বায়ুদূষণের শীর্ষে বাগদাদ, ঢাকার অবস্থানের কিছুটা উন্নতি

ঢাকা শাপলা চত্বর। ছবি সংগৃহিত
দেশে শ্রাবণ মাসে বায়ুমানের উন্নত হলেও আবার তাপপ্রবাহ বাড়ার কারণে উঠা নামার মধ্যে রয়েছে এর মান। বেশ কয়েক বছর ধরেই তীব্র বায়ুদূষণের শিকার বিশ্বের বেশ কিছু বড় বড় শহর এবং ছোট ছোট শহর এবং রাজধানীও। সেক্ষেত্রে রাজধানী ঢাকার বায়ুমানেও নেই কোনো স্বস্তির খবর।
বৃষ্টির কারণে ঢাকার বায়ুমানে কিছুটা উন্নতি। রাজধানীর বায়ু আজ সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। দূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ১৬তম। বুধবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ঢাকার স্কোর হচ্ছে ৮৭ অর্থাৎ এখানকার বায়ু মাঝারি মানের বা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে উঠে এসেছে ইরাকের বাগদাদ। তবে দূষণ মাত্রার দিক থেকে রাজধানী ঢাকার বায়ু আজ সহনীয়।
তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা বাগদাদের বায়ুর মানের স্কোর হচ্ছে ১৮৭ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আরব আমিরাতের দুবাই। শহরটির স্কোর হচ্ছে ১৭৭ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর।
সূচকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কুয়েত সিটি এবং শহরটির স্কোর হচ্ছে ১৭০। এর অর্থ দাঁড়ায় সেখানকার বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর।
১৬১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, ১৬০ স্কোর নিয়ে কাতারের দোহা রয়েছে পঞ্চম স্থানে, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ ১৪৮ স্কোর নিয়ে রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে, ১৪৪ স্কোন নিয়ে পাকিস্থানের লাহোর রয়েছে সপ্তম স্থানে, সৌদি আরবের রিয়াদ ১৩৪ স্কোর নিয়ে রয়েছে আট।
দূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ১৬তম। রাজধানী ঢাকার দূষণমাত্রার স্কোর হচ্ছে ৮৭ অর্থাৎ এখানকার বায়ু মাঝারি মানের বা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার এ তালিকা প্রকাশ করে।
এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
