পথচারী-বান্ধব ঢাকা উপহার দিতে চান ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকাবাসীকে পথচারীবান্ধব শহর উপহার দিতে চান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। এ লক্ষ্যে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নগরীর আগা সাদেক সড়ক ও আবুল হাসনাত সড়কে জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মেয়র।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা যখন যে সড়কে হাত দেই, সেখানে কোনো সড়কের ওপর কোন ভবনের র্যাম্প, সিঁড়ি পাওয়া গেলে আমরা সেগুলো অপসারণ করি। আমরা চাই মানুষ ঢাকা শহরে স্বাচ্ছন্দে হেঁটে চলবে। আমরা যেখানেই ২০ ফুটের ঊর্ধ্বে প্রশস্ত সড়কে পাব, সেখানে ২০ ফুট যাতায়তের জন্য রেখে বাকিটা আমরা হাঁটার পথ করার নির্দেশনা দিয়েছি।’
এটা আমাদের মহাপরিকল্পনার আওতায় আছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘কারণ এখনো ঢাকা শহরের ৪০ ভাগ মানুষ হেঁটে পথ চলে। সুতারাং তারা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে পথ চলে সে লক্ষ্যেই আমরা আমাদের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। যেখানে সুযোগ রয়েছে, সেখানে হাঁটার পথ সৃষ্টি করার মাধ্যমে আমরা পথচারী-বান্ধব একটি শহর ঢাকাবাসীকে উপহার দিতে চাই।’
জলবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রমের ফলে এ বছর ঢাকাবাসী গতবারের চাইতেও বেশি সুফল পাবে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, ‘গত বছরই আমরা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এ রকম শতাধিক জায়গা চিহ্নিত করেছি। সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে সে কাজ করা হচ্ছে। সে কাজেরই অংশ হিসেবে আমরা আজ এখানে পরিদর্শনে এসেছি। আমরা আশাবাদী যে, আগা সাদেক ও আবুল হাসনাত সড়কের এই কাজ সম্পন্ন হলে ইনশাআল্লাহ অত্র এলাকায় কোন জলবদ্ধতা থাকবে না। ঢাকাবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে। ঢাকাবাসী সুফল পাবে।’
নর্দমা ও খালে সোক ওয়েল ও সেফটিক ট্যাংক সংযোগ বজায় রেখে খাল দূষণমুক্ত রাখা সম্ভব কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, প্রায় এক বছর আগেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি যে, নতুন যে সকল ভবন ও স্থাপনা হবে সেখানে যত মানুুুষ বাস করবে সেই হিসেবটা করে তাদের নির্দিষ্ট সেফটিক ট্যাংক এবং সোক ওয়েল থাকতে হবে। যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে এর সঙ্গে আমাদের আইনগত কিছু প্রয়োজনীয়তাও ছিল। যেমন আইনে ইমারত নির্মাণ এবং পুনঃর্নিমাণ বিষয়াদি আমাদের নির্দিষ্ট কার্যাবলির মধ্যে থাকলেও বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে সেই কাজটি সিটি করপোরেশনকে করতে দেওয়া হয়নি। আমরা এখন প্রবিধান করে তা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছি। তারা সেটা পর্যালোচনা করছে। আমরা আশাবাদী, সেটা এ মাসের মধ্যেই হয়ে যাবে। হয়ে গেলে আমরা সেটা বাস্তবায়নে যাব এবং আমরা নিজেরাই সেটা নিধারণ করব।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, নুতন করে যেসব আবাসান হবে, সেখানে অবশ্যই সেফটিক ট্যাংক, সোক ওয়েল থাকতে হবে এবং পুরাতন যে ভবনগুলো আছে, সেগুলোতেও পর্যায়ক্রমে যেন তারা সেই কার্যক্রমটা করে, সে বিষয়গুলো খেয়াল করব।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলসমূহের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরাি উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া ডিএসসিসি মেয়র এদিন মান্ডা খাল, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট এর অনুকূলে নগরীর কদমতলীতে বরাদ্দকৃত জমি, নাজিরা বাজার মাতৃসদন, আজিমপুর চৌরাস্তায় নির্মাণাধীন গণশৌচাগার এবং অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক রাজস্ব কার্যালয় পরিদর্শন করেন।
আরইউ/এমএমএ/