ঢামেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে আগুন
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০৮ নম্বর শিশু ওয়ার্ডের বারান্দায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় ওয়ার্ডে থাকা স্বজনরা তাদের শিশু রোগিদের নিয়ে এখানে সেখান ছোটাছুটি করে বেরিয়ে যান। পরে ওয়ার্ডে কর্মচারী ও আনসার সদস্যরা মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলে।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই ওয়ার্ডের বারান্দায় একটি স্টিলের আলমারির উপরে দুটি কাগজের কার্টুনে বোঝাই করা মালামাল থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
হাজারীবাগ থেকে জ্বর-বমি জনিত সমস্যায় শিশু আবির (৭) ৩ দিন আগে ওই ওয়ার্ডে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। ঘটনার সময় সঙ্গে থাকা তার মা খাদিজা বেগম জানান, হঠাৎ দেখি ওয়ার্ডের বারান্দায় স্টিলের আলমারির উপরের কার্টুন থেকে প্রচণ্ড ধোঁয়া বের হচ্ছে। সেই ধোঁয়ায় ওয়ার্ডের ভেতর ছেয়ে যায়। পরে ছেলেকে কোলে নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যাই। পাশাপাশি সবাই তাদের সন্তান নিয়ে এখানে সেখান ছোটাছুটি করে ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে যান। এ সময় ওয়ার্ডে এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
শিশু রোগী মুনিয়া আক্তারের চাচা খাদেমুল ইসলাম জানান, হঠাৎ শুনতে পাই 'আগুন, আগুন' চিৎকার। কী করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। অন্য আত্মীয়র মাধ্যমে মুনিয়াকে ওয়ার্ড থেকে বের করা হয়। পরে ওয়ার্ডের বারান্দায় গিয়ে দেখা যায় স্টিলের আলমারির উপরে দুটি কার্টুনের মালামাল থেকে প্রচণ্ড ধোঁয়া বের হচ্ছে। পরে আমরা, হাসপাতালের কর্মচারী ও আনসার সদস্যরা মিলে তা নিভিয়ে ফেলি।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, স্টিল আলমারির উপরে কাগজের কার্টুনে বেডশিট, পিপিই, কম্বলসহ আরও অনেক কিছু ছিল। সেখানে কোনো কারণে আগুনের স্পর্শ পেয়ে ধোয়া বের হতে থাকে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো রোগীর স্বজন মশার কয়েলের কিছু অংশ সেখানে রেখেছিল। সেটা থেকেও আগুন ধরতে পারে। কারণ ওই স্টিলের আলমারির উপরে মশার কয়েলের অংশবিশেষ পাওয়া গেছে।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক জানান, কারা ওই স্টিলের আলমারির উপরে মালামাল জমিয়ে রেখেছে তাদের খুঁজে বের করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও ঢামেক হাসপাতালের পুরাতন ভবন, নতুন ভবনের করোনা ইউনিটের আইসিইউ ও বার্ন ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।