বিজ্ঞাপনে ছেয়ে গেছে মেট্রোরেল, যা জানাল কর্তৃপক্ষ
ছবি:সংগৃহীত
ঢাকা শহরে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহন করছে মেট্রোরেল। আর সেই সময় থেকে দ্রুতগতি ও সৌন্দর্যের প্রতীক মেট্রোরেল একটি আদর্শ বাহন হিসেবে পরিচিতি লাভ কর ব্যবহারকারীদের মাঝে। কিন্তু হঠাৎ করেই সমালোচনায় জড়িয়েছে জনপ্রিয় হয়ে উঠা এই নতুন বাহন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কয়েকটি ছবিতে দেখা যায়, একটি কোম্পানি তাদের বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে রীতিমত ছেয়ে ফেলেছে মেট্রোরেলের কোচের ভিতরটা। শুধু তাই নয় মেট্রোরেলের আন্তঃ ও বর্হিগমন ডোরওয়ের গায়েও লাগানো হয়েছে পোস্টার।
ফেসবুকে এসব ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হলে কমেন্টবক্সে নেটিজেনদের হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায়। তবে মেট্রোরেলের কোচের ভিতরে বিজ্ঞাপন নিয়ে ভিন্নমতও রয়েছে। যদিও কেউ কেউ এসব ছবি এডিট নাকি অরিজিনাল এ নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
তবে এর সত্যতা জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ নিজেই। ৫ কোটি টাকায় বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য এড এজেন্সি মিডিয়া কম এর সাথে চুক্তি হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের বিজনেস প্লানিং এর একটা অংশ । উন্নত বিশ্বেও মেট্রো রেলে বিজ্ঞাপনের প্রচলন আছে । সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই আমরা শুরু করেছি । এতে করে মেট্রো রেলের খরচ কমে আসবে বলে আমরা মনে করছি।’
এর আগে, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মেট্রোরেলের পিলারে রাতারাতি পোস্টারে ছেয়ে যেতে দেখা যায়। সে সময়ও সাধারণ নাগরিকরা নিন্দা প্রকাশ করেন। এসব ‘অপকর্ম’ বন্ধে মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অনুরোধে সেসময় অভিযানও পরিচালনা করেছে সিটি করেপোরেশন।
বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ গত বছরের ডিসেম্বরে চালু হয়। ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রো লাইন নির্মাণের ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। গত রোববার ( ৫ নভেম্বর) মতিঝিল অংশও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।