ঈদের ২য় দিনেও মেট্রোরেলে ভ্রমণ, আনন্দে দর্শনার্থীরা!

ঈদের ২য় দিনেও ঘোরাঘুরি করে বেশ আনন্দ পেয়ে থাকেন অনেকেই। ঈদের সময় যারা রাজধানীতে থাকেন তারা বেশি ঘোরাঘুরি করেন।
রাজধানীতে ঘোরাঘুরির বেশ কয়েকটি স্থান থাকলেও দর্শনার্থীরা নতুন একটি বিনোদনের স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছেন মেট্রোরেল। এই মেট্রোরেলে চড়ে স্বল্প ভ্রমণ করে আনন্দ পেয়েছেন অনেক দর্শনার্থী।
এবার এই মেট্রোরেলে ঈদের ২য় দিনে ঘোরাঘুরি আনন্দের মাত্রা অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। দিনটিতে সাধারণত রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমান নগরবাসী। চিড়িয়াখানা, জাদুঘর কিংবা হাতিরঝিলের পাশাপাশি সেই তালিকায় এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে মেট্রোরেল ভ্রমণ।
মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর এটাই প্রথম ঈদ, তাই আনন্দের মাত্রাটা ভিন্ন রকমের।
শনিবার (২২ এপ্রিল) ঈদের দিন ও রবিবার (২৩ এপ্রিল) ঈদের দ্বিতীয় দিন দুপুর থেকেই মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশন খোলার পর মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
দেখা যায়, মেট্রোরেলে অনেকে ঘুরতে পরিবার আত্মীয়-স্বজন নিয়ে এসেছেন। একবার ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে মেট্রোরেলে ভ্রমণের জন্য নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্টেশনে আসেন অসংখ্য মানুষ।
যাত্রাপথে কোনো জ্যামের শিকার না হলেও এখানে এসে দাঁড়াতে হচ্ছে টিকিটের লাইনে। ভেন্ডিং মেশিন ও ম্যানুয়ালি দুভাবেই সংগ্রহ করা যাচ্ছে টিকিট।
সাধারণত মেট্রোরেল চলাচলের সময়সূচি সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। তবে ঈদ উপলক্ষে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু রাখবে কর্তৃপক্ষ। যা যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন দর্শনার্থীরা।
ঈদের দিন মানুষের চাপে মেট্রোরেলের না চড়তে পেরে আজ এসেছেন সানজিদা প্রীতি। তিনি বলেন ‘গতকাল এসেছিলাম মানুষের অনেক ভিড় ছিল। এজন্য ভ্রমণ করতে পারিনি। আজ পেরেছি, বেশ আনন্দ পেলাম।
এদিন মেট্রোরেল ভ্রমণের জন্য আসেন মো. আজাদ ও তার পরিবার। তিনি বলেন, ‘এবার ঈদের পরের দিন মেট্রোরেলে ভ্রমণ করিয়ে বাচ্চাদের সারপ্রাইজ দিলাম। বাচ্চারাও বেশ আনন্দ পেল।’
কথা হয় নজরুল মিয়ার সঙ্গে তিনি বলেন, ‘সকাল থেকেই মেট্রোরেলের লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। অবশেষে মেট্রোরেলে উঠে আমার স্ত্রী এবং দুই সন্তান বেশ আনন্দ পেয়েছে। সেইসঙ্গে আমারও বেশ ভালো লেগেছে।’
ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে মেট্রোরেলে চড়তে এসেছেন কেরানীগঞ্জ থেকে শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি এবং আমার পরিবার এই প্রথম মেট্রোরেলে উঠলাম। ঈদের ছুটির মধ্যে আনন্দটা বেশ ভালোই কাটল। মেট্রোরেল উঠতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
কেএম/এমএমএ/
