তিনি বলেন, দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে আমাদের কাছে খবর আসে কুড়িল বিশ্বরোডে বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়ার পর কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশন থেকে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গেছে। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পারিনি বাসে কীভাবে আগুন লেগেছে। এছাড়া কেউ হতাহত হয়েছে কিনা সেই খবরও পাওয়া যায়নি। বাসটি কুড়িল বিশ্বরোড ফ্লাইওভারের নিচে ময়লার ডিপোর পাশে সড়কে দাঁড়িয়ে ছিল।
শেফিল্ড অভিষেকে হামজা কতটা দাপট দেখিয়েছেন,সেটা তাঁর পারফরম্যান্সের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে। ম্যাচে বল স্পর্শ করেছেন ৬১ বার, ড্রিবলে শতভাগ সফল, নিখুঁত পাস বাড়িয়েছেন ৮০ শতাংশ, লম্বা করে বল বাড়ানোর চেষ্টায় সফল হয়েছেন চারবার, গ্রাউন্ড ডুয়েলে জিতেছেন পাঁচবার, প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়েছেন তিনবার, ইন্টারসেপশন (প্রতিপক্ষের পাস দেওয়া বল আটকে দেওয়া) করেছেন দুবার। বিপরীতে ডার্বি কাউন্টির কোনো খেলোয়াড় হামজাকে ট্যাকল বা ড্রিবল করতে পারেননি।
এমন পারফরম্যান্সের পর ম্যাচসেরার পুরস্কারটা প্রাপ্যই ছিল হামজার। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় বেছে নিতে শেফিল্ড ইউনাইটেডের এক্স পেজে ভোটও চাওয়া হয়েছিল। সেখানে ৭০.৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা হামজার পক্ষে। তাঁর বল নিয়ে ছোটার একটি ছবি পোস্ট করে শেফিল্ড লিখেছে, ‘অভিষেকেই পিওটিএম (প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ) পারফরম্যান্স।’
এ ম্যাচে গুগল ইউজার্সের প্লেয়ার রেটিংয়েও ৫–এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪.৬ পেয়েছেন হামজা। গোলদাতা ব্রেন্টন দিয়াজ পেয়েছেন ৪.৫।
ম্যাচ শেষে হামজাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন কোচ ক্রিস ওয়াইল্ডার, ‘হামজা হামজার মতোই খেলেছে। বেশ কিছু ধরে সে কোনো ধরনের ফুটবল খেলেনি। এরপরও মাঠে প্রতিটি ভূমিকায় সে চেনা ছন্দে ছিল। আমি ওকে নিয়ে আলোচনা করছিলাম, ভেবেছিলাম ৭০ মিনিট পর তুলে নিব। কিন্তু ওই সময় সে এতটা ভালো খেলছিল যে সেটা আর করা হয়নি।’
ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে ৩০ ম্যাচ শেষে শেফিল্ডের পয়েন্ট ৬১, শীর্ষে থাকা লিডস ইউনাইটেডের ৬৩। শেফিল্ডের পরের ম্যাচ আগামী শনিবার পোর্টসমাউথের বিপক্ষে।
চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষ দুই দলের সরাসরি প্রিমিয়ার লিগে উত্তরণ হয়। তার মানে, এই অবস্থান ধরে রাখতে পারলে আগামী মৌসুমে আবারও প্রিমিয়ার লিগে খেলবে শেফিল্ড।
এ মৌসুমে লেস্টার সিটির হয়ে বেশির ভাগ সময় হামজাকে বেঞ্চে থাকতে হয়েছে। বদলি হিসেবেও খেলার সুযোগ পেয়েছেন কমই। সম্প্রতি তাঁকে শেফিল্ড ইউনাইটেডে ধারে খেলতে পাঠায় লেস্টার।
ভাতা ও চিকিৎসার দাবিতে গণ–অভ্যুত্থানে আহতদের রাস্তায় ব্যারিকেড। ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আহতরা রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন। আজ রোববার সকাল পৌনে ১০টার দিকে তাঁরা পঙ্গু হাসপাতালের সামনের দুই পাশের সড়কে ব্যারিকেড দেন। আহত বেশ কয়েকজন সড়কের ওপর শুয়ে পড়েন।
সড়ক অবরোধের কারণে পঙ্গু হাসপাতালের সামনের উভয় পাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে অফিস শুরুর মুহূর্তে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষেরা।
রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সও পার হতে দিচ্ছেন না তাঁরা। গতকাল শনিবার দিবাগত মধ্যরাতেও পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়কে ব্যারিকেড দিয়েছিলেন আহতরা।
আহতরা জানান, গত তিন মাস আগেও জুলাই আন্দোলনে আহতরা পঙ্গু হাসপাতালের সামনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন। তখন মধ্যরাতে হাসপাতালের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও উপদেষ্টাসহ চারজন উপদেষ্টা তাদের দাবি–দাওয়া পূরণের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা সরে যায়। পরে তাঁদের সঙ্গে একটি বৈঠকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে আহতদের স্বীকৃতি এবং পুনর্বাসন, চাকরির ব্যবস্থা, চিকিৎসা ও ভাতা ব্যবস্থার বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। এরপর এত দিন তাদের কোনো একটি দাবিও সরকার পূরণ করেনি বলে আন্দোলনকারীরা দাবি করেন।
আহত আন্দোলনকারীদের দাবি, জরুরি ভিত্তিতে তাঁদের তিনটি দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁরা সড়কে থেকে সরবেন না। জরুরি ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চান তাঁরা। এ ছাড়া প্রত্যেক আহতদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা এবং সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ভিত্তিতে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানান।
আহতরা বলেন, আমরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন ঘটানোর আন্দোলনে আহতরা টাকা-পয়সা কিছুই চাই না, শুধু সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন চাই। শেখ হাসিনার পতনের পর যে সরকার আমাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারেনি তাদের কাছে আমাদের আর কোনো আস্থা নাই। উপদেষ্টাদের প্রতিও আমাদের কোনো আস্থা নাই। যে কারণে আজকে আমরা রাস্তায় নেমেছি।
আখেরি মোনাজাতে শেষ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ছবি: সংগৃহীত
টঙ্গীর তুরাগতীরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে । রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ১২ মিনিটে শুরু হয় এ মোনাজাত এবং শেষ হয় ৯টা ৩৫ মিনিটে।
মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শীর্ষ মুরব্বি ও কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।
মোনাজাতে দেশ-বিদেশ থেকে আসা লাখো মুসল্লি অংশ নেন। এ সময় আল্লাহর দরবারে রহমত, মাগফিরাত ও কল্যাণ কামনা করেন তারা।
ইজতেমা ময়দানে আসা মুসল্লিরা চোখের জল ফেলে হাত তুলে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। তারা নিজেরা যেন সঠিক পথে চলতে পারেন, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য অটুট থাকে এবং বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয় এসব কামনা করেন।
এদিকে আখেরি মোনাজাত নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়। শনিবার রাত ১২টা থেকে ইজতেমা ময়দানের আশপাশে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছিল ৩০ জানুয়ারি বাদ মাগরিব। আজ আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো প্রথম পর্ব। ৩ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মাওলানা সাদ কান্ধালভীর অনুসারীদের তত্ত্বাবধানে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।