বেইলি রোডের আগুন
বেইলি রোডের আগুনে নিহত বেড়ে ৪৫, শনাক্ত হয়নি ৬ জনের মরদেহ
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ৩৯ জনের মরদেহ শনাক্ত হয়েছে। বাকি ছয় জনের মরদেহ এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের ঢাকা জেলা প্রশাসনের অস্থায়ী তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.কে.এম. হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ জনে। এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। শনাক্ত হয়নি ছয় জনের মরদেহ।
তিনি বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ২১ জন। আর সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত ২৯ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে বেইলি রোডের সেই ভবনে আগুনের খবর পাওয়া যায়। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ টি ইউনিট।
রাতে নিখোঁজদের খোঁজে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আত্মীয়-স্বজনরা। এ সময় ভিড় করেন উৎসুক জনতাও। হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ছোটাছুটি খোঁজ-খবর নিতেও দেখা যায় স্বজনদের।
আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট নিহত হয়েছেন ৪৪ জন। এর মধ্যে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ১ জন, ঢামেক হাসপাতালে ৩৩ জন ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জনের মরদেহ রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন জানান, কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাপড়ের দোকান ছিল। আমাদের দেখা মতে ভবনের অন্যান্য ফ্লোরে রেস্টুরেন্ট ছিল। যেগুলোতে আমরা গ্যাস সিলিন্ডার দেখেছি। যে কারণে আগুনটা দ্রুত ছড়িয়েছে এবং দাউদাউ করে জ্বলেছে।
এদিকে ভয়াবহ এই আগুনের ঘটনার নেপথ্যের কারণ, ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণসহ হতাহত বেশি হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।