রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ কর্মী নিহত
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের রাস্তা পার হওয়াকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন মেহেদী হাসান (১৮) নামে ছাত্রলীগের এক কর্মী। নিহত মেহেদী হাসান বাড্ডার নূরের চালা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
শনিবার (১৮ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাস্তা পারাপারকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে ছুরিকাঘাত করা হয় মেহেদীকে। তাৎক্ষণিকভাবে সেখান থেকে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে নিহতের মামা মো. চয়নের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রমনায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন থেকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগের র্যালি কর্মসূচি ছিল। এতে যোগ দিতে দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি ও তার ভাগ্নে মেহেদী অন্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাড্ডা থেকে রমনায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে আসেন। ধানমন্ডিতে র্যালি শেষে নূরের চালা থেকে আসা নেতাকর্মীরা হেঁটে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পার হচ্ছিলেন। এ সময় পিকআপ ভ্যানে চড়ে র্যালিতে যোগ দিতে আসা একদল নেতাকর্মীর সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বাগবিতণ্ডা রূপ নেয় হাতাহাতিতে। এ সময় কেউ একজন মেহেদীর বুকে ছুরিকাঘাত করেন। সংঘর্ষে আহত হন আরও বেশ কয়েকজন।
চয়ন জানান, মেহেদী এ বছর ভাটারার সোলমাইত হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। ছাত্রলীগের কর্মী হলেও তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নিতেন। তার মা লিপি সিকদার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড শাখা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শেরেবাংলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি কর্মসূচি শেষে সংসদ ভবনের সামনে রাস্তা পারাপারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের হাতাহাতি থেকে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার প্রকৃত কারণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।