রাজধানীতে এক পুলিশের গুলিতে আরেক পুলিশ সদস্য নিহত
রাজধানীর গুলশানে পুলিশের গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত
রাজধানীর গুলশান থানার অধীন বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোন এলাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে এক পুলিশ কনস্টেবলের এলোপাথাড়ি গুলির শিকার হয়ে মারা গেছেন আরেক পুলিশ কনস্টেবল। এসময় এক পথচারীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (৮ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে গুলশানে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কনস্টেবল মনিরুল পুলিশের ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। গতরাতে ফিলিস্তিন দূতাবাস লাগোয়া উত্তর পাশের গার্ডরুমে তার ডিউটি ছিল। একই সময়ে ডিউটিরত আরেক কনস্টেবল কাউসার আহমেদ তাকে গুলি করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরে কনস্টেবল কাউসার আহমেদকে আটক করা হয়েছে।
ওই কনস্টেবলের এলোপাতাড়ি গুলিতে আতঙ্ক ছড়ায়। গুলির খবরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও শুরুর দিকে আতঙ্কে কেউ সামনে যেতে পারছিলেন না।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন গণমাধ্যমকর্মী হাসান আহমেদ বলেন, আমরা ডিউটি শেষ করে অফিসের গাড়িতে ফিরছিলাম। হঠাৎ ফিলিস্তিনী দূতাবাসের সামনে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পুলিশের এক সদস্যকে পড়ে থাকতে দেখি। এতে আমাদের চালক গাড়ির গতি থামাতেই পুলিশের একজন সদস্য এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন। আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময়ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পাই। তবে কি নিয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে, তা তাৎক্ষণিক বুঝতে পারিনি।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভবত মানসিক সমস্যার কারণে আমাদের এক কনস্টেবল আরেক কনস্টেবলকে গুলি করেছে। এ ঘটনায় পথচারী আহত হয়েছে বলে শুনেছি।’
ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গুলি নিক্ষেপকারী পুলিশ সদস্য মানসিক বিকারগ্রস্ত।
এ বিষয়ে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম বলেন, ‘গুলশান কূটনৈতিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে পুলিশ সদস্য। আমরা এমন খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। সেখানে ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটিসহ সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।’