গবেষণা ছাড়াই রাজধানীর ফুটপাতে লাগানো হয়েছে ভুল প্রজাতির গাছ!
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলছে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। সবুজে বাস, ১২ মাস এই শ্লোগানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন শুরু করে বৃক্ষরোপণ। গেল এক বছরে সড়কের দুই পাশ, ফুটপাত, বিভাজকে লাগানো হয় ১৭ হাজার গাছ। এতে গুলশানের চিত্র চলনসই হলেও, খারাপ অবস্থা তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট এলাকার। যত্ন না পেয়ে মরেছে কিছু, কিছুর মাথা ছুয়ে আছে বৈদ্যুতিক তার।
এই কর্মসূচিকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশ ও উদ্ভিদ গবেষকরা। তাদের দাবি, অপরিকল্পিতভাবে সবুজায়নে নেমেছে সিটি করপোরেশন। গবেষণা ছাড়াই এক বছর ধরে ফুটপাতে লাগানো হয়েছে ভুল প্রজাতির গাছ।
রাজধানীতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নিয়ে তরুপল্লবের সম্পাদক মোকারম হোসেন বলেন, সড়ক বিভাজকে লাগানো অনেক গাছের ওপরেই রয়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। নির্দিষ্ট সময় পর পর ডাল কাটা না হলে গাছগুলো বড় হলে খুঁটিতে লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এগুলো চিন্তা না করেই ফুটপাতে লাগানো হয়েছে ভুল প্রজাতির গাছ।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন জানান, শাল গাছের গোড়া মজবুত, শক্ত এবং এটি লম্বাও হত। এ বিষয়গুলো আমলে নিয়ে গবেষণা করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন দরকার ছিল।
এর প্রতিক্রিয়ায় উত্তর ঢাকার (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম মেয়র বলছেন, আগামী দুই বছরে দুই লাখ গাছ লাগানো হবে। আর এর পরিচর্যায় থাকছেন ৪৮ মালি।
রাজধানীর ২০ ভাগে বনায়নের বাধ্যবাধকতা থাকলেও, টিকে আছে মাত্র আট ভাগ। এর কারণ দুই দশকে ঢাকার পরিধি বেড়েছে ২৫ শতাংশ। জনসংখ্যা বেড়েছে ৭৬ ভাগ। আর এই চাপেই গড় তাপমাত্রা বেড়েছে দুই ডিগ্রি পর্যন্ত। সেই সঙ্গে বাড়ছে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা।