এলিফ্যান্ট রোডে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম: তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। মূল টার্গেট ছিলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলালের ছোট ভাই ও কম্পিউটার ব্যবসায়ী ওয়াহিদুল হাসান দিপু। তবে ভুলক্রমে হামলাকারীরা ব্যবসায়ী এহতেশামুল হককে গুরুতর আহত করে। ঘটনার নেপথ্যে মাল্টিপ্লান সেন্টারের ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব ও চাঁদাবাজি অন্যতম কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত শুক্রবার রাতে মাল্টিপ্লান সেন্টারের সামনে এহতেশামুল হককে রামদা ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। একই সময় দিপুও আঘাতপ্রাপ্ত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাটি মাত্র দুই-তিন মিনিটের মধ্যে ঘটে। সন্ত্রাসীদের হাতে ধারালো অস্ত্র থাকায় আশপাশের কেউ ভয়ে এগিয়ে আসতে সাহস করেনি। হামলাকারীরা এহতেশামুলকে আহত করে সায়েন্সল্যাবের দিকে পালিয়ে যায়।
ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে, এই হামলার মূল কারণ মাল্টিপ্লান ও আশপাশের ব্যবসায়ী সমিতিতে চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়া। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন, যিনি আগে এই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন, নতুন নেতৃত্বের কারণে তার আয় বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি দিপুকে হুমকি দেন এবং এই হামলার পরিকল্পনা করেন। গত ৫ আগস্ট দিপু নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ইমনের ক্ষোভ বাড়তে থাকে।
এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় হত্যা প্রচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ইমনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তকারীরা বলছেন, গ্রেফতার হওয়া আসামিদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। মাল্টিপ্লানের ব্যবসায়ীরা শনিবার মানববন্ধন করে দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ বলছে, সবদিক বিবেচনা করে তদন্ত চলছে, এবং দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।