মিরপুরে জমে উঠেছে ঈদ আনন্দ ও বৈশাখী মেলা

রাজধানীর মিরপুরে জমে উঠেছে মাসব্যাপী ঈদ আনন্দ ও বৈশাখী মেলা। দশনার্থী ও ক্রেতার উপস্থিতি দেখে মেলা আয়োজক কমিটির সদস্যরা অনেক খুশি। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছেন তাদের পছন্দের কেনাকাটা করার জন্য। তার পাশাপাশি বড়দের এবং বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক সরঞ্জাম রয়েছে। মেলায় আগত লোকজনের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করেছেন কমিটির সদস্যরা।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর মিরপুর ২ নম্বরের ন্যাশনাল বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা যায়।
মেলায় এবার বেশি আকর্ষণ করছে কসমেটিকস ও গৃহস্থালির দ্রব্যাদি। ওইসব পণ্য কিনতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে নানা বয়সী নারী-পুরুষ। রাজধানীর মিরপুর ২ নম্বরের ন্যাশনাল বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে গত ১৪ এপ্রিল মাসব্যাপী তাঁত বস্ত্র ও হস্ত কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধন করা হয়। মেলার আয়োজন করে বেনারশী মসলিনও জামদানি সোসাইটি।
শনিবার বিকেলে সরেজমিনে মেলায় গিয়ে দেখা যায় যুবক-যুবতীসহ নারীদের প্রচণ্ড ভিড়। তারা পছন্দের কসমেটিকস ও ঘর সাজাতে গৃহস্থলির জিনিসপত্র কিনছেন। শিশুদের স্লিপার, ম্যাজিক নৌকা,ট্রেন, ট্রয়ট্রেন, চড়কি, নাগোর দোলায়, ভূতের বাড়িসহ নানা ধরনের বিনোদন নিচ্ছে শিশুরা।
কসমেটিক্স দোকানের কয়েকজন ক্রেতা জানান, মেলায় আসলে ঘুরতে এসেছিলেন। কিন্তু আসার পর অনেক কসমেটিকস ও বিভিন্ন প্রকারের অলংকার পছন্দ হওয়ায় সেগুলো কিনে নিয়েছেন।
মেলার দর্শনার্থী সাদিয়া আক্তার জানান, মেলা বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে মেলার গেট ও ফোয়ারা বেশি সুন্দর। কয়েকজন নারী জানান, সাধারণত পরিকল্পনা করে ঘর সাজাতে দ্রব্যাদি কেনা হয় না। কোনো মেলায় গেলে এসব জিনিপত্র কেনা হয়। তাই সেই উদ্দেশ্যে মেলায় আসা হয়েছে। তবে মেলায় আসা অনেক জিনিসি-পত্রই তাদের পছন্দ হয়েছে।
বিক্রেতারা বলেন, মেলায় ক্রেতার সংখ্যা সন্তোষজনক। বিশেষ করে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতার সমাগম ঘটছে।
মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি মঈন খান বাবুল জানান, গত ১৩ এপ্রিল মেলাটি শুরু হয়। মেলা শুরু থেকেই মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য সার্বিকভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে ৩০ তারিখ থেকে স্কুল খোলা হচ্ছে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের যেন অসুবিধা না হয় এজন্য মেলার সময়সীমা সীমিত করা হয়েছে। স্কুল চলাকালীন প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত মেলা চলবে। আসছে ১২ মে মেলা শেষ হবে বলেও জানান তিনি।
আরএ/
