রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ-মিছিল-অবরোধ
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ-মিছিল-অবরোধ। ছবি: সংগৃহীত
গণগ্রেপ্তার বন্ধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়াসহ বেশ কিছু দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ, মিছিল, সমাবেশ হয়েছে। এছাড়া সাইন্সল্যাব মোড় অবরোধ করা হয়।
শুক্রবার (২ আগস্ট) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বায়তুল মোকাররম, প্রেস ক্লাব, শাহবাগ ও সায়েন্সল্যাব এলাকায় এ মিছিল বের করা হয়। এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কোনো সহিংসতা ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এদিন সকাল ১০টার দিকে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
সকাল থেকেই উত্তরা মডেল কলেজের গেটের বাইরে জড়ো হতে থাকেন ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। চলমান আন্দোলনকে ঘিরে আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত কোন পরীক্ষায় অংশ নেবে না বলে ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
বিভিন্ন সময় ছাত্রদের আটক বন্ধ করারও আহ্বান জানান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে, ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান তারা।
এদিন সকালে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এদিকে জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি পল্টন মোড় হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয় কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
জুমার নামাজ শেষে একটা গণমিছিল বায়তুল মোকাররম থেকে বের হয়। প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে হাইকোর্টের দিকে যায়। মিছিলে পুলিশ কোনো বাধা প্রয়োগ করেনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেছেন সর্বস্তরের চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় সব হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানান তারা।
প্রতীকী কফিন সামনে রেখে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে সকালে প্রেস ক্লাবের সামনে সাংস্কৃতিক সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।