ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত
মধ্যরাতে ঢাবি ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ৮
মধ্যরাতে ঢাবি ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত
মধ্যরাতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে নীলক্ষেত-ঢাবি এলাকা। ঢাবি শিক্ষার্থী ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থানে। উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে আহত হয়েছেন আটজন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের সহায়তায় ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোমবারের (২৭ জানুয়ারি) ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে ঢাবি শিক্ষার্থী ও অধিভুক্ত ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশকে সহায়তায় ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে রাত ১১টার দিকে ঢাকা কলেজের সামনে থেকে মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে পৌঁছান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীরা হলের সামনে অবস্থান নেন।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ধাওয়া দিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত এলাকা পার করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় আটজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ।
এর আগে রাত সাড়ে ১০টায় সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে অবরোধ তুলে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। ঢাকা কলেজের আবাসিক হল থেকে আরও শিক্ষার্থী নিয়ে ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, রোববার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার পর ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তায় প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো ভিসির (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ।
ভিডিও বার্তায় শিক্ষার্থীদের ধৈর্য থাকার অহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত।
উপ-উপাচার্য বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে আমার অফিসে আলোচনাকে কেন্দ্র করে রাতে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছে তা দুঃখজনক। এতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আমি বিশ্বাস করি, সুষ্ঠু পরিবেশে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে এই ভুল বোঝাবুঝি অবসান ঘটবে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, সব পক্ষকে ধৈর্য ধারণ করার জন্য আমি আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।