কয়েক মিনিটের দেরিতে বিসিএসের স্বপ্ন ভঙ্গ ২০ পরীক্ষার্থীর
ছবি: সংগৃহীত
দেশের ৮ বিভাগীয় শহরের ২১৫ কেন্দ্রে একযোগে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা (এমসিকিউ) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে, যা শেষ হয় দুপুর ১২টায়।
পরীক্ষার্থীরা পিএসসির নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রবেশ করেছেন। তাই সকাল সাড়ে ৯টার পর পরীক্ষা কেন্দ্রের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে কেন্দ্রে যেতে না পারায় ২০ জনের মতো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর তেজগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। ফলে এই বিসিএসের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল এই পরীক্ষার্থীদের।
তাদের অভিযোগ, পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের কোনোরকম সতর্ক না করেই ঠিক ৯টা ৩০ মিনিটে গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর এক মিনিটের মধ্যেই ভেতরে প্রবেশ করতে গেটের সামনে থাকা দায়িত্বরতদের আকুতি-মিনতি করেও লাভ হয়নি।
কুমিল্লা থেকে ঢাকায় বিসিএস পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন শাউলিনা। ১৫ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হলেও শেষ সময়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকতে পারেনি তিনি। শাউলিনা বলেন, আমি ৯টা ১৫ মিনিটে এই এলাকায় চলে এসেছি। ঠিক ৯টা ৩১ মিনিটে রাস্তায় গেটের সামনে ছিলাম। সর্বশেষও আমি দেখলাম ঢুকতে দিচ্ছে, তখন আমি বাচ্চাটাকে একপাশে বসিয়ে রেখে এসে দেখি গেট বন্ধ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, মূল গেটের দেয়াল টপকিয়ে দ্বিতীয় গেটে এসেছি, কিন্তু এখান থেকে ঢুকতে দেয়নি। ম্যাজিস্ট্রেটকে বারবার রিকুয়েস্ট করার পরও ঢুকতে দেননি।
শাউলিনা বলেন, এটাই হয়তো আমার শেষ বিসিএস। আমার কাছে আমার পরিবারের অনেক প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু এতো প্রস্তুতি নিয়ে এসে পরীক্ষাটাই দিতে পারলাম না। জানি না এখন আমার কী করা উচিত। এই মুখ নিয়ে আমি বাসায় যাব কী করে?
এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন গণমাধ্যমকে জানান, আমাদের নিয়মই ছিল ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা বারবার বলেছি। তারপরও যদি কোনো শিক্ষার্থী যথাসময়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে আসতে না পারে, তাহলে আমাদের দৃষ্টিতে সে পরীক্ষার অযোগ্য।