মোহাম্মদপুরে ডাস্টবিনে মিলল মানুষের খণ্ডিত পা। ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ডাকাতি, ছিনতাই ও খুনসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন বাসিন্দারা। এরই মধ্যে মোহাম্মদপুরের রাজিয়া সুলতানা রোডে একটি ডাস্টবিনে মানুষের খণ্ডিত পা দেখা গেছে।
গোড়ালির কিছুটা ওপর থেকে কাটা ওই পায়ে ব্যান্ডেজ করা রয়েছে। সোমবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে মোহাম্মদপুরের রাজিয়া সুলতানা রোডে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান বলেন, স্থানীয়দের খবরে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো হাসপাতালের থেকে দুই দিন আগে কাটা পা, কোনভাবে এখানে চলে আসছে। পায়ের ব্যান্ডেজ এবং কাটার ধরন দেখে মনে হচ্ছে চিকিৎসকেরা কেটে বাদ দিয়েছে। কোনো রক্ত নেই, একেবারে শুকনো। কিভাবে এখানে এসেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি।
সৌদি আরবে ওমরাহ পালনের নামে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ পাকিস্তানিকে আটক করে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। পরে পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) রোববার তাদের করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে এফআইএ’র একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরব যাওয়ার পর এই ব্যক্তিরা বিভিন্ন স্থানে ভিক্ষা করছিলেন। গ্রেপ্তারকৃতরা পাকিস্তানের রাজানপুর, কাশমুর, নাউশাহরো, ফেরোজ, লাহোর, পেশাওয়ার, মোহমান্দ এবং লারকানা এলাকার বাসিন্দা।
এফআইএ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। একই সঙ্গে, বিদেশে কেউ যেন পর্যটন বা ধর্মীয় ভিসার অপব্যবহার করে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িত হতে না পারে, সে জন্য পাকিস্তানের সব বিমানবন্দরে আরও কঠোর যাচাই-বাছাই ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ২০২৪ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি ও সৌদি আরবে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত নওয়াফ বিন সাঈদ আহমেদ আল মালিকির মধ্যে এক বৈঠকের পর দেশটির সরকার এক্সিট কন্ট্রোল লিস্টে (ইসিএল) ৪ হাজার ৩০০ জন পেশাদার ভিক্ষুকের নাম অন্তর্ভুক্ত করে।
পাকিস্তানে ভিক্ষাবৃত্তি দমনের লক্ষ্যে সরকারের নেয়া এসব কঠোর পদক্ষেপের পরও অনেকে প্রতারণামূলক উপায়ে ওমরাহসহ বিভিন্ন ভিসায় সৌদি আরব গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং শফিকুল আলম। ছবিঃ সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের লিফলেট যারাই বিতরণ করবে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং শফিকুল আলম।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান প্রেসসচিব শফিকুল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, সিনিয়র সহকারী প্রেসসচিব ফয়েজ আহম্মেদ।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের কড়া বার্তা, যারাই পতিত সরকারের পক্ষে কর্মসূচি পালন করবে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
আওয়ামী লীগের লিফলেটে যেসব লেখা রয়েছে সেগুলো খুবই আপত্তিকর। তাই যারা এসব লিফলেট বিতরণ করবে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ মিথ্যা তথ্য ও প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রেসসচিব বলেন, পরিষদ জানিয়েছে ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন ঘটনায় ২৩ জন মারা গেছে, যা মিথ্যা তথ্য।
এ ছাড়া ১৭৪টি ঘটনার তথ্য জানানো হয়েছে, সেটিও সঠিক নয়। পুলিশ তদন্ত করে ওই সব ঘটনার তথ্য পায়নি।
নওগাঁয় ছাত্রদলের সাবেক ক্যাডার পরিচয় দেয়া এক শিক্ষকের হুমকি দেয়ার অডিও ভাইরাল হয়েছে। অডিওতে নজরুল ইসলাম বাচ্চু নামে ওই কলেজ শিক্ষককে পত্নীতলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম জিল্লুর রহমানকে হুমকি দিতে শোনা যায়। এক মিনিট ১৩ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া ওই অডিওতে নানাভাবে হুমকি দেন ঐ শিক্ষক।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, 'আপনার ভাগ্য ভালো। আমার কলেজে এসেছেন আমার খোঁজ করেছেন হুমকি দিয়ে গিয়েছেন। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাডার। আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের ক্যাডার। আমার নাম নজরুল ইসলাম বাচ্চু। আমি কিন্তু রাজপথের লড়াকু সৈনিক। এরশাদ আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকার একজন। মানে সেই রকম ক্যাডার ছিলাম আমি। আপনি জানেন তারেক রহমানের সঙ্গে আমার কি সম্পর্ক। কথাবার্তার একটা পর্যায়ে শিক্ষা অফিসে আসারও হুমকি দেন কলেজ শিক্ষক নজরুল ইসলাম বাচ্চু।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নজরুল ইসলাম বাচ্চু চৌরাট শিবপুর বরেন্দ্র কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রায় তিন মাস আগে ওই কলেজের প্রিন্সিপাল দীপক কুমারের বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকা অনিয়মের একটি অভিযোগ যায় উপজেলা প্রশাসনের কাছে। অভিযোগ তদন্তে গঠন করা হয় ৩ সদস্যের কমিটি। যেখানে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে সদস্য করা হয়। কিন্তু সেই অভিযোগের এখনও তদন্ত শুরু হয়নি। এতেই ক্ষোভ জন্ম নেয় নজরুল ইসলাম বাচ্চুর মনে। সেই থেকেই তাদের মনোমালিন্য শুরু হয়।
ভাইরাল হওয়ার রেকর্ডটির বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সংবাদ মাধ্যমের এর কাছে সত্যতা স্বীকার করেছেন শিক্ষক নজরুল ইসলাম। নিজেকে বিএনপিপন্থী শিক্ষক দাবি করে তিনি বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম জিল্লুর রহমান দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি। প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ার পর তিনি বগুড়া এলাকার সন্তান হিসেবে বিভিন্ন সময় গরম দেখান। দীপক প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী কে তিনি ভয়-ভীতি দেখিয়েছেন। যার কারনেই পুরো তদন্ত কাজটি আর এগোইনি।
এদিকে শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম জিল্লুর রহমান বলেন, তিনি তদন্তে যাওয়ার জন্য অভিযোগকারী কে ফোন দিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযোগকারী নিজেই পরে জানিয়েছেন ওই তদন্ত আর লাগবেনা। তাই ওই তদন্তে আর যাওয়া হয়নি। বলেন, তদন্ত কমিটিতে আমি ছাড়াও যুব উন্নয়ন ও সমাজ সেবা কর্মকর্তাও আছেন।
তিনি বলেন, রেকর্ডের বাহিরেও নজরুল ইসলাম তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তিনি সব কিছু ধৈর্য সহকারে শুনেছেন। সম্প্রতি তিনি ওই কলেজে একটি ল্যাব ভেজিটে গিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।