শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে বন্যার্তদের জন্য তোলা টাকা ছিনতাই
ছবি: সংগৃহীত
দেশের চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে বন্যার্ত মানুষের সহযোগিতার জন্য ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে তোলা সাড়ে ১৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চানমিয়া হাউজিং সংলগ্ন চাররাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ছিনতাইকারীদের চাপাতির আঘাতে মো. জুয়েল রানা নামের এক শিক্ষার্থী মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পার্শ্ববর্তী ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে জানা গেছে, শনিবার বানভাসী মানুষের জন্য ত্রাণ উত্তোলন ও ক্রাউড ফান্ডিং শেষে টাকা নিয়ে ফিরছিলেন জুয়েল রানা। এ সময় আচমকা কয়েকজন কিশোর তার ওপর হামলা চালিয়ে সঙ্গে থাকা সাড়ে ১৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এতে বাধা দেওয়ায় চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়ি জুয়েলকে কোপাতে থাকে তারা। একপর্যায়ে মাথায় আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
একপর্যায়ে জুয়েলকে রেখে পালিয়ে যান দুর্বৃত্তরা। জুয়েলের পরিবার থেকে জানা গেছে, আক্রমণের খবর পেয়ে জুয়েলের বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন জুয়েল। তিনি শ্যামলী আইডিয়াল কলেজের এইচএসসি ২০২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের খরচ চালানোর জন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্টানে চাকরি করেন তিনি।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, জুয়েল রানা ওয়ার্ড বা কেবিন না পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দোতলার বারান্দায় আছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তীতে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের একনিষ্ঠ যোদ্ধা। আন্দোলন পরবর্তী সময়ে বন্যা দুর্গত মানুষের সহযোগিতার জন্য ত্রাণ সংগ্রহ করছি। গতকাল আমি উত্তোলনকৃত অর্থ নিয়ে বাসায় ফিরছিলাম। আচমকা কয়েকজন ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে আমার ওপর আক্রমণ করে।’
আক্রমণকারীদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মোহাম্মদপুর এলাকায় অনেকগুলো কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। তারা মাদকসেবন ও ডিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত। গতকাল দুপুর থেকেই তারা আমাকে ফলো করছিল। সুযোগ পেয়েই তারা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে।'
জুয়েল বলেন, ‘আমি মানবতার সেবায় কাজ করছিলাম। অথচ আমাকেই আক্রমণের শিকার হতে হলো।’ সরকার ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘আমি চাই না, আর কোনও ভাই এমন পরিস্থিতির শিকার হোক।’ তিনি হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করেন।