যাত্রাবাড়ীর স্টিল মিলে আগুনে ঘটনায় দগ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়া এলাকায় শাহরিয়ার স্টিল মিলের পাইপ বিস্ফোরণে দগ্ধ শ্রমিক মো. শাহীন মারা গেছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা হলেন- মো. আকতার হোসেন ও মো. মাঈন উদ্দিন।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনর্চাজ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার সাড়ে ৮টার দিকে ওই স্টিল মিলে আগুনের সূত্রপাত হয়। দগ্ধ অবস্থায় শাহীন, আকতার ও মাঈনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে মারা যান শাহীন।
শাহীনের মামা মোতালেব জানান, শাহীন সাত মাস আগে বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রীর নাম মাহবুবা আক্তার। কাজের সুবিধার্থে যাত্রাবাড়ী এলাকায় থাকতেন তারা। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার বড় শাহীন। তিনি পঞ্চগড় সদরের সিঙ্গাপাড়া এলাকার আইয়ুব খানের ছেলে।
সহকর্মী শফিউল ইসলাম জানান, রাতে স্টিল মিলে লোহা গলানোর সময় বন্ধ হয়ে থাকা পুরাতন একটি লোহার পাইপ বিস্ফারিত হয়। এ সময় গলিত লোহা ছিটকে তিনজনের শরীরে পড়লে তারা দগ্ধ হন। পরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, যাত্রাবাড়ীর স্টিল মিলে দগ্ধ মো. শাহীন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে মারা যান। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ ঘটনায় আরও দুজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মাঈনুদ্দিনের শরীরের ৫৪ শতাংশ ও আক্তার হোসেনের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। তাদের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে।
এএইচ/এসএন