ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের চাপ বাড়ছে

ঈদের ছুটি শেষে তিন কর্মদিবস পার হয়েছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস। এদিন সকালেও ঢাকায় ফেরা যাত্রীর চাপ দেখা গেছে ঢাকার প্রবেশমুখ গাবতলী, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, সায়েদাবাদ, কমলাপুর রেলস্টেশনে।
মূলত উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দূরপাল্লার বাসগুলো যাত্রী নিয়ে এখানেই যাত্রা শেষ করে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে গাবতলী, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুরে বাসগুলোকে কাউন্টারসংলগ্ন স্থানে যাত্রীদের নামাতে দেখা গেছে। মূলত যারা ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফেরার বাসের টিকিট পাননি, পাশাপাশি ঈদের ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে যারা অতিরিক্ত ছুটি নিয়েছিলেন তারাই ফিরছেন।
কাউন্টারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা ঢাকার বিভিন্ন বাসে শনিবার পর্যন্ত যাত্রীর চাপ আছে। আর সেই টিকিটগুলো আগেই বিক্রি হয়ে আছে।
নাটোর থেকে দেশ ট্রাভেলসের বাসে সকালে গাবতলীতে নেমেছেন আরিফুল ইসলাম। যাত্রী আরিফুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটির সঙ্গে অতিরিক্ত ছুটি নিয়েছিলাম, যে কারণে পরিবারসহ আজ ঢাকায় এলাম।
গাবতলীতে গ্রামের বাড়ি থেকে প্রবেশ করেছেন আর এক যাত্রী রাসেল মিয়া। রাসেল বলেন, কাল থেকে অফিস করব। অনেক দূরে গ্রামের বাড়ি। দুয়েদিন বেশি ছুটি কাটিয়ে আজ ঢাকায় ঢুকলাম।
সায়দাবাদ টার্মিনাল দিয়ে প্রবেশ করেছেন যাত্রী নজরুল ইসলাম। নজরুল বলেন, মোটামুটি পবিত্র ঈদুল ফিতর ভালো কাটিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করেছি আগামীকাল থেকে অফিস শুরু করব।
রাজশাহী থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে প্রবেশ করেছেন সবুজ আলম। সবুজ বলেন, অনেক বছর পরে ঈদের বড় ছুটি পেয়েছি তাই সুন্দরভাবে কাটিয়ে আগামীকাল কর্মসংস্থানে যাব।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে সকালে নেমেছেন লঞ্চের যাত্রী আসিফ। আসিফ বলেন, পরিবার সঙ্গে থাকাই আরাম আয়েশ করে লঞ্চে এসেছি। অনেকদিন ছুটি কাটালাম এবার কর্মসংস্থানে ফেরার পালা।
এ ছাড়া রাজধানীতে দেখা গেছে বিভিন্ন জেলার মানুষ প্রবেশ করছেন। যাত্রীরা বলছেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের অনেক দিন ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করেছি। ছুটির পর এবার কর্মসংস্থানে প্রবেশ করার পালা এজন্য অনেকেই ঢাকায় প্রবেশ করে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন। এদিকে দেখা গেছে, সাধারণ মানুষ গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রাস্তার বিভিন্ন মনে মনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা রয়েছে। একাধিক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান-সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
কেএম/এসএন
