১১৩ কোটি টাকা লোপাটের অভিযাগ বিআরটিএ'র বিরুদ্ধে
ছবি: সংগৃহীত
ভোগান্তির আরেক নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) কার্যালয়গুলো। অনিয়ম-দুর্নীতি আর দালালদের দৌরাত্ম্য যেন কিছুতেই কমছে না। পাঁচ বছরে রাজধানী ঢাকায় সিএনজি অটোরিকশা নিবন্ধনে মালিক সমিতির সহযোগীতায় বিআরটিএর অসাধু কর্মকর্তারা প্রায় ১১৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
সুস্পষ্ট এমন অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়ে অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা বলছেন, দু'শ টাকার দালাল না ধরে বিআরটিএর বড় বড় রাঘববোয়ালদের ধরতে হবে।
সংগঠনটি হুশিয়ার করে বলেছে, সরকার যদি বিআরটিএর অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তবে, বিআরটিএ কার্যালয় ঘেরাওসহ নানা আন্দোলনে মাঠে নামবে সিএনজিচালিত অটোরিকশার শ্রমিকরাই।
দুদক সচিব মাহবুব হোসেন জানান, বিআরটিএর দুর্নীতি বিষয়ে এরই মধ্যে অনুসন্ধান শুরু করেছে কমিশন। সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে পার পাবে না দুর্নীতিবাজরা।
সম্প্রতি ঘুষ, দালালের দৌরাত্মসহ নানা অভিযোগে বিআরটিএতে অভিযোগ চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকের কাছে তথ্য ছিলো, ড্রাইভিং লাইসেন্স, নিবন্ধন,ফিটনেসসহ সব কাজেই গুণতে হয় সরকার নির্ধারিত টাকার চেয়ে বাড়তি টাকা। এমন অভিযোগে মিরপুর বিআরটিএতে অভিযানে চালিয়ে দালাল চক্রের বেশ কয়েকজন সদস্যকে আটক করে দুদক।
দুদকের দুই দিনের অভিাযানেও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে দালাল চক্রের গডফাদাররা। যাদের মাধ্যমে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১২ হাজার ৫০০ সিএনজি প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ায় লেনদেন হয় প্রায় ১১৩ কোটি টাকা।
ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ খোকন অভিযোগ করে বলেন, সিএনজি মালিক সমিতির সঙ্গে আঁতাত করে এই টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বিআরটিএর কিছু কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে দুদকের কাছে সিএনজি অটোরিকশা প্রতিস্থাপনে বিআরটিএর দুর্নীতির পুরো ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়েছে। অভিযোগ পত্রে তথ্য দেওয়া হয়েছে বিআরটিএর অসাধু কর্মকর্তাসহ দালালদের তালিকাও।
দুদক সচিব বলেন, সিএনজি অটোরিকশা প্রতিস্থাপনের নামে ১১৩ কোটি টাকা লোপাটসহ নানা অভিযোগ আমলে নিয়ে এরইমধ্যে অনুসন্ধান শুরু করেছে কমিশন। সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের এসে কেউ হয়রানির হলে সঙ্গেসঙ্গে দুদকের হটলাইন নম্বর ১০৬ এ কল করে দুদককে অবহিত করার আহবান জানান তিনি।