রাজধানীতে স্কুলছাত্রীসহ তিন নারীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় স্কুলছাত্রীসহ তিন নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- মুগদার স্কুলছাত্রী শান্তা আক্তার (১৫), খিলগাঁওয়ের রওশনারা বেগম (৬০) ও ওয়ারীর অজ্ঞাত পরিচয়ের এক নারী (৪০)।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে পুলিশ মরদেহগুলো উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল আনছার জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুগদা মেডিকেলে শান্তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই শিক্ষার্থী। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
শান্তার ভগ্নিপতি মাসুম হোসেন জানান, মানিকনগর সরকারি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়তেন শান্তা। বুধবার সন্ধ্যায় তার মা ও বড় বোন বাসার বাইরে ছিলেন। এ সময় বাসায় শান্তা একাই ছিলেন। সন্ধ্যার পর তার খালা বাসায় ফিরে তার রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে দেখেন, ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছেন শান্তা। পরে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কী কারণে শান্তা আত্মহত্যা করতে পারেন, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি।
এদিকে খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সনিয়া পারভীন জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে খিলগাঁও কবরস্থানের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে বকুল গাছের ডালে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রওশন আরা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চররাঘবপুর গ্রামের সালামত আলীর স্ত্রী।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। কবরস্থানের মধ্যে গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবুও বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে সিআইডি ক্রাইম সিন বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে।
রওশন আরার ছেলে মো. সজীব জানান, তারা চার ভাই, তিন বোন। ৮-১০ বছর ধরে তার মায়ের মানসিক সমস্যা ছিল। বিভিন্ন সময়ে তিনি বাসার বাইরে চলে যেতেন। আবোল-তাবোল কথাবার্তা বলতেন। বুধবার সন্ধ্যার দিকে তিনি রিয়াজবাগে মেয়ের বাসা থেকে বের হন। পরে ওই বাসার পাশেই খিলগাঁও কবরস্থানে গাছের সঙ্গে তাকে গলায় ফাঁস নিয়ে ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশে এসে মরদেহ উদ্ধার করেন।
অপরদিকে ওয়ারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান মিয়া জানান, অজ্ঞাতনামা নারী ভবঘুরে। বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করতেন। কয়েক দিন ধরে ওয়ারী থানাধীন ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কের মধ্যে ছিলেন। বুধবার রাত ১০টার দিকে সেখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অসুস্থ হয়ে ও না খেতে পেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এএইচ/এসএন