সপ্তাহজুড়ে সূচকের ঊর্ধ্বগতির মধ্য দিয়ে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই):
ডিএসইর বাজার মূলধন এক সপ্তাহে ০.৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর আগের সপ্তাহে এটি ছিল ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে সূচকের উত্থান দেখা গেছে:
- ডিএসইএক্স: ৩২.৬১ পয়েন্ট বা ০.৬৪ শতাংশ বেড়ে।
- ডিএসই-৩০ সূচক: ১৮.৭৭ পয়েন্ট বা ০.৯৯ শতাংশ বেড়ে।
- ডিএসইএস সূচক: ১১.২১ পয়েন্ট বা ০.৯৭ শতাংশ বেড়ে।
লেনদেনের পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৭২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই):
সিএসইতেও সূচকের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে:
- সিএএসপিআই সূচক: ০.৬৭ শতাংশ বেড়ে ১৪,৪৪৯.০৫ পয়েন্ট।
- সিএসসিএক্স সূচক: ০.৭৯ শতাংশ বেড়ে ৮,৭৯৭.৩৯ পয়েন্ট।
- সিএসই-৫০ সূচক: ১.০৩ শতাংশ বেড়ে ১,১০৭.৬৫ পয়েন্ট।
তবে সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। এই সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৬২ কোটি ২৪ লাখ টাকা কম।
সাপ্তাহিক লেনদেনে ডিএসইতে ২০১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ১৫০টির কমেছে, এবং ৪৬টি অপরিবর্তিত ছিল। সিএসইতে ১৬২টি কোম্পানির দাম বেড়েছে, ১১৩টির কমেছে, এবং ২৫টি অপরিবর্তিত ছিল।
ডিএসইতে বাজার মূলধনের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি এবং সূচকের উত্থান দেশের পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে সিএসইতে লেনদেন কমে যাওয়া বিনিয়োগকারীদের জন্য চিন্তার কারণ হতে পারে।