্স করেছে কিন্তু চাকরি পায়নি, তাদের আমন্ত্রণ করলাম। এরপর তাদেরকে প্রথমে আমার অ্যাপার্টমেন্টে রেখে পড়ালাম, তারপর আমার বাসার বেইজমেনন্টে রেখে পড়ালাম। প্রায় ৩০০ মানুষকে স্কিল ডেভলপ করে আমেরিকার মেইন স্ট্রিমের জব দিতে পেরেছিলাম। যেখানে তারা বছরে ৪০,০০০ হাজার ডলার আয় করত সেখানে তাদের ৮০,০০০-২০০,০০০ ডলারের উপরে চাকরি দিতে পেরেছি। তারপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন রাজ্যে আমাদের ইনস্টিটিউট চালু করলাম। এখন প্রায় ৭ হাজার এর অধিক মানুষ আমেরিকার মূল ধারায় চাকরি করছে। আমেরিকা সরকার প্রতিবছর ৬০ হাজার দক্ষ মানুষকে এইচ১বি (H1B) ক্যাটাগরির চাকরির ভিসা প্রদানের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে লোক নিয়ে যায়। তাদের ওখানে কিন্তু দক্ষ লোকের চাহিদা আছে। আমার কাছে তখন মনে হয়েছে এরকম একটা পদ্ধতি যদি থাকত, সেখানে যদি দক্ষতা উন্নয়নের পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে প্রত্যেকটা লোক যারা আমাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাকরি পাবে। এজন্য খুঁজে পেলাম ‘ইনোভেটিভ গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটি’ বা আই গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটি।

ঢাকাপ্রকাশ: আই গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটিতে ডিগ্রি নেওয়ার পর বাংলাদেশে বা অন্য কোন দেশে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন সুবিধা পাওয়া যায়?
আবুবকর হানিপ: আমেরিকার ডিগ্রি পৃথিবীর যে কোন জায়গায় গ্রহণযোগ্য ওখান থেকে কিউ ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরলে তার জন্য অনেক বড় বড় চাকরি অপেক্ষা করছে।

ঢাকাপ্রকাশ: আই গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটি আমেরিকা সরকারের অনুমোদন প্রাপ্ত কি-না?
আবুবকর হানিপ: আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৮ থেকে করা। এটা অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়। এটার এসিআরসি’র অনুমোদন আছে। ডিপার্টমেন্ট অব স্টেজের অনুমোদন আছে। যেটার মাধ্যমে ফ্যাকাল্টি পরিবর্তন হতে পারে। আমাদের শিক্ষার্থীরা বেশি লাভবান হবে। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আমাদের ফলো করবে। আমরা ডিগ্রি দিচ্ছি পাশাপাশি দক্ষতা শেখাচ্ছি।

ঢাকাপ্রকাশ: আই গ্লোবাল ইউনির্ভাসিটির কতজন শিক্ষার্থী আমেরিকার ভিসা পেয়েছে?
আবুবকর হানিপ: বর্তমান কোয়ার্টারে বাংলাদেশ থেকে ৪০ জন ভিসা পেয়েছে। যেটা অক্টোবর থেকে শুরু হলো। জানুয়ারি থেকে যেটা শুরু হয়েছে এরইমধ্যে ৯০ জন ভিসা পেয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করছি ১৫০ ছাড়িয়ে যাবে। এটা শুধু বাংলাদেশের এছাড়া পৃথিবীর ১০০ টা দেশ থেকে আমাদের শিক্ষার্থী আসে। প্রায় ৬০০ এর মতো শিক্ষার্থী আছে। এছাড়া স্থানীয় শিক্ষার্থীরা আছে। আমেরিকার গ্রিন কার্ড যারা পাবে তাদের সহায়তা করা হবে।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি কি স্বপ্ন দেখেন আপনার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গুগল, টুইটারে, অ্যামাজনে চাকরি করবে?
আবুবকর হানিপ: এটা তো হবেই। সে কারণেই আমার উদ্দেশ্য এখান থেকে যদি মেধাবী শিক্ষার্থী নিতে পারি। এদের যদি পরিচর্যা করতে পারি। তাহলে এরা আমেরিকার মূল ধারায় ফরচুন-১ কোম্পানিগুলোতে চাকরি করতে পারবে। সেই স্বপ্ন তো অবশ্যই দেখি। দেশে প্রাইভেট এবং পাবলিকসহ প্রায় ১৬২ টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তারমধ্যে ৫২টি হলো পাবলিক আর ১০৮ টি হলো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আর দুইটা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস রয়েছে। এসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে দক্ষতা উন্নয়ন হয়, তারা যাতে আমার পদ্ধতি অনুসরণ করে তারাও উপকৃত হতে পারে। আমি সহযোগিতা করব। সবার সঙ্গে কাজ করব। প্রতি বছর অসংখ্য শিক্ষার্থী বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে। সবারই লক্ষ্য থাকে সরকারি চাকরি। সবাই তো পায় না। দেখা যায় ডাক্তারি পরে পুলিশ অফিসার, ইঞ্জিনিয়ারিং চলে যাচ্ছে ফরেন ক্যাডারে। এদের যদি পরিপূর্ণভাবে দক্ষ করা যায় তাহলে যে সকল সাবজেক্টের চাহিদা রয়েছে সেগুলোর উপর দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমি স্বপ্ন দেখি একদিন আমার দেশের ছেলেরা ফরচুন-১ কোম্পানিগুলোতে চাকরি করবে।

ঢাকাপ্রকাশ: দীর্ঘক্ষণ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আবুবকর হানিপ: আপনাকেও ধন্যবাদ।

/এএস

Header Ad
Header Ad

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হলেন সেনাপ্রধান

পদক গ্রহণ করছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনালের ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট পদে ভূষিত করা হয়েছে। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জনগণের সার্বিক উন্নয়নে, বিশেষ করে চিকিৎসা খাতে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকৃতি প্রদান করেই তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় আইএসপিআর।

আইএসপিআর জানায়, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফর শেষে আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান। সফরকালে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি কন্টিনজেন্টসমূহ ও বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সেনাবাহিনী প্রধানকে অবহিত করা হয়। এ সময় তিনি তাঁর মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সেনাবাহিনী প্রধান স্পেশাল রিপ্রেজেনটেটিভ অব দ্য সেক্রেটারি জেনারেল ভ্যালেন্টাইন রুগাবিজা এবং ফোর্স কমান্ডার লে. জেনারেল হামফ্রে নায়নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক্যান ফোর্স (এফএসিএ) এর প্রধান জেনারেল মামাদু জেফিরিনের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধান দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এবং সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক শান্তিরক্ষী মিশনের অধীনে বেসামরিক লোকদের সহায়তার অংশ হিসেবে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এ নির্মিত তোয়াদেরা কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন। এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট ফসটিন আরচেঞ্জ তৌদেরার সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জনগণের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রেসিডেন্ট সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাবাহিনী প্রধানকে সম্মানসূচক রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত করেন।

এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের বাংগি এলাকায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কন্টিনজেন্টসমূহ পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের এ সফর সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারের পাশাপাশি সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে আশা করা যায়।

উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী প্রধান গত ৩ মার্চ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফরে যান।

Header Ad
Header Ad

তৃতীয় বিয়ে করলেন অভিনেতা মিলন, পাত্রী কে?

অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন ও তার স্ত্রী শিপা। ছবি: সংগৃহীত

আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ছোট ও বড়পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। প্রায় এক মাস আগেই ভালোবাসার মাস ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে সারেন এ অভিনেতা।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। মিলন ও তার স্ত্রীকে দেখতে অভিনেতার বাড়ি থেকে ৫টি ছবি পোস্ট করেন তিনি।

পোস্ট করা ছবির ক্যাপশনে বিবাহিত জীবনের জন্য শুভকামনাও জানান চয়নিকা। শুধু যে চয়নিকা নব দম্পতিকে দেখতে গিয়েছিলেন এমন নয়। ছোট পর্দার অনেক অভিনয়শিল্পীই আজ মিলনের বাড়ি হাজির হন নতুন বউ দেখতে।

জানা যায়, মিলনের স্ত্রীর নাম শিপা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগামে দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, অভিনেতার প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল লুসি গোমেজ। ১৯৯৯ সালে তাদের বিয়ে হয়। ২০১৩ সালে তাদের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘটে। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী পলির সঙ্গে মিলনের বিয়ে ও চার বছরের সংসার জীবনের গুঞ্জন শোনা গেলেও তা অস্বীকার করে আসছিলেন অভিনেতা।

তবে ২০১৩ সালের অক্টোবরে শ্রীলঙ্কায় স্ত্রী-পুত্র সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছবি প্রকাশ করেন আনিসুর রহমান মিলন। সেই ছবি থেকে জানা যায়, তার স্ত্রীর নাম পলি আহমেদ এবং সন্তানের নাম মিহ্রান।

এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পলি আহমেদকে বিয়ে করেন। যিনি ২০২২ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

Header Ad
Header Ad

ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা

ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন ও প্রায় ৫৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়া ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে দুদক কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে এদিন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সোহানুর রহমান বাদি হয়ে লাক মিয়ার নামে মামলা করেন।

মামলার এজহারে বলা হয়, লাক মিয়া চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫৫ কোটি ২৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৫১ টাকা মূল্যের সম্পত্তির মালিকানা অর্জনপূর্বক দখলে রাখে।

তার নামে ৪৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৫০১ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করে। যার কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এদিকে একই অভিযোগে লাক মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধেও মামলা করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান।

মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধে করা মামলার এজহারে বলা হয়, স্বামীর সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ ২৩ হাজার ১৯৭ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অসাধু উপায়ে অর্জনপূর্বক দখলে রেখে এবং ১৪টি ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪৬১ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ১৪৬ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রুপান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হলেন সেনাপ্রধান
তৃতীয় বিয়ে করলেন অভিনেতা মিলন, পাত্রী কে?
ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা
লাইফ সাপোর্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক
যশোর সীমান্ত থেকে ৫ কোটি ১২ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ
অনেক কো-আর্টিস্ট, ডিরেক্টর তখন আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না: প্রভা
ভয়াবহ দাবানলের কবলে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, ২০ স্থানে ছড়িয়েছে আগুন (ভিডিও)
নাগরিক পার্টি ছাড়লেন আবু হানিফ, ফিরে গেলেন গণ অধিকার পরিষদে
প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
রোজায় বেড়েছে আনারসের চাহিদা, দ্রুত পাকাতে রাসায়নিক ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি
সন্তানের জন্য ‘ডন থ্রি’ সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ালেন কিয়ারা
অস্থিরতার কারণে এ বছর নির্বাচন কঠিন হবে: রয়টার্সকে নাহিদ ইসলাম
চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলেন মির্জা ফখরুল
বিয়ে বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে বরের মৃত্যু
মুশফিক অযু ছাড়া ব্যাট-বল স্পর্শ করতেন না: মুশফিকের স্ত্রী
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে ভারত, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও ভালো উন্নতি বাংলাদেশের
ছাত্র-জনতা কোথাও অভিযান চালাতে পারে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফ্রান্সে মুসলিম খেলোয়াড়দের রোজায় নিষেধাজ্ঞা
স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন আবরার ফাহাদসহ ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি
রাবিতে সভাপতি নিয়োগ নিয়ে দুই পক্ষের ধস্তাধস্তি